শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

নগর জীবনে শব্দদূষণ

আহমেদ জুনাইদ তন্ময় | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৮:৪৭ এএম

মসজিদে আসরের নামজ পড়ছিলাম, হঠাৎ করেই মসজিদের বাইরে বেজে উঠে উচ্চ শব্দের গান, গানের তালে তালে চলছে প্রাইভেট হাসপাতালের প্রচারণা। এই রকম শব্দদূষণের কারণে অতিষ্ঠ নগরের সাধারণ জনগণ। রিকশায় মাইক বেঁধে উচ্চ শব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো, বিভিন্ন পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের প্রচার চালানোর জন্যই এই শব্দদূষণ হচ্ছে। এই শব্দদূষণের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রোগী, স্কুল-কলেজে পড়া শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। মানুষের স্বাভাবিক বা সহনীয় শব্দের মাত্রা ৫৫ থেকে ৬০ ডেসিবেল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ৬০ ডেসিবেলের অধিক শব্দ যদি দীর্ঘসময় ধরে চলতে থাকে তাহলে সাময়িক বধিরতা এবং ১০০ ডেসিবেলের বেশি হলে স্থায়ী বধিরতাও হতে পারে। দেশে এ সংক্রান্ত আইন শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ থাকলেও তা কেউ মানছে না। এই বিধিমালা অনুযায়ী নিরব, আবাসিক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপাসনালয়, হাসপাতালের সামনে এবং আবাসিক এলাকায় হর্ন বাজানো, মাইকিং করা সেইসঙ্গে সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নামে জোরে শব্দ সৃষ্টি করা আইনত দÐনীয়। তবে সেই আইনের কোনো প্রয়োগ দেখতে পাওয়া যায় না। শব্দদূষণের মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার পেছনে একেই প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করা যায়। অতিরিক্ত মাত্রায় শব্দদূষণের কারণে ইতোমধ্যে দেশের প্রায় ১২% মানুষ শ্রবণশক্তি হ্রাস পেয়েছে বলে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি জরিপে উঠে আসে। সেইসাথে যুক্ত হয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগসহ, ফুসফুসজনিত জটিলতা, মস্তিষ্ক বিকৃতি, স্মরণশক্তি হ্রাস, মানসিক চাপসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা। এ ব্যাপারে নিয়মিত সচেতনামূলক প্রচার-প্রচারণা করে এবং শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলে সমাজে কার্যকর প্রভাব পড়বে বলে আশা করি। তাই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিবেচনায় নেয়ার দাবি জানাই।

শিক্ষার্থী, আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
jack ali ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১১:৩৩ এএম says : 0
ইসলামের একটি প্রসিদ্ধ মূলনীতি হলো হারাম কাজের পথ বন্ধ করা, অর্থাৎ এর নিয়ম হলো যে সমস্ত কথা কিংবা কাজ হারামের দিকে ঠেলে দেয়; হারাম কাজের পথ খুলে দেয়, যেমন সিনেমা-নাটক গান বাজনা নাচানাচি, ভিডিও গেম, কার্টুন, মাদক, সহশিক্ষ। পুরুষ মহিলার অবাধ মেলামেশা, অশালীন কাপড় পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই পরে সে সমস্ত কথা বা কাজ কেও হারাম ঘোষনা করা যাতে হারামের পথ বন্ধ থাকে., আমাদের দেশ চলে গণতন্ত্র নামে একটা কুফুরী তন্ত্র আল্লাহ যেসব জিনিস হারাম করেছেন এ কুফরী তন্ত্র সব জিনিসকে হালাল করে দিয়েছে আর এর জন্য আমাদের দেশটা ধ্বংস হয়ে গেছে বাড়িতেও থাকা যায়না প্রতিবেশীরা গান বাজনা বাজায় জোরে সিনেমা দেখে নাটক দেখে তার থেকে শব্দদূষণ হয় প্রচন্ড কষ্ট হয়
Total Reply(0)
jack ali ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১১:৩৭ এএম says : 0
ধানমন্ডি আবাহনী মাঠের প্রায় সময় বড় বড় deck set দিয়ে সারাদিন গান বাজনা বাজানো হয় আর এই শব্দে ভীষণ কষ্ট হয় ও আল্লাহ আমাদের দেশে তোমার আইন প্রতিষ্ঠা করে দাও তাহলে আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারব
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন