খলিলুর রহমান : ছড়া ও খাল রক্ষায় সিলেটের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি একনেকেও অনুমোদন পেয়েছে। প্রায় ২৩৬ কোটি টাকার ওই প্রকল্পের কাজ আগামী জানুয়ারিতে শুরু হবে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সিসিক সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় ২৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এবারই প্রথমবারের মতো শুধুমাত্র ছড়া ও খাল রক্ষায় এতবড় প্রকল্প পেল সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সিলেটের ছড়া ও খাল রক্ষার পাশাপাশি তা দৃষ্টিনন্দন করার সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকার ২০০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা দেবে। বাকি ৩৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা সিটি করপোরেশন নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করবে। প্রকল্পের আওতায় সিলেটের ১৩টি ছড়ার ২৬.৯৬ কিলোমিটার আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া ৫ কিলোমিটার ইউটাইপ ড্রেন, সাড়ে তিন কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, ১০ কিলোমিটার ছড়া ও খাল খনন করা হবে। এ ছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় ৯টি ইকুইপমেন্ট ক্রয় করা হবে যার মধ্যে রয়েছে এমপিএসআইব্আিই এস্কাভেটর, উভচর এই এস্কাভেটর দিয়ে নদী খননও করা যাবে। প্রকল্পের আওতাভুক্ত ছড়া ও খালগুলো হচ্ছে- মালনীছড়া, গোয়ালীছড়া, গাভীয়ার খাল, মুগনীছড়া, কালীবাড়ী ছড়া, হলদিছড়া, যুগনীছড়া, ধোপাছড়া, বুবিছড়া, বাবুছড়া, রতœার খাল, জৈন্তার খাল ও বসুর খাল।
২০১৪ সালের শেষের দিকে প্রকল্পটি প্রণয়ন করার পর বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে গত বৃহস্পতিবার একনেকে অনুমোদন পায়।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন, ‘এই প্রকল্পের মূল কৃতিত্ব অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারণেই এই প্রকল্প পেয়েছে সিসিক।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পর নবরূপ পাবে সিলেটের ছড়া ও খাল। বাড়বে সৌন্দর্যও। প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে সিসিক সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন