বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কালিয়াকৈর হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি নিয়েই মায়ের জানাজা পড়ালেন বিএনপি নেতা

কালিয়াকৈর (গাজীপুর)উপজেলা সংবাদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:৫১ পিএম

মায়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পান কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আলী আজম। উপজেলার পাবরিয়াচালা এলাকায় নিজ বাড়িতে পৌঁছে তিনি হাতে হাতকড়া আর পায়ে ডান্ডাবেড়ি নিয়েই মায়ের জানাজা পড়ান। মো. আলী আজমের মা সাহেরা বেগম (৬৭) বার্ধক্যজনিত কারণে গত রোববার বিকেলে মারা যান। মৃতের স্বজনেরা জানায়, কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আলী আজমের মা গত রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মারা যান। মায়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে শেষবার মাকে দেখতে ও মায়ের জানাজা নিজে পড়াতে আইনজীবীর মাধ্যমে সোমবার প্যারোলে মুক্তির আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। তবে সোমবার না দিয়ে আদালত তাকে মঙ্গলবার তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেন। পরে তিনি প্যারোলে মুক্তি পেয়ে হাতকড়া ও পায়ে ডান্ডাবেড়ি পড়া অবস্থায় নিজ বাড়ির পাশে মায়ের জানাজা পড়ান। জানাজা চলাকালেও আলী আজমের হাতে থাকা হাতকড়া ও পায়ে ডান্ডাবেড়ি খুলে দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জানাজায় উপস্থিত লোকজন। জানাজার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার লোকজনের মাঝে ব্যাপক আলোচনা হয়। জানাজায় উপস্থিতে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, উপজেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমেদসহ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।উপজেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমেদ বলেন, ‘মায়ের মৃত্যুর খবরে আলী আজমকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কিš‘ দুঃখজনক হলেও সত্যি তার মায়ের জানাজা পড়ানোর সময়ও তার হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দেওয়া হয়নি।মৃতের ছোট ছেলে আতাউর রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করলে বাবাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। কিš‘ দাদির জানাজার নামাজ পড়ানোর সময় বাবার হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দিতে বললেও পুলিশ খুলে দেয়নি। ২৯ নভেম্বর তারিখে কালিয়াকৈর থানায় দায়ের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় পুলিশ ২ডিসেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায় । এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা কারাগারের সুপার মোহাম্মদ বজলুর রশিদ বলেন, ‘আলী আজমকে ৯ জন পুলিশ সদস্যসহ মায়ের জানাজার জন্য তাঁর বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। জেল আইন মেনে সরকারের উ”চ পর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী মায়ের জানাজার জন্য আলী আজমকে তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন