শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দুদককে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো: আসাদুজ্জামানের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি এ নির্দেশ দেন। ১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আগামি ১০ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
বাদীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো: গাফ্ফর হোসেন। তিনি বলেন, আদালত মামলাটির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের তারিখ ধার্য ছিল সোমবার। এদিন শুনানি শেষে আদালত মামলার অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ১০ নভেম্বর একই আদালতে ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো: শাহাব উদ্দিন সরকার আদালতে হাজির হয়ে তাকসিম এ খানসহ সংশ্লিষ্ট ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
মামলার এজাহারে তাকসিম ছাড়াও ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক মিঞা মো: মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মো: আখতারুজ্জামান, রাজস্ব পরিদর্শক মো: জাকির হোসেন, প্রকৌশলী মো: বদরুল আলম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম শ্যামল বিশ্বাস, উপসচিব শেখ এনায়েত উল্লাহ ও উপ-প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো: সালেকুর রহমানকে আসামি করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ১৭৩ টাকা ঢাকা ওয়াসা থেকে রাজস্ব আদায় কাজ বাবদ পায়। ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ অর্থবছরে একই কাজ বাবদ সমিতি আয় করে ৩৪ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯০ টাকা। এর মধ্যে ২০১৭ থেকে ২০১৮ অর্থবছরে সমিতির হিসাবে জমা হয় ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৩ টাকা।
অবশিষ্ট ১৩২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা ৬টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে আসামি তাকসিম এ খানের প্রত্যক্ষ মদদে ও নির্দেশে অপর আসামিরা টাকাগুলো উত্তোলন এবং আত্মসাৎ করেন। এছাড়া সমিতির গাড়িসহ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সমিতির হেফাজত থেকে স্থানান্তর করে প্রায় ২ শ’ কোটি টাকার সমমূল্যের সম্পদ চুরি করে আসামিরা। আসামিদের এই আত্মসাতের বিষয়টি সমবায় অধিদপ্তরের অডিট রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন