বিজয় দিবসের ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। গতকাল শুক্রবার সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে হাজারো পর্যটককে ছুটে বেড়াতে দেখা যায়। আবার অনেকে যেন সাগরের পানিতে গোসল করে তাদের দীর্ঘদিনের তৃষ্ণা মিটিয়ে নিচ্ছেন।
এদিকে পর্যটকের আগমনে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে চাঙ্গাভাব সৃষ্টি হয়েছে। বিগত ১০ ডিসেম্বরের উত্তেজনাকে ঘিরে কক্সবাজার সৈকত এবং হোটেল-মোটেল অনেকটা ছিল পর্যটক শূন্য। কিন্তু বিজয় দিবসের ছুটিতে আবারো পর্যটকের ঢল নেমেছে কক্সবাজারে। ব্যাপক পর্যটক আগমনে খুশি হোটেল মালিক ও পর্যটন ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম সিকদার জানান, বিজয় দিবসের ছুটি থেকে ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত হোটেলগুলোতে ভালই বুকিং হয়েছে। এতে পর্যটন ব্যবসা সংশ্লিষ্ট ছাড়াও কক্সবাজারের সর্বস্তরের মানুষ খুশি। কক্সবাজারের নবাগত জেলা প্রশাসক মো. শাহিন ইমরান বলেন, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের প্রসার এবং উন্নয়নে সরকার অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় জনগণের এ বিষয়ে সহযোগিতা প্রয়োজন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজার সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্ট, লাবনী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, ডলফিন মোড়, হিমছড়ি, ইনানী ও টেকনাফ সৈকতে হাজারো পর্যটক যাতায়াত করছেন। ট্যুরিস্ট পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন পর্যটন এলাকায় যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সার্বক্ষণিক সতর্ক রয়েছে।
এদিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ৪২ ফুট উচ্চতার দৈত্য। প্লাস্টিক দূষণরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এই প্লাস্টিক দৈত্যটি তৈরি করা হয়। এটি পর্যটকদের বেশ দৃষ্টি কাড়ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন