রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে রেলের নানা ধরনের উন্নয়ন মূলক কাজ চলমান রয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে আরও একটি রেলসেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। আগামী বছর জুনে এ কাজ শেষ হবে। তখন চিলাহাটি-ঢাকা রুটে আরও একটি নীলসাগর ট্রেন চালু করা হবে।
(১ জানুয়ারি) রোববার বিকেলে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার রেলকে শেষ করে দিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রেলপথ মন্ত্রণালয় নামে একটি পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন করে।
তিনি বলেন, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এ কারখানার ভেতরে একটি নতুন কোচ (ক্যারেজ) কারখানা নির্মাণ করার জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হয়েছে। শূন্য খালাসী পদের জন্য মৌখিক পরীক্ষাও সম্পূর্ণ হয়েছে। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এ নিয়োগ দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে মিটারগেজ (ছোটলাইন) ও ব্রডগেজ (বড়লাইন) এ দুই ধরনের রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা চালু আছে। এ ব্যবস্থা ভেঙে বহির্বিশ্বের সঙ্গে তালমিলিয়ে আমাদের দেশেও শুধু ব্রডগেজ যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে করে রেলসেবা আরও গতিশীল হবে।
এর আগে বিকেলে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন দেশের সর্ববৃহৎ রেলওয়ে কারখানায় এসে পৌঁছালে বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মো. সাদেকুর রহমান তাঁকে স্বাগত জানান। প্রথমে মন্ত্রী সৈয়দপুরের রেলওয়ে অঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত বরণকারীদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্মারক অদম্য স্বাধীনতায় শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।
এরপর তিনি সৈয়দপুর রেল কারখানার কয়েকটি উপকারখানা (শপ) ঘুরে দেখেন ও শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। পরে মন্ত্রী সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় সংরক্ষিত ব্রিটিশ রানী ব্যবহৃত সেলুন কোচ পরিদর্শন করেন।
এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (এডিজি, আরএস) মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার, প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী মুহাম্মদ কুদরত-ই খুদা প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন