শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনোদন প্রতিদিন

মতলবগঞ্জ জেবি উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তিতে ব্যাপক আয়োজন

| প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিনোদন ডেস্ক : আজ চাঁদপুরের মতলব উপজেলায় অবস্থিত মতলবগঞ্জ জেবি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ১০০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। এ উপলক্ষে স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ছাত্র ও বিশিষ্টজনদের নিয়ে দুইদিনব্যাপী এক মিলন মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মতলবগঞ্জ জেবি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সমিতির উদ্যোগে ‘গৌরবোজ্জ্বল শতবর্ষ পূর্তি ও মিলন মেলা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বুয়েটের সাবেক ভিসি প্রকৌশলী ড. আবদুল মতিন পাটোয়ারী, মেজর জেনারেল (অব.) ডা. মোখলেছুর রহমান (ডিজিএমএস), অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম রসুল এফআরসিএস, সাবেক মন্ত্রী একেএম মাঈদুল ইসলাম, সাবেক সচিব ও তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. শোয়েব আহমেদ এবং সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী মো. সেলিম উদ্দিন। স্কুলের ব্যাচ ’৮৪-এর আয়োজনে আজ রাত ১২টা ১ মিনিটে কেক কেটে শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হবে। ১২টা ১০ মিনিটে ফানুস উড়ানো ও আতশবাজি ফুটানো হবে। ১ জানুয়ারি সারাদিন চলবে বিভিন্ন আনুষ্ঠান পর্ব। সন্ধ্যায় জাঁকজমকপূর্ণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। এতে চাঁদপুরের প্রতিষ্ঠিত শিল্পীসহ দেশবরেণ্য শিল্পীরা অংশগ্রহণ করবেন। সমিতির মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান খান জানান, মতলবগঞ্জ জেবি উচ্চ বিদ্যালয় দেশের প্রাচীনতম স্কুলের মধ্যে একটি। এ স্কুল থেকে দেশের প্রথিতযশা ব্যক্তিরা পড়াশোনা করে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখেছে। স্কুলটি দেশসেরা স্কুলগুলোর অন্যতম। দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা অবিস্মরণীয়। এ স্কুলে পড়াশোনা করে আমরা গর্বিত। গর্বিত স্কুলটির শতবর্ষ পূর্তি পালন করতে পারছি। উৎসবের সাংস্কৃতিক উপকমিটির আহŸায়ক জাকির হোসেন কামাল বলেন, এ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত হতে পেরে গর্বিত মনে করছি। এ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করাও গর্বের বিষয়। রাষ্ট্র, সমাজ ও প্রশাসনে এ স্কুল থেকে পাস করা ছাত্ররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। দেশ ও জাতি গঠনে অংশগ্রহণ করতে পারছে। আমি মনে করি, এ স্কুল শত শত বছর ধরেই টিকে থাকবে এবং দেশ মাতৃকার সেবায় প্রকৃত মানুষ গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। সাংস্কৃতিক উপকমিটির অন্যতম সদস্য অভিনেতা শহিদ আলমগীর বলেন, এ স্কুলের ছাত্র হতে পেরে আমি গর্ববোধ করি। আমাদের প্রাণের এ স্কুল থেকে অনেক গুণী মানুষ আজ রাষ্ট্র ও সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। স্কুলের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমরা চেষ্টা করছি, স্কুলের এই গৌরবজ্জ্বোল ভূমিকা এ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে অনুপ্রাণিত করতে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন