চট্টগ্রাম ব্যুরো : করুণার পাত্র নয়, মুক্তিযোদ্ধারা বীরের মত বেঁচে থাকবেন উল্লেখ করে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সরকার অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। গতকাল (সোমবার) নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ১০ জন বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা পাঁচ জন সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধাসহ ১৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
স্বপরিবারে সংবর্ধিত মুক্তিযোদ্ধাদের সরব উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যেককে নগদ ১০ হাজার টাকা, সম্মাননা ক্রেস্ট ও ফুলেল শুভেচ্ছায় সংবর্ধিত করা হয়। সংবর্ধিত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সাবেক গণ পরিষদ ও সংসদ সদস্য ইসহাক মিয়া, এবং আবু সালেহ, সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মরহুম মৌলভী সৈয়দ আহমদ, জহুর আহমদ চৌধুরীর সন্তান মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, ৫জন সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা মঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত, নিজাম উদ্দিন আহমেদ, নওশের আলী খান, দেব প্রসাদ দাশ দেবু এবং মরহুম ওসমানুল হককেও সম্মাননা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য সাবিহা নাহার মুসা, রাশিয়ার কনসুল জেনারেল মি. ওলেগ পি. বয়কো, চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় দূতাবাসে সহকারী হাই কমিশনার সোমনাথ হালদার প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হোসেন।
মেয়র বলেন, দায়িত্ব গ্রহণ করার পরই অবহেলিত ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের দুর্দশার কথা বিবেচনায় এনে ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ঘর তৈরি করে দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করি। এই পরিকল্পনার আওতায় চলতি অর্থ বছরে ১০ জন মুক্তিযোদ্ধার জন্য ঘর তৈরি করে দেয়া হবে। মেয়র বলেন, নগরীর খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের হোল্ডিং ট্যাক্স থেকে আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও দরিদ্র ও হতদারিদ্র্য মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ নাগরিকদেরকে হোল্ডিং ট্যাক্সের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন