বৈশ্বিক মহামারি করোনার রূঢ়তা ছাপিয়ে এবার নির্দিষ্ট সময়েই শুরু হচ্ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব অমর একুশে বইমেলা-২০২৩। করোনার কারণে গত তিনবছর নানা বাধা বিপত্তির মধ্য দিয়ে গেলেও এবার পুরোনো আমেজে ফিরছে বইমেলা। ‹পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ› শীর্ষক প্রতিপাদ্য ধারণ করে আগামীকাল ১ ফেব্রæয়ারি বেলা ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইমেলা উদ্বোধন করবেন। মেলা আয়োজন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। অধিকাংশ স্টল ও প্যাভিলিয়নের কাজ শেষ হলেও এখনো কানে বাজছে বাঁশ, কাঠ, আর পেরেকে হাতুড়ি পেঠার ঠকঠক শব্দ। জানান দিচ্ছে দর্শনার্থীদের জন্য এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি মেলাপ্রাঙ্গণ। এবারের মেলায় সরকারি বেসরকারি ছোট বড় মোট ৬০১ টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ এর সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে গতকাল সোমবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন আয়োজক কমিটি। এতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ ন‚রুল হুদা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অমর একুশে বইমেলা ২০২৩-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি প্রকাশিত সাতটি নতুন বইয়ের মোড়ক-উন্মোচন করবেন এবং বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২২ প্রদান করবেন। বইমেলার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, এবার বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি ইউনিট অর্থাৎ মোট ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০১টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৮টি প্যাভিলিয়ন থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার বইমেলার আঙ্গিকগত ও বিন্যাসে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশন-এর অবস্থানগত কারণে গতবারের মূল প্রবেশপথ এবার একটু সরিয়ে বাংলা একাডেমির মূল প্রবেশপথের উল্টো দিকে অর্থাৎ মন্দির-গেটটি মূল প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। গতবারের প্রবেশপথটি বাহির-পথ হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। এছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউশন অংশে আরো ৩টি প্রবেশ ও বাহির-পথ থাকবে। গতবার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিটিউশন অংশে ১৮২টি স্টল এবং ১১টি প্যাভিলিয়ন ছিল। পাঠক, দর্শক এবং প্রকাশকদের সম্মিলিত আহŸানে এবার তাদের দৃশ্যমান অংশে সন্নিবেশ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।এবার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিটিউশনের ওই অংশে নামাজের স্থান, ওয়াশরুমসহ অন্যান্য পরিষেবা অব্যাহত থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন