অমর একুশে বইমেলার ২৪তম দিনে নতুন বই এসেছে ২৩৯টি। আজ শুক্রবার গল্পের বই ২৩টি,উপন্যাস ২৬টি, প্রবন্ধ ১৭টি,কবিতার বই ৮৬টি, গবেষণা গ্রন্থ ২টি, ছড়ার বই ১০টি, শিশুসাহিত্য ৩টি, জীবনী গ্রন্থ ৭টি, রচনাবলি ৫টি,নাটক ২টি, বিজ্ঞান বিষয়ক বই ৫টি, ভ্রমন কাহিনী ৩টি, ইতিহাস গ্রন্থ ১৫টি,বঙ্গবন্ধর ওপর ৩টি, সায়েন্স ফিকশন ৪টি এবং অন্যান্য ১৭টিসহ মোট ২৩৯টি বই এসেছে।
আজ মেলা শুরু হয় সকাল ১১টায় । সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মেলায় ছিল শিশুপ্রহর।
সকাল সাড়ে ১০টায় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন,আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, সভাপতিত্ব করেন নাট্যজন ফেরদৌসী মজুমদার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতাসমূহের আহ্বায়ক কাজী রুমানা আহমেদ সোমা, সায়েরা হাবীব, ফারহানা খানমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিকাল ৪ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় আধুনিকতা, উত্তর-আধুনিকতা ও পরবর্তীকালের সাহিত্যতত্ত্ব শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাসুদুজ্জামান। রাশিদ আসকারী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নিরঞ্জন অধিকারী, এজাজ ইউসুফী, বিপ্লব মোস্তাফিজ।
প্রাবন্ধিক বলেন, বিশ্বে সাহিত্যতত্ত্ব নিয়ে রচিত গ্রন্থের সংখ্যা বিপুল। এর কারণ তত্ত্ব সম্পর্কে পৃথিবীর সব প্রান্তেই লেখক, পাঠক ও সমালোচকদের রয়েছে অনি:শেষ আগ্রহ। মানবিক কর্মকা- যত বাড়ছে, নতুন নতুন বিষয়ের আবির্ভাব ঘটছে, তত্ত্বের পরিসরও তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তত্ত্বচর্চার মধ্য দিয়েই আত্মপরিচয়ের বিনির্মাণ, লৈঙ্গিক পার্থক্যের অপসারণ, নি¤œবর্গের মানুষকে আরও ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা চলছে। বৈশ্বিকভাবে আজ অবধি যত তত্ত্বের আবির্ভাব ঘটেছে তার মধ্যে আধুনিকতা, উত্তর-আধুনিকতা, উত্তর-উপনিবেশবাদ খুবই শক্তিশালী প্রভাব বজায় রেখেছে।
আলোচকবৃন্দ বলেন, আধুনিকতা, উত্তর-আধুনিকতা এবং পরবর্তীকালের সাহিত্যতত্ত্বের পটভূমি অনেক বিস্তৃত। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি ভাষার সাহিত্যে এসব তত্ত্ব নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক চিন্তা, সামাজিক চিন্তা ও সাহিত্যিক চিন্তা থেকেই মানবতাবাদী চিন্তক ও তাত্ত্বিকগণ সময়োপযোগী তত্ত্বের বিকাশ ঘটান। আজ তত্ত্ব, তাত্ত্বিক বয়ান ও তাত্ত্বিক বিতর্কের কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে গেছে সাহিত্য ও সংস্কৃতি। সে কারণে কেবল সাহিত্যকে কেন্দ্র করেই উদ্ভব ঘটেছে বিভিন্ন তত্ত্বের।
আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন আশরাফ জুয়েল, রণজিৎ সরকার, মেহেদী হাসান শোয়েব, কানিজ পারিজাত।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন রেজাউদ্দিন স্টালিন, নাজমুন নেসা পিয়ারি, রওশন ঝুনু, ফরিদা ইয়াসমিন সুমি, নাঈমা খানম, মাদুসুল হক, হাসান মাহমুদ, প্রত্যয় জসিম, মাহী ফ্লোরা, প্রসপারিনা সরকার এবং মনিরুজ্জামান রোহান। আবৃত্তি পরিবেশন করেন শাহ কামাল সবুজ, আজহারুল হক আজাদ, শিরিন সুলতানা, ফারজানা মালিক নিম্মী, অনিকেত রাজেশ। এছাড়া ছিল কাঙাল মজিবরের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কাঙ্গাল হরিনাথ সাংস্কৃতিক সংগঠন’, এ. কে. আজাদের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আনন্দন’, শাহাবুদ্দিন আহমেদ দোলনের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সুর সুধা সংগীতায়ন’, সিদ্দিকুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন ‘মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র’, সুবর্না আফরিনের পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন ‘কিংবদন্তী আবৃত্তি পরিষদ’-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী আবিদা রহমান সেতু, আফরোজা খান মিতা, মারুফ হোসেন, আশরাফ উদাস এবং অগ্নিতা সিকদার মুগ্ধ। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন জয় সিংহ রায় (তবলা), ডালিম কুমার বড়–য়া (কি-বোর্ড), বিপিন চন্দ্র রায় (বাঁশি) এবং রণজিৎ বৈরাগী (দোতারা)।
আগামীকাল শনিবার হবে অমর একুশে বইমেলার ২৫তম দিন। মেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আগামীকাল সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মেলায় শিশুপ্রহর চলবে।
বিকাল ৪ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে কোভিড-১৯ : ভাষার বৈশ্বিকতা ও বাংলাদেশের সাহিত্য এবং কোভিড-১৯ : সংস্কৃতির সংকট ও রূপান্তর শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন হাকিম আরিফ এবং মোহাম্মদ শেখ সাদী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন পারভেজ হোসেন, হামীম কামরুল হক, কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী এবং আবুল হাসান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন রফিকউল্লাহ খান।
অমর একুশে বইমেলার ২৪তম দিনে নতুন বই এসেছে ২৩৯টি
অনলাইন ডেস্ক: অমর একুশে বইমেলার ২৪তম দিনে নতুন বই এসেছে ২৩৯টি। আজ শুক্রবার গল্পের বই ২৩টি,উপন্যাস ২৬টি, প্রবন্ধ ১৭টি,কবিতার বই ৮৬টি, গবেষণা গ্রন্থ ২টি, ছড়ার বই ১০টি, শিশুসাহিত্য ৩টি, জীবনী গ্রন্থ ৭টি, রচনাবলি ৫টি,নাটক ২টি, বিজ্ঞান বিষয়ক বই ৫টি, ভ্রমন কাহিনী ৩টি, ইতিহাস গ্রন্থ ১৫টি,বঙ্গবন্ধর ওপর ৩টি, সায়েন্স ফিকশন ৪টি এবং অন্যান্য ১৭টিসহ মোট ২৩৯টি বই এসেছে।
আজ মেলা শুরু হয় সকাল ১১টায় । সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মেলায় ছিল শিশুপ্রহর।
সকাল সাড়ে ১০টায় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন,আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, সভাপতিত্ব করেন নাট্যজন ফেরদৌসী মজুমদার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতাসমূহের আহ্বায়ক কাজী রুমানা আহমেদ সোমা, সায়েরা হাবীব, ফারহানা খানমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিকাল ৪ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় আধুনিকতা, উত্তর-আধুনিকতা ও পরবর্তীকালের সাহিত্যতত্ত্ব শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাসুদুজ্জামান। রাশিদ আসকারী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নিরঞ্জন অধিকারী, এজাজ ইউসুফী, বিপ্লব মোস্তাফিজ।
প্রাবন্ধিক বলেন, বিশ্বে সাহিত্যতত্ত্ব নিয়ে রচিত গ্রন্থের সংখ্যা বিপুল। এর কারণ তত্ত্ব সম্পর্কে পৃথিবীর সব প্রান্তেই লেখক, পাঠক ও সমালোচকদের রয়েছে অনি:শেষ আগ্রহ। মানবিক কর্মকা- যত বাড়ছে, নতুন নতুন বিষয়ের আবির্ভাব ঘটছে, তত্ত্বের পরিসরও তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তত্ত্বচর্চার মধ্য দিয়েই আত্মপরিচয়ের বিনির্মাণ, লৈঙ্গিক পার্থক্যের অপসারণ, নি¤œবর্গের মানুষকে আরও ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা চলছে। বৈশ্বিকভাবে আজ অবধি যত তত্ত্বের আবির্ভাব ঘটেছে তার মধ্যে আধুনিকতা, উত্তর-আধুনিকতা, উত্তর-উপনিবেশবাদ খুবই শক্তিশালী প্রভাব বজায় রেখেছে।
আলোচকবৃন্দ বলেন, আধুনিকতা, উত্তর-আধুনিকতা এবং পরবর্তীকালের সাহিত্যতত্ত্বের পটভূমি অনেক বিস্তৃত। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি ভাষার সাহিত্যে এসব তত্ত্ব নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক চিন্তা, সামাজিক চিন্তা ও সাহিত্যিক চিন্তা থেকেই মানবতাবাদী চিন্তক ও তাত্ত্বিকগণ সময়োপযোগী তত্ত্বের বিকাশ ঘটান। আজ তত্ত্ব, তাত্ত্বিক বয়ান ও তাত্ত্বিক বিতর্কের কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে গেছে সাহিত্য ও সংস্কৃতি। সে কারণে কেবল সাহিত্যকে কেন্দ্র করেই উদ্ভব ঘটেছে বিভিন্ন তত্ত্বের।
আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন আশরাফ জুয়েল, রণজিৎ সরকার, মেহেদী হাসান শোয়েব, কানিজ পারিজাত।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন রেজাউদ্দিন স্টালিন, নাজমুন নেসা পিয়ারি, রওশন ঝুনু, ফরিদা ইয়াসমিন সুমি, নাঈমা খানম, মাদুসুল হক, হাসান মাহমুদ, প্রত্যয় জসিম, মাহী ফ্লোরা, প্রসপারিনা সরকার এবং মনিরুজ্জামান রোহান। আবৃত্তি পরিবেশন করেন শাহ কামাল সবুজ, আজহারুল হক আজাদ, শিরিন সুলতানা, ফারজানা মালিক নিম্মী, অনিকেত রাজেশ। এছাড়া ছিল কাঙাল মজিবরের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কাঙ্গাল হরিনাথ সাংস্কৃতিক সংগঠন’, এ. কে. আজাদের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আনন্দন’, শাহাবুদ্দিন আহমেদ দোলনের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সুর সুধা সংগীতায়ন’, সিদ্দিকুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন ‘মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র’, সুবর্না আফরিনের পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন ‘কিংবদন্তী আবৃত্তি পরিষদ’-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী আবিদা রহমান সেতু, আফরোজা খান মিতা, মারুফ হোসেন, আশরাফ উদাস এবং অগ্নিতা সিকদার মুগ্ধ। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন জয় সিংহ রায় (তবলা), ডালিম কুমার বড়–য়া (কি-বোর্ড), বিপিন চন্দ্র রায় (বাঁশি) এবং রণজিৎ বৈরাগী (দোতারা)।
আগামীকাল শনিবার হবে অমর একুশে বইমেলার ২৫তম দিন। মেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আগামীকাল সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মেলায় শিশুপ্রহর চলবে।
বিকাল ৪ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে কোভিড-১৯ : ভাষার বৈশ্বিকতা ও বাংলাদেশের সাহিত্য এবং কোভিড-১৯ : সংস্কৃতির সংকট ও রূপান্তর শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন হাকিম আরিফ এবং মোহাম্মদ শেখ সাদী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন পারভেজ হোসেন, হামীম কামরুল হক, কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী এবং আবুল হাসান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন রফিকউল্লাহ খান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন