বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নির্বাচনী ফলাফলে জালিয়াতি : ভোটের ৭ বছর পর প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নোয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২৩, ৪:০৩ পিএম

নোয়াখালীর হাতিয়ায় নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ায় অভিযোগে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. আবু সোলাইমানের বিরুদ্ধে সাত বছর পর মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে বিজয়ী প্রার্থী শেফালী বেগমকেও আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুদকের সমন্বিত নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক আরিফ আহম্মদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

আসামি মো. আবু সোলাইমান হাতিয়ার জাহাজমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও জাহাজমারা গ্রামের ওয়ালী উল্যাহর ছেলে। এছাড়া অপর আসামি শেফালী বেগম বুড়িরচর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রেহানিয়া গ্রামের আবদুর রবের স্ত্রী।

দুদক জানায়, ২০১৬ সালের ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের চারুবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী শেফালী বেগম (হেলিকপ্টার) ৫০০ ভোট পেলেও তাকে অনৈতিক সুবিধা দিতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. আবু সোলাইমান ফলাফলে ঘষামাজা করে ৫৫০ ভোট পেয়েছেন বলে ঘোষণা দেন।

এতে পাঁচ কেন্দ্রে ১২ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নয়ন বেগম (সূর্যমুখী ফুল)। তিনি ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নোয়াখালী নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। আদালত ওই মামলা বিচার শেষে ২০১৭ সালের ১৫ মে রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. আবু সোলাইমানের জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণিত হয়। এতে দেখা যায়, বুড়িরচর ইউনিয়নের চারুবালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট এক হাজার ৬৯ ভোট পড়ে। এরমধ্যে শেফালী বেগম পেয়েছেন ৫০০ ভোট, নাছিমা আক্তার ১৮০ ভোট, নয়ন বেগম ২৩১ ভোট এবং বাতিল ভোট ১৫৩। এ কেন্দ্রের পাঁচটি ভোট পাওয়া যায়নি।

পরে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সোলাইমান বাতিল ১৫৩ ভোটকে ১০৩ ভোট দেখিয়ে শেফালী বেগমকে ৫০০ ভোটের স্থলে ৫৫০ ভোট পেয়েছেন বলে ফলাফল ঘোষণা করেন। তবে ওই ফলাফলে কোনো প্রার্থী বা তাদের পক্ষে এজেন্টদের কারো স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি।

দুদকের উপসহকারী পরিচালক আরিফ আহম্মদ ইনকিলাবকে বলেন, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধ করেছেন। এ বিষয়ে ২০২০ সালের ১ নভেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ের এবং একই বছরের ১৭ নভেম্বর দুদকের সমন্বিত নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের নির্দেশে মামলাটি করা হলো।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন