পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শন হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়ন। তিনি হচ্ছেন দেশের তথ্যের আকর। তাঁর জ্ঞান ও আকাঙ্খা দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে নিজেকে নিবেদিত করেছেন। তাই শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ একই সুতোয় গাঁথা। তাঁর লক্ষ্য সবাইকে নিয়ে উন্নয়নের লক্ষে এগিয়ে চলা। তিনি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার রাষ্ট্রনায়ক। তিনি সংকট সামাল দেন দৃঢ়তার সাথে, হতাশাকে ঢেকে দেন আশার আলোয়।
বুধবার সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের উন্নয়ন' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আরো বলেন, রোল মডেল খুঁজতে আমাদের বিশ্বের দিকে তাকানোর প্রয়োজন নেই। প্রানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকান। সময়ানুবর্তিতার উদাহরণ হিসেবে আমরা বিভিন্ন দেশকে দেখি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময়ানুবর্তিতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত যা আমাদের নবীন প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয়। একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে যতগুণ থাকা দরকার প্রায় সবগুণই তাঁর আছে। কেননা তিনি মাটি ও মানুষের জন্য কাজ করেন। কোনো প্রকল্প অনুমোদন হতে গেলে সেটা জনগণের স্বার্থে হচ্ছে নাকি কোনো ব্যবসায়ী-আমলাজর উপকারে হচ্ছে সেটা আগে যাচাই করেন তিনি। যার জন্য দেশে আজ অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রয়েছে।
রাজশাহীর উন্নয়ন প্রসঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, সরকার রাজশাহীসহ দেশের সুষম উন্নয়নে বিশ্বাসী। ইতোমধ্যে রাজশাহীর উন্নয়নে পাঠানো প্রস্তাবগুলি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামীতেও এই ধারা অক্ষুন্ণ থাকবে। যেকোনো উন্নয়ন প্রস্তাব বিবেচনার সময় সম্পদের সর্বোচ্চ সুষ্ঠু ব্যবহারে সরকার বদ্ধপরিকর।
আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র (রাসিক) খায়রুজ্জামান লিটন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর সুলতান-উল-ইসলাম, কোষাধক্ষ্য প্রফেসর অবায়দুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আলি কামাল।
অনুষ্ঠানে রাসিক মেয়র বলেন, শেখ হাসিনা ৮০ দশকে বুকে পাথর বেধে দেশের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। সেই সময়ে দেশে অবস্থান করে লিখে রেখেছিলেন কিভাবে আগামীতে দেশ উন্নয়নের দিকে যাবে। সেই দূরদর্শী পরিকল্পনার জন্য দেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছেছে বর্তমান সময়ের ডেল্টা প্লান সেই সময়ে তিনি করেছিলেন। পাহাড়ীদের দুর্দশার জন্য প্রথম তিনি শান্তি চক্তিতে হাত দিয়েছিলেন যার পরিপ্রেক্ষিতে পাহাড়ি অঞ্চলে শান্তি বিরাজ করছে। সেইসব এলাকায় নানান ধরনের উৎপাদন ব্যাপকহারে বেড়েছে যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যই সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ জার্মান প্রবাসী লেখক সরাফ উদ্দিন আহমদের ‘১৫ আগস্ট হত্যাকান্ড: প্রবাসে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার দুঃসহ জীবন’ শীর্ষক বইয়ের মোড়কও উন্মোচন করেন। এছাড়া উপাচার্য প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট উপহার দেন।
এর আগে সকাল সাড়ে নয়টায় প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী ও বিশেষ অতিথি মেয়র ক্যাম্পাসে পৌঁছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ও শহীদ জোহার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন