সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী এ বছর রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদিত হয়েছে চা প্রদর্শনী ১২-১৪ জানুয়ারি

| প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে চা রপ্তানি বৃদ্ধি করতে পারবে। বাংলাদেশের চা শিল্পের উন্নয়নে পথ নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। সে মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে চায়ের উৎপাদন এ বছর রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা প্রায় ৭৮ মিলিয়ন কেজির বিপরীতে গত বছর প্রায় ৬৮ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।
এ বছর উৎপাদন ৮০ মিলিয়ন কেজি ছাড়িয়ে গেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে চায়ের উৎপাদন ১৩০ মিলিয়ন কেজি করা সম্ভব হবে। মন্ত্রী বলেন, চা প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের চা শিল্পের অবস্থান ও প্রকৃতি, বিভিন্ন ধরনের চা ও চা-এর সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন পণ্যের প্রসার, চা বাগানের নিজস্ব সংস্কৃতি ও কৃষ্টি, ব্লেন্ডার ও চা শিল্পের অংশীদারের মিলনস্থল এবং চা পর্যটন শিল্পের প্রচার দেশের মানুষ জানতে পারবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চা বোর্ড আয়োজিত বাংলাদেশ চা প্রদর্শনী-২০১৭’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, চা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী শিল্প। দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে চা-এর অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেড়েছে অনেক। বাংলাদেশের চা বেশ উন্নত মানের। বিশ^ বাজারে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিশ^বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম মোতাবেক যে কোনো পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি আমদানিও হয়।
দেশের এ চা শিল্পকে সহায়তা প্রদানের জন্য চা আমদানির উপর ট্যারিফ আরোপ করা হয়েছে। চা আমদানি করতে এখন চা বোর্ডে পূর্ব অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন হয়। চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন করা সম্ভব হলে চা আমদানির প্রবণতা আর থাকবে না।
ঢাকাস্থ বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের ২ নম্বর হলে (পুষ্পগুচ্ছ) আগামী ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি, তিনদিন বাংলাদেশ চা প্রদর্শনী চলবে। প্রদর্শনীতে ৩০টি প্যাভিলিয়ন এবং ২০টি স্টল থাকবে। চা শিল্পের যন্ত্রপাতি প্রদর্শনের জন্য চারটি প্রতিষ্ঠান অংশ নিবে। এতে কোনো প্রবেশমূল্য থাকবে না। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহা. সাফিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ টি এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আরদাশির কবিরসহ মন্ত্রণালয় ও টি এ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন