বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুসহ সারাদেশে ১০৭ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে গত ৫ দিন ধরে পুলিশ নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে হয়রানি করছে। একইসঙ্গে চলছে গ্রেফতার বাণিজ্য।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩ টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রিন্স জানান, গতকাল রাতে মীর সরাফত আলী সপু, জাসাস নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, রাজধানীর ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম, ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি জাকির হোসেন, ৪৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য গিয়াস উদ্দিন গেসু, ৪০নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা রানা ও সেন্টুসহ সারাদেশে ১০৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে সারাদেশে অনেক জেলা থেকে এখনও গ্রেফতারের খবর আসছে। ফলে গ্রেফতারের পরিমাণ আরও বেশি হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের চলমান আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে দমন-নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে ব্যর্থ-অযোগ্য সরকার। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার হয়রানি করে কর্মসূচী বানচাল ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে তারা। কিন্তু দমন-পীড়ন চালিয়ে কখনও আন্দোলন দমন করা যায়নি।
ক্ষমতাসীন দল নির্লজ্জের মতো পাল্টা কর্মসূচী দিয়ে সংঘাত সৃষ্টিতে উস্কানি দিচ্ছে বলেও দাবি করেন বিএনপি নেতা প্রিন্স।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ৬টি উপ-নির্বাচনের নামে কি হয়েছে তা জনগণ জানে। শত চেষ্টা করেও ভোট চুরির কালিমা আওয়ামী লীগ সরকার মুছতে পারবে না। অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান ও একমাত্র বাধা। সে কারণেই সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।
আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পদযাত্রা এবং ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর উত্তরের পদযাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে বলেও জানান প্রিন্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন