অপহরন করে মুক্তিপন দাবির দু’দিন পর সাত বছরের শিশু আরিফুজ্জামানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায়। মুক্তিপণ দাবী করা মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে পুলিশ শরিফুল ইসলাম নামে এক ছাত্রকে আটক করে। পুলিশ সুপার ইফতেখার আহমেদের তত্ত্বাবধানে জিঙ্গাসাবাদের মাধ্যমে রবিবার দিনগত রাত ১২ টার প্রতিবেশী সালাম এর আঙিনায় পুতে রাখা লাশটি উদ্ধার করা হয়।
অপহৃত আরিফুজ্জামান (৮) খানসামার খামারপাড়া ইউনিয়নের কায়েমপুর ডাক্তারপাড়া মহল্লার বাসিন্দ কৃষক আতিউর রহমানের ছেলে। শিশুটি স্হানীয় চেহেলগাজী কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে ২য় শ্রেণিতে পড়ালেখা করতো। শুক্রবার বিকালে মাঠে খেলতে গিয়ে অপহরনের শিকার হয়েছিল শিশুটি।
স্থানীয়রা জানান, বিকালে খেলার মাঠ থেকে নিখোজের পর তার সন্ধ্যান করছিল স্বজন পাড়া পড়সিরা। রাত ৮ টার দিকে শিশুর বাবার মোবাইল ফোনে কোল দিয়ে মুক্তিপন হিসেবে ১লাখ টাকা দাবি করে অপহরনকারি। এব্যাপারে থানায় সাধারন ডাইরি করেন শিশুর পিতা।
খানসামা থানার ইনচার্জ চিত্তরঞ্জন রায় জানান, মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে গোয়ালডিহী বিএম কলেজের কম্পিউটার ট্রেডের ছাত্র শরিফুল ইসলামকে আটক করেন তারা। রবিবার রাত ১২ টার দিকে পাকেরহাটের একটি চাউল কলের পাশে আব্দুস সালামের বাড়ীর আঙ্গিনার মাটি খুড়ে বস্তাবন্দি অবস্হায় অপহৃত শিশু আরিফুজ্জামানের লাশ উদ্ধার করেছেন তারা। ওই বাড়ীতে খন্ডকালিন দিনের বেলা ব্যবহার করতো অপহরনকারি কলেজ ছাত্র শরিফুল ইসলাম। ময়না তদন্তে আজ সোমবার দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের মর্গে লাশ প্রেরন করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন