শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

মারামারিতে তাঁতী লীগের বিজয় দিবসের আলোচনা পন্ড

| প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : নিজেদের মধ্যে মারামারিতে পন্ড হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন তাঁতী লীগের বিজয় দিবসের আলোচনা সভা। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বিজয় দিবস উপলক্ষে সেগুন বাগিচা ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এ আলোচনা সভাটি হচ্ছিল। কিন্তু সংগঠনের নেতাকর্মীদের ৩ দফা ব্যাপক হানাহানিতে তা পন্ড হয়ে যায়। এক পর্যায়ে তাঁতী লীগের মারামারি থামাতে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
তাঁতী লীগ সূত্রে জানা যায়, যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ময়মনংসিংহ জেলা কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেনকে আলোচনা সভায় রাখায় ঢাকা মহানগর কমিটির লোকজন তাকেসহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করে। এসময় ডিআরইউয়ের সভাকক্ষের চেয়ার ভাঙচুরসহ বেশকিছু আসবাবপত্রেরও ব্যাপক ক্ষতি করে তারা। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহŸায়ক সাধনা দাস গুপ্ত জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া। তাঁতী লীগের আহŸায়ক নাজিবুর রহমান চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিতর্কের জন্ম দেন নাজিবুর রহমান। তিনি নারায়ণগঞ্জের শ্রমিক দলের সভাপতি বেলাল হোসেনকে কোরআন তেলাওয়াত করতে আমন্ত্রণ জানান। এরপর ওই একই অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা যুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকার ঘটনায় আলোচিত ময়মনসিংহের শহীদ বাবু হত্যাকারী রতন রাজাকারের ভাই মোশাররফকে উপস্থাপনা করতে বলেন। মোশাররফ হোসেন ময়মনংসিংহ জেলা কমিটির সভাপতি। তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা চলমান (মামলা নং ২৩)।
তিনি বলেন, এমন বিতর্কিতদের বিজয় দিবসের মতো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোই তো ঠিক হয়নি। বিতর্কিতদের অনুষ্ঠানে দেখতে পেয়ে সংগঠনে সক্রিয় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, আলোচনা সভার জন্য তাঁতী লীগ হল ভাড়া নেয়। তারা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে হল রুমের চেয়ার-টেবিলসহ আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এসবের জন্য তাদের অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন