বিশ্বের সর্বোচ্চ শব্দদূষণের নগরী হল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনএপি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের দাবি, শব্দদূষণের কারণে শ্রবণ শক্তি হ্রাসের পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্য এবং আচার-আচরণ-উভয় ক্ষেত্রেই সমস্যার সৃষ্টি হয়। অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত শব্দের কারণে ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক স্বাভাবিক কার্যকলাপ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শব্দদূষণের কারণে দুশ্চিন্তা, উগ্রতা, উচ্চ রক্তচাপ, টিন্নিটাস, শ্রবণশক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাতসহ অন্যান্য ক্ষতিকর ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। এছাড়াও, অন্যান্য শারীরিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে স্মরণশক্তি হ্রাস, মানসিক অবসাদ ইত্যাদি হতে পারে।
শব্দদূষণের এইসব মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার পরিবেশ এখন বিপন্ন। দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যাপীট মারাত্মক শব্দদূষণে আক্রান্ত। বিভিন্ন সময়ে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে উচ্চস্বরে মাইক, সাউন্ড বক্স বাজানো, ক্যাম্পাসের ভিতর দিয়ে অবাধ যান চলাচল, ভাসমান দোকানপাট কেন্দ্রীক গণমানুষের ভীড় ইত্যাদি কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস এখন শব্দদূষণে নাকাল প্রায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য এবং পড়াশোনার পরিবেশের উপর। বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এসব নিয়ন্ত্রণে তৎপর দেখা গেলেও কার্যত এর কোনো দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে মানবসৃষ্ট এ দুর্ভোগের জন্য নাগরিক সমাজের অসচেতনতাকেও দায়ী করছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অনেকটাই আলাদা। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক বেশি পরিবেশ ও শিক্ষাবান্ধব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেকটাই শিক্ষা ও গবেষণার অনুকূল। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা নির্জন পরিবেশ বিরাজমান। বাইক, রিক্সা কিংবা ব্যাক্তিগড় গাড়ি আর মাইকের অসহনীয় সাউন্ড থেকে অনেকটাই মুক্ত এসব ক্যাম্পাস। ফলে এখানে ক্লাসে মনোযোগ দেয়া যায়, পরীক্ষায় মনোযোগ দেয়া যায় এবং সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ কাজ গবেষণায় মনোযোগ দেয়া যায়। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শব্দদূষণের কারণে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ঢাকার বুকে সর্বোচ্চ শব্দদূষণ এলাকা হচ্ছে শাহবাগ। আর এই এলাকায় অবস্থিত দেশের ঐতিহ্যাবাহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ক্যাম্পাসে আসলে কারো মনে হবে না যে এটা একটা বিশ্ববিদ্যালয়। এসময় অনেকটা বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সপ্তাহের অন্যান্য দিনও বিকেল থেকে বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়তে থাকে লক্ষণীয় মাত্রায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায়ই অপ্রয়োজনে ক্যাম্পাসে না আসার আহ্বান করা হলেও কোনরূপ পরিবর্তন নেই দৃশ্যপটে। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, ব্যক্তিগত কার, মোটরসাইকেল, রিক্সা ও ভারী যানবাহনের অবাধ প্রবেশাধিকার, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে উচ্চ আওয়াজে মাইকের ব্যবহার এবং ভাসমান দোকানপাট কেন্দ্রীক গণমানুষের ভীড় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা ও গবেষণার পরিবেশকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই এসব বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। তবে কেবল সমস্যা চিহ্নিত করণ নয়, এর সমাধানও ভেবে রেখেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ক্যাপসের চেয়ারম্যান ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শব্দদূষণ রোধে কিছু নীতিমালার কথা উল্লেখ করেন। শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৮-এ এর সংজ্ঞা অনুযায়ী চিহ্নিত জোনসমূহে (নীরব, আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প ও মিশ্র) সাইনপোস্ট উপস্থাপন করে জনসাধারণকে সচেতন করা, প্রয়োজন ছাড়া হর্ন বাজানোর থেকে বিরত থাকা, সন্ধ্যার পর উচ্চস্বরে গান না বাজানো এবং সন্ধ্যার পর নির্মাণ কাজ না করা, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো, শব্দদূষণের পূর্বাভাস দেওয়ার প্রচলন এবং পরিবেশ বিসিএস ক্যাডার নিয়োগ করা, জনস্বাস্থ্য ও স্বার্থ রক্ষায় সরকার ও সচেতন মহলের সমন্বিত অংশীদারিত্বমূলক, বিজ্ঞানভিত্তিক, টেকসই ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গত দশ বছরেও উন্নতি করতে পারেনি। বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে ঢাবির অবস্থান দিনদিন হতাশাজনক হচ্ছে। অবশ্য এসব নিয়ে মাথাব্যথাও নেই কতৃপক্ষের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সংবাদ মাধ্যমে প্রায় বলে থাকেন, যেসব সূচকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নির্ধারণ করা হয়, নানা সীমাবদ্ধতার কারণে সেসকল সূচকে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করতে না পারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং বাড়ছে না।
শব্দদূষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। অতএব এটা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়নেও যথেষ্ট বেগ পেতে হবে বলে মন্তব্য করেন তুরস্কের আতাতুর্ক ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী আবু তাহের। বিদেশি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনাই হয় না। এখানে ক্যাম্পাসের ভিতরে কোনো ব্যক্তিগত গাড়ি ঢুকতেই পারে না। সরকারি কিছু বাস ক্যাম্পাসের বাইরে চলাচল করে। এখানে ছাত্র রাজনীতি নেই। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সবগুলো কর্মসূচি হয় অডিটোরিয়াম কেন্দ্রীক। উন্মুক্ত জায়গায় কোনো ধরনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচি পালিত হয় না। অথচ ক্যাম্পাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতে অনেক বেশি উন্মুক্ত জায়গা রয়েছে। এখানে সবুজ গাছগাছালি, মনোরম পরিবেশে বসার জন্য সিট রয়েছে, ছাত্র শিক্ষকদের আড্ডা দেয়ার জন্য রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া। শ্রেণিকক্ষে বসে বাইরের কোনো সাউন্ড শোনার উপায় নেই।
একটা বিশ্ববিদ্যালয় কেমন হওয়া উচিত এমন প্রশ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর কামরুল হাসান মামুন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো একটা ধর্মীয় উপাসনালয়ের মতো যেখানে মানুষ জ্ঞান চর্চা করে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকরা থাকবে আর বাকিরা হলো এদের সহায়ক। এদের বাইরে কারো অযথা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনাগোনা উচিত নয়। ক্যাম্পাসটা হতে হবে নিরিবিলি। আর আমাদের এখানে কি হয়? এখানে মাইক যাচ্ছে, ট্রাক যাচ্ছে, দু’দিন পর তো মেট্রোরেলও যাবে। এগুলা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় হবে একটা পার্কের মতো। আমি শিক্ষক ক্লাস নিয়ে ক্লান্ত হব, একটা বেঞ্চ থাকবে, পাখির আওয়াজ থাকবে, আমি মনোমুগ্ধকর পরিবেশে তা দেখব, চিন্তা করব; ফলে নতুন নতুন আইডিয়া আসবে, গবেষণার নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে, ক্যাফেটেরিয়াতে যাব, ছাত্র শিক্ষকদের সাথে নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আলাপচারিতা করব, নতুন কিছু শিখব- এগুলোই হলো একটা বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল। শতভাগ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী হয়েও যদি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়টাকে সুন্দর করতে না পারি তাহলে সারা বাংলাদেশকে আমরা কীভাবে সুন্দর দেখাব? আজকে আমরা কোনো উদাহরণ সেট করতে পারিনি। আমরা উদাহরণ হতে পারিনি বলেই আজকে ক্যাম্পাসে বহিরাগতের আনাগোনা। তারা যখন দেখছে যে আমাদর মাঝে আর তাদের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই তখনই তারা নির্দ্বিধায় ক্যাম্পাসে আসছে এবং ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশকে ব্যাহত করছে। তারা তো নিউমার্কেট আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এখন আর আলাদাভাবে দেখতে পারছে না! আজকে যদি আমরা শিক্ষিত হতে পারতাম, আমরা যদি উদাহরণ হতে পারতাম, তাহলে তো তারা ক্যাম্পাসে এসে একটা ময়লা ফেলোনোর আগেও দশবার ভাবতো যে এটা তো শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর জায়গা! এখানে তো এমনটা করা যায় না!
এসব সমস্যার সমাধানকল্পে শব্দপ্রতিরোধক গ্লাস ব্যাবহারের পরামর্শ দেন ঢাবির এই প্রফেসর। তিনি আরো বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য সঠিক মানুষকে নির্বাচন করতে হবে এবং তাদের সুপারিশে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া যাবে না। আগে বুঝতে হবে আমরা সমাধান চাই, শিক্ষার মান বাড়াতে চাই; তাহলে আমাদের ইউনেস্কোর প্রেসক্রিপশন মানতে হবে। জিডিপির মিনিমাম ২.৫ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে।
ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট নীতিমালা তৈরি করা দরকার। যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরেকটু কঠোর হতে হবে। ঢাকার মধ্যে এরকম খোলা জায়গা, সবুজ পরিবেশ খুব সীমিত বিধায় জনসাধারণ এখানে এসে ভীড় করে। এটা তো দীর্ঘদিন ধরেই হয়ে আসছে। রাজনৈতিক মিছিল, মিটিং, সমাবেশ এখানে হচ্ছে। এখানে এসে মানুষ নতুন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে এবং সেটা গিয়ে নিজেদের জীবনে তারা এপ্লাই করছে। এটা তো একটা ইতিবাচক দিক। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে যখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনেক বেশি শিথিলতা দেখাচ্ছে ঠিক তখনই সমস্যার উদ্ভব হচ্ছে। তাই প্রশাসনকে একটা মাপকাঠি দাঁড় করাতে হবে। শিক্ষার পরিবেশ সমুন্নত রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, এসব বিষয়ে আমরা প্রায়ই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিয়ে যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুধু আইন প্রয়োগ করবে আর সিভিল সোসাইটি নিজেদের মতো চলবে - তাহলে তো সমস্যার সমাধান হবে না। আমরা তো মানবিক কারণে সবার সাথে কঠোর হতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ভাসমান দোকান রয়েছে যেগুলো আমরা উঠিয়ে দেয়ার পর আবার তারা বসে। কারণ তাদের রুজিরোজগারের তো এই একটাই উপায় রয়েছে।
এদিকে অনেক ছাত্র সংগঠন তাদের কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে আমাদের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে না। তবে ইতিবাচক একটা পরিবর্তন এসেছে। একটা সময় ছিল যখন এসব ছাত্র সংগঠন ক্লাস চলাকালীন সময়ে বারান্দায় পর্যন্ত স্লোগান মিছিল করতো। কিন্তু এখন সেটা আর দেখা যায় না। এখন ছাত্র সংগঠনগুলোতে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তারা উন্মুক্ত জায়গায় এখন কর্মসূচি করে থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য দিয়ে অন্তত সাতটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়েছে। যেগুলোতে প্রতিনিয়ত যানবাহন চলাচল করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’পাশে দু’টো বড় বড় হাসপাতাল। তাই চাইলেও এসব নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। আমরা ইতোমধ্যে সিটি করপোরেশনে চিঠি দিয়েছি। অনেক পরিবর্তনও আনা হয়েছে। বিভিন্ন মোড়ে ভারী যানচলাচলের প্রবেশাধিকার সংকীর্ণ করা হয়েছে।
প্রক্টর বলেন, আমাদের মিডিয়া হাউজ রয়েছে, বিবেকবান, সচেতন ও দায়িত্বশীল নাগরিক রয়েছে, আমাদের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা আছে- সবাই মিলে আমরা যদি একভাবে চিন্তা করি তাহলে সেটা একটা বড় ধরনের পরিবর্তনের মাইলফলক হবে। সেজন্য সকলের সহযোগিতা দরকার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন