পোশাক শিল্পে কৃত্রিম তন্তুর বাজারে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, হাতে তৈরি তন্তুর পরিবর্তে কৃত্রিম তন্তুতে যেতে না পারলে আমাদের কটনে একটা অগ্রগতি আছে সেটা হয়তো টিকবে না। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ম্যান মেইড ফাইবার ফর মুভিং আপ দ্য ভ্যালুচেইন অব আরএমজি ইন দ্য কনটেস্ট অব এলডিসি গবেষণা শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা কাপড়ের বাজারের যে অংশে আছি এই অংশটা দিনে দিনে কমে আসছে। শঙ্কার বিষয় হচ্ছে, এই কৃত্রিম তন্তুর বাজারে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। অতি তাড়াতাড়ি আমরা এখানে যদি পরিবর্তন না আনি তাহলে আমাদের কটনে এখন যে একটা এডভান্টেজ আছে সেটা হয়তো টিকবে না। সুতরাং আলোচনা হচ্ছে কীভাবে এটা করা যায়। তিনি বলেন, বর্তমানে যেসব যন্ত্র দিয়ে কটন তৈরি বা কাপড় তৈরি করা হয় সেখানে আরো কিছু বিনিয়োগ করলেই কৃত্রিম তন্তুতে যাওয়া যাবে। এই খাতের ব্যবসায়ীরা যে দাবি তুলেছেন সেটা অত্যন্ত সঙ্গত। তারা টাকা চাননি, চেয়েছেন নীতি সহায়তা। কীভাবে কম শুল্কে আনা যায় সেটা উচ্চ মহলে আলোচনা চলছে। আশা করছি, একটা ভালো ফল আসবে। সেপ্টেম্বরে পণ্য রফতানি সাত শতাংশ কমার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, রফতানি কমার বিষয়টাতে আমিও একটা ধাক্কা খেয়েছি। আমার কাছে ভালো লাগেনি। আমিও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। এই খাতের উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছে, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আগামী মাসের মধ্যেই এটা ঘুরে দাঁড়াবে। ম্যান-মেইড ফাইবারে ১০ শতাংশ ক্যাশ ইন্সেন্টিভ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখানে দেওয়ার কেউ নই। এটা নিয়ে আলোচনা হবে। এই ক্যাশ ইন্সেন্টিভ দেওয়ার বিষয়টি সবার সাথে বসে এনবিআর ঠিক করবে। আমি এটার পক্ষে। তবে আমার মতে ইনসেনটিভের বাজার ফেয়ার হওয়া উচিত। মন্ত্রী বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ইনসেন্টিভ ইকোনমিতে বিশ্বাসী নই। তবে সরকার যেটা সিদ্ধান্ত নেবে সেটা অবশ্যই আমি প্রতিপালন করব। সরকার বহু বছর ধরে এখানে ওখানে ইনসেন্টিভ দিয়ে আসছে। এটা একটা অন্তর্নিহিত ব্যবস্থা হয়ে গেছে। এর কায়েমি স্বার্থ আছে। ব্যবসা শেষ হয়ে গেছে তারপরও ইন্সেন্টিভ রয়ে গেছে এমনও মাঝে মাঝে শুনি। এলডিসি পরবর্তী জটিলতা নিয়ে তিনি বলেন, এলডিসি পরবর্তীতে বেশি জটিলতা হলো আমাদের এই মুহ‚র্তে বাজারে সমস্যা। এলডিসি পরবর্তীতে সবাই যে সুবিধা পাবে আমরাও সেটা পাব। এখন যেটা হচ্ছে এলডিসি পরবর্তীতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কি করবে না করবে সেটা আমরা বুঝতে পারছি না। এইসব বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে কীভাবে এটাকে পাশ কাটিয়ে এগোনো যায়। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ন‚র মোহাম্মদ মেজবাউল হক ও বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন