গত মার্চের ২০২০ সালের বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সুপরিচিত ইমপালস হাসপাতালের তেজগাঁও সেন্টারে মোমেনা হক মনুর কানের অস্ত্রোপচারে কোন ভুল হয়নি বলে দাবি করেছেন ডাঃ জাহীর আল আমীন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, বিএমডিসি গঠিত বিশেষ কমিটি তিনি ও মোমেনা হক মনুর বক্তব্য না নিয়েই মনগড়া রিপোর্ট দিয়েছেন। যার ভিত্তিতে তাকে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বিএমডিসি।
অধ্যাপক ডা. জাহীর আল-আমীনের নিবন্ধন এক বছরের জন্য স্থগিত করে গত ১৬ নভেম্বর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. মো. লিয়াকত হোসেন স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি জারি করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)।
ভুল চিকিৎসা দেওয়া এবং একজন নারী রোগী মোমেনা হক মুন এর প্রতি অবহেলা দেখানোর জন্য ২০ নভেম্বর থেকে এক বছরের জন্য তাকে বরখাস্ত করা হয়।
ডা. আল-আমীন (বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন নং এ-১২৬৮৮) একজন সিনিয়র চিকিৎসক এবং ইএনটি ও হেড-নেক সার্জারি বিশেষজ্ঞ।
এছাড়াও তিনি ঢাকার তেজগাঁওয়ে ইমপালস মেডিকেল সার্ভিসেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। সংশ্লিষ্ট রোগী সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. আল-আমীন জানান, রোগীর ভুল অপারেশন হয়েছে এটা ঠিক নয়। অপারেশন অত্যন্ত সফলভাবে হয়েছে যার প্রমান রোগীর এখন পর্যন্ত যে টিউমারের জন্য অপারেশন করা হয়েছিল তা থেকে মুক্ত আছেন। রোগীর মুখ বেকে যায়নি। বাংলাদেশ বা বিদেশের যে কোন ডাক্তার আমার উপস্থিতিতে পরীক্ষা করে দেখুক। তারা যদি বলে রোগীর মুখ বেকে গেছে সেটা আমি মাথা পেতে নেব। বাকা যদি আমার অদক্ষতার কারষে হয়ে থাকে তার সমস্ত দায়িত্ব আমার। এ ব্যাপারে আপনারা নিজেরাই রোগীর সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে ডাঃ জাহির আল-আমীনের কাছে চিকিৎসা সেবা নেওয়া বেশ কয়েকজন রোগি এসে হাজীর হয়েছেন জানিয়েছেন তাদের অভিমত,একজন বলেন,আমি এসেছি গাজীপুর থেকে গত কাল আমি স্যার কে দেখানোর জন্য তেজগাঁও ইমপালস হসপিটালে গিয়ে ছিলাম গিয়ে শুনলাম স্যার নাকি ভূল চিকিৎসা করায় স্যার কে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার বন্ধ করে দিছে,যাহা শুনে আমি রীতিমত অবাক হয়ে গেলাম, পরে স্যারের এসিস্টেন্ট এর সাথে কথা বলে আজ এখানে আসছি,আমি মনে করি ডাঃ জাহীর স্যারের মতো স্যার বাংলাদেশে পাওয়া আমাদের গর্বের বিষয় কারন আমি আমার কানের নিছে প্রচন্ড ব্যাথা নিয়ে দীর্ঘ পাঁচ (৫) বছর কষ্ট করছি পরবর্তিতে ইন্ডিয়া যাবো বলে পাসপোর্ট ও করাইছি কারন বাংলাদেশের বড় ডাঃ গুলো আমাকে বাদ দিয়ে দিছে বলছে আমি অপরেশন করলে আমার গাড় বাঁকা হয়ে যাবে। পরে এক বড় স্যার তিনজন স্যারের নাম বললো একজন ডাঃ প্রান গোপাল স্যার,আরেকজন জাহির আমিন স্যার বহু কষ্ট স্যারে সাথে যোগাযোগ করে আমি স্যারের ইমপালস হসপিটালে এসে স্যারকে দেখিয়েছি স্যার বললো অপরেশন করা লাগবে করলে আপনি ভালো হয়ে যাবেন, পরে আমি স্যারে কথায় অপরেশন জন্য দিন ঠিক করে ভর্তি হয়ে গেলাম, ইনশাআল্লাহ আমি ১২ দিন ভালো হয়ে গেলাম, আমার গাড় ও কিছু হয়নি আলহামদুলিল্লাহ আমি এখন সম্পূন সুস্থ। স্যার অনেক যত্ন সহকারে আমাকে চিকিৎসা দিয়েছেন, স্যারের এমন কথা শুনে আমি মেনে নিতে পাচ্ছি না। অন্য একজন বলেন,উপরে আল্লাহ নিচে স্যার,স্যারের কাছে চিকিৎসা না করালে আমি হয়তো এতো দিন মারাই যেতাম,আমি দেশের শীর্ষ হসপিটাল গুলোতে ডাঃ দেখিয়ে কোনো সুফল পাইনি,আমার নাকের ভিতরে হাড় ভেঙ্গে গেছে, স্যার বলছে ইনশাআল্লাহ অপরেশন করলে ভালো হয়ে যাবেন। যেই কথা সেই কাজ অপরেশন করালাম স্যারের কাছে আমি আলহামদুলিল্লাহ সম্পূন্ন সুস্থ হয়ে গিয়েছি।দৈনিক সংবাদ পত্রিকার এক সাংবাদিক নিজেও স্যারের চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন তিনি বলেন বাংলাদেশে যদি কোনো ভালো ডাঃ থাকেন তার মধ্য তিনি একজন,স্যারের এমন খ্যাতি নষ্ট করার জন্য কোনো এক কুচক্র মহল এমন করছে বলে আমি মনে করি ও তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি আমি। এছাড়া ও আরো অনেক চিকিৎসা সেবা নেওয়া আসা এমন কথা মানতে চাচ্ছেনা তারা বলেন এটা সম্পূন্ন মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তাঁরাও তীব্র প্রতিবাদ নিন্দা জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন