বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, শিক্ষার নামে আমরা অশিক্ষা কুশিক্ষা গ্রহণ করছি। যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে বাংলাদেশের পরিণতি কী হবে। তাহলে এটা কি সরকারের উদ্দেশ্য- অশিক্ষা কুশিক্ষা দিয়ে দেশ ধ্বংস করা?
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ফোরামের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
নাগরিক নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহিল মাসুদের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে
বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. এহছানুল হক মিলন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অদ্যাপক ড. মোহাম্মাদ কামরুল আহসান, স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোহাম্মাদ নুরুজ্জামান। আরো উপস্থিত ছিলেন, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.চৌধুরী মাহমুদ হাসান, বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, আলোচনা করেন অধ্যক্ষ সৈয়দ আবদুল আজিজ, সাইফুর রহমান মিহির, এম. জহির আলী, নেসার আহমেদ নান্নু প্রমুখ।
মঈন খান বলেন, শিক্ষা জিনিসটা আসলে কি সেটা অনেকে অনেকভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছে। কিন্তু আমি মনে করি আদিম সমাজে হাজার বছর আগে মানুষ যেভাবে বসবাস করতো আর আজকের সভ্য সমাজে যেভাবে বসবাস করে এই দুইয়ের মধ্য যে ব্যবধান তাই শিক্ষা ব্যবস্থা। এবং শিক্ষা মানুষকে পরিবর্তিত করেছে। জঙ্গলে বসবাস করা আদিম মানুষকে আজকের সভ্য সমাজে নিয়ে এসেছে- এটাই শিক্ষার মূল কথা। যদি আজকে শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন কিছু ঘটে যেটা আবার সভ্য সমাজ থেকে আদিম সমাজে নিয়ে যাবে যাচ্ছে তাহলে আমরা কোন শিক্ষা বরণ করছি। আজকে সরকার কোন শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলন করেছে সেটা প্রত্যেক নাগরিকের প্রশ্ন। শুধু শিক্ষক সমাজ সুধী সমাজ নয় প্রত্যেক সাধারণ মানুষকে এই শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে।
তিনি বলেন, নতুন সিলেবাস বা পাঠ্যক্রম নিয়ে যে ছিনিবিনি খেলা করা হচ্ছে তা কার প্ররোচনায় হচ্ছে? সেটা কি উদ্দেশ্য করা হচ্ছে- তা জানা দরকার। প্রতিটি দেশে একটা নিজস্ব চিন্তাধারা মানুসিকতা ধর্ম কৃষ্টি ও সংস্কৃতি থাকে। পরিপন্থি কিছু দেশের মানুষের উপর ছাপিয়ে দেওয়া হয় সেটা ভালো না। আর এটায় হচ্ছে আমাদের উপর।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ১০০০ টির মধ্য আমাদের কোন বিশ্ববিদ্যালয় নাম নাই। কিন্তু প্রথম ১০০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ৫০ থেকে ৭৫ টি বিশ্ববিদ্যালয় আমারিকার। এর দ্বারা প্রমাণিত আমেরিকা অর্থনীতি এবং শিক্ষা সবক্ষেত্রে শক্তিশালী।
মন্তব্য করুন