দেশের গবেষণার মান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শঙ্কিত নন, তবে তিনি আরো উল্লসিত হতে চান বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পশ্চিমারা সব আবিষ্কার করতে পারে আমরা কেন দুই একটা আবিষ্কার করতে পারি না বলেও জানান তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) তিন দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলন একথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর আব্দুর রউফ তালুকদার, সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন বিআইডিএসের পরিচালক বিনায়ক সেন। এসময় ম্যাক্রোইকোনমিক ম্যানেজমেন্ট ইন পোস্ট কভিড আনসার্টেইন গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, আমরা অর্থনীতির কোন ম্যারপাচে বিশ্বাসী না। আমরা চাই শেষ ফলাফল যাতে পজিটিভ হয়। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সুচিন্তিত নীতি চান বলে জানান। তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় নীতি নির্ধারনে এবং নীতি নির্ধারকদের আরো শানিত করার জন্য বিআইডিএসের এরকম পর্যালোচনা গুরুত্বপূর্ণ।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী আমাদের রেমিট্যান্স গতবছরের চেয়ে বেড়েছে। অর্থনীতির প্রধান কয়েকটি সেক্টর যেমন আমদানী, রফতানি, এফডিআই ও প্রাইভেট সেক্টরের লোনসহ সব ক্ষেত্রেই আমাদের গত বছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। প্রধান সূচকগুলোতে প্রবৃদ্ধিও ভালো এবং মুদ্রাস্ফীতিও কমছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর আদায়ের পরিমান বেড়েছে কিন্তু তা যথেষ্ট না কারন সঙ্কটের সময় তাদের মূল ভ‚মিকা রাখা দরকার। পৃথিবীর মধ্যে আমাদের সবচেয়ে কম ট্যাক্স জিডিপি রেটিওতে অবস্থান। এখন এনবিআরকে আলাদা কমিশন করা হবে কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে, আলাদা কমিশন করার সমস্যাও আছে। তবে কর আদায় এবং নীতি নির্ধারন করাটা আলাদা করা দরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, করোনার সময় আমরা খাদ্য নিরাপত্তা, রফতানিমুখী পাঁচটি সেক্টরে স্টিমুলাস প্যাকেজ দিয়েছি। করোনার মধ্যে এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম। ওইসময় বিভিন্ন সেক্টর থেকে আমাদের ঝুকির বিষয়ে যে সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছিল তা ভয়াবহ। তবে সেসময় আমাদের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে কভিড পরবর্তীতে আমাদের প্রাইস ইনস্টাবিলিটি হয়েছে এবং ফ্যানান্সিয়াল সিস্টেম ইনস্টাবল হয়েছে। এগুলে হয়েছে ডলারের এক্সচেঞ্জ রেট বাড়ার ফলে। কারন খাবার তেল, জ্বালানির মত বেশ কয়েকটি জায়গায় সম্পূর্ণ আমদানির উপর নির্ভরশীল।
তিনি আরো বলেন, কোনে প্রকার ইমপোর্ট কন্ট্রোল করা হচ্ছে না তবে প্রাইস মনিটর করা হচ্ছে। এবছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন এলসি খোলা হয়েছে। তবে এলসি যাচাই করে দেখা গেছে ২০ থেকে ২০০ শতাংশ ইনভয়িসিং করা হচ্ছে যার জন্য আমরা অনেক এলসি বন্ধ করে দিয়েছি।
তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে ১৩টি ‘একাডেমিক পেপার’, পাঁচটি ‘বুক ডিসকাশন’ ও ১২টি ‘কি-নোট স্পিচ’ দেশ ও দেশের বাইরে থেকে উপস্থাপন করা হবে। সম্মেলনের বিভিন্ন সেশনে অংশ নিচ্ছেন দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান স্কলাররা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন