হত্যার প্রায় ১৫ ঘন্টার পর ঘাতক স্বামী মনোয়ার হোসেন মিঠু নিজেই থানায় আত্বসমর্পন করেছে। শুক্রবার (বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে) ভোরের কোন এক সময়ে স্ত্রী সুমাইয়াকে হত্যার পর রাত ১০ টায় থানায় আত্বসমর্পনের পর পুলিশ মধ্যরাতে লাশ উদ্ধার করে। ব্যস্ততম দিনাজপুর শহরের ঘাসিপাড়া মহল্লায় চতুর্থ তলা ফ্লাটে এই ঘটনা ঘটলেও ফ্লাটের অন্য কেউ এমনকি আশপাশের কেউ ঘটনাটি জানতে বা বুঝতেও পারেনি। বিয়ের মাত্র একমাসের মাথায় স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার (২৭) কে গলায় ওড়না পেচিয়ে স্বাসরোধ করে হত্যার কথা পুুলিশের কাছে স্বীকার করেছে সে । তবে হত্যার সঠিক কারন জানতে পারেনি পুলিশ।
মনোয়ার হোসেন দিনাজপুর শহরের ছোট গুড়গোলার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে। গাজিপুর নিবাসী নিঃসন্তান স্ত্রীকে তালাক দিয়ে মাস খানেক আগে বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুরের কলেজপাড়া এলাকার আব্দুল খালেকের মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ঘাসিপাড়া মহল্লায় শিক্ষক বাবুল এর বাসার চতুর্থ তলায় বসবাস করতো।
মনোয়ারের দেয়া প্রাথমিক তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশের সদর সার্কেলের অতিরিক্ত সুপার শেখ মোঃ জিন্নাহ আল মামুন জানান, শুক্রবার রাত ৩টা থেকে ৪ টার মধ্যে স্ত্রীকে শ^াসরুদ্ধ করে হত্যার পর মরদেহ ওয়ারড্রপে লুকিয়ে রাখেছিল সে। দিনশেষে পর রাত ১০টার দিকে কোতয়ালী থানায় গিয়ে আতœসমর্পন করেছে মনোয়ার হোসেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্ত মরদেহ এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে আজ শনিবার মামলার প্রস্ততি নিচ্ছে সুমাইয়া আক্তারের অভিভাবক। হত্যার প্রকৃত কারণ জানতে চেষ্টা করছেন তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন