প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাধা তো আছে। বাধা তো থাকবে। এক হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ তারপরে হচ্ছে মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ। আর আন্তর্জাতিকভাবে কিছু বাধা বারবার আসে। গত ১৪ বছরের মধ্যে বাংলদেশটা তো বদলে গেছে। এই যে ভ‚মিহীন-গৃহহীন মানুষ, যার জীবনের কোনো ঠিকানাই ছিল না। সে একটি ঠিকানা পাাচ্ছে; এর থেকে বড় কাজ বোধহয় আর কিছু হতে পারে না। গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনস অব ব্যাংকসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এখনও দেশের ওপর থেকে থেমে যায়নি ঝড়-ঝাপটাটা। ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন আর পাল্টা স্যাংশন যার জন্য আমাদের রিজার্ভের ওপরও চাপ পড়ছে।
সৌজন্য সাক্ষাতে এসে ভ‚মিহীন-গৃহহীনদের ঘর নির্মাণের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩৬টি ব্যাংক অনুদান হিসেবে ১১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা দেয়। সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের বিষয়টি ব্রিফ করেন।
শাখাওয়াত মুন জানান, বিভিন্ন সময় অনুদান দেওয়ার জন্য ব্যাংকারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানাই। যে কোনো দুযোর্গ-দুর্বিপাকে আমার বলতেও হয় না আপনারা স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে চলে আসেন এবং সহযোগিতা করেন। আপনাদের এই অনুদান মানুষের কাজে লাগে। হয়ত আপনারা এটি চিন্তাও করতে পারবেন না। কত মানুষকে কতভাবে আমরা সাহায্য করি। তিনি আরো জানান, বাংলাদেশে একটি মানুষও ভ‚মিহীন থাকবে না ঠিকানাবিহীন থাকবে না; এটিই আমাদের লক্ষ্য। একজন গৃহহীন মানুষ বা ভ‚মিহীন গৃহহীন মানুষ, যার জীবনের কোনো ঠিকানাই ছিল না। সে একটি ঠিকানা পাাচ্ছে। এর থেকে বড় কাজ বোধহয় আর কিছু হতে পারে না। কাজেই আমি মনে করি তাদের দোয়া আপনারাও পাবেন।
গৃহহীন ও ভ‚মিহীনদের ঘর নির্মাণে প্রত্যেকে আন্তরিকার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বলে তাদের অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে কিছু বাধা বারবার আসে। গত ১৪ বছরের মধ্যে বাংলদেশ বদলে গেছে। এখন যেমন করোনা এবং ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে আজকে সমস্ত জিনিসের দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। যত দাম বৃদ্ধিই হোক আমরা কিন্তু খাদ্য শস্য কিনে আনছি। আমাদের সব রকম ব্যবস্থা মানুষের জন্য করে যাচ্ছি। আর সস্তায় মানুষ যেন খাবার কিনতে পারে বা মানুষকে দিতে পারি সেই ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন আমরা বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি। যার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য শিল্প-কলকারখানা সবাই কিন্তু চালু রাখতে পেরেছে। বিশেষ সুবিধা দিয়েছিলাম বলেই অর্থনীতির চাকাটি আমরা এখনও গতিশীল রাখতে পেরেছি।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনস অব ব্যাংকসের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের নেতৃত্বে বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালকরা আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন