শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

খুলনায় অবৈধ ক্ষুদ্রঋণ পরিচালনায় ৬২ প্রতিষ্ঠান সুদের কারবারে জড়িয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠী

| প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা থেকে : খুলনায় ৬২টি অবৈধ ক্ষুদ্রঋণ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের খপ্পড়ে পড়ে লাখ লাখ গ্রাহক সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন। সুদের কারবারে জড়িয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন দরিদ্র জনগোষ্ঠী। গতকাল বৃহস্পতিবার মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির পত্রের প্রেক্ষিতে খুলনা জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে এসব বেআইনি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- জেলার দাকোপ উপজেলার চলন্তিকা যুব সোসাইটি, মাদার এন্ড চাইল্ড ওয়েলফেয়ার, মাতৃকল্যাণ ফাউন্ডেশন, স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা এবং কামালখোলা সুতারখালী দরিদ্র ম উ সংগঠন। ডুমুরিয়া উপজেলার দেলতলা, চেতনা, দ্যুতি, অগ্রগতি, আলোর রেখা, অগ্নিবীণা, নবপল্লী, পল্লী দারিদ্র বিমোচন, প্রশা, প্রগতি, প্রতিভা, প্রত্যয়, পূর্ণ মিলন, উদ্যম, বরুনা ফাউন্ডেশন, বন্ধু কল্যাণ, বাঁধন, মাতৃছায়া, রূপরাপুর, কালীবাটি, সৃজনী, মিতালী, ঝিলিক, দেবদুয়ার শেখ পাড়া, পল্লী উন্নয়নসংস্থা, আরশী সমাজ উন্নয়নসংস্থা, আল ইহসান ফাউন্ডেশন, ইউডো (ইউনাইটেড হিউম্যান ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন), ইসলামী জাগরণী সংস্থা, পল্লী উন্নয়ন সংস্থা, প্রচেষ্টা, প্রভা সংস্থা, প্রভাতী সমাজকল্যাণ সংস্থা, উষা বাংলাদেশ, বন্ধন সমাজকল্যাণ সংস্থা, বাংলাদেশ পল্লী পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি, এলাকা উন্নয়ন সংস্থা, মানব কল্যাণ সংস্থা, মুক্তা সমাজকল্যাণ সংস্থা, কৃষি কল্যাণ সংস্থা, শাফা পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, সমকাল, গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা, গ্রামীণ জাগরণ, গীতা ফাউন্ডেশন, গণজাগরণ সংস্থা, হাসানপুর সমাজকল্যাণ কেন্দ্র, ঝিলিক মানবিক উন্নয়ন সংস্থা, ডি.কে সমাজকল্যাণ সংস্থা এবং তনু। ফুলতলা উপজেলার ডেভেলপমেন্ট অব মহিলা সোসাইটি, পল্লী কল্যাণ সংস্থা (পি কে এস), উদ্ভাবনী মহিলা উন্নয়ন সংস্থা এবং সিঁড়ি। কয়রা উপজেলার অগ্রদূত সমাজকল্যাণ যুব সংঘ এবং সুন্দরবন একতা যুব সংঘ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, দেশের ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে দারিদ্র্য হ্রাসকল্পে সরকার মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি আইন, ২০০৬ এর আওতায় আগস্ট, ২০০৬ এ মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) প্রতিষ্ঠা করে। উক্ত আইনের ১৫(১) ধারা অনুযায়ী অত্র অথরিটির সনদ ব্যতীত কোনো প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ নেই। বিভিন্ন সূত্রে অথরিটি জানতে পেরেছে, খুলনা জেলায় উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ অথরিটির সনদ ব্যতীত বেআইনী ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন