কর্পোরেট ডেস্ক : নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিশ্বে নেতৃত্বের আসনে চীন। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে চীনের মোট বিনিয়োগ ৩২ বিলিয়ন ডলার (৩০ বিলিয়ন ইউরো)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে গত বছর চীনের বিনিয়োগ বেড়েছে ৬০ শতাংশ। স¤প্রতি ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফিন্যানশিয়াল অ্যানালিসিস (আইইইএফএ) তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৬ সালে চীন নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিনিয়োগে ১১টি বিদেশি চুক্তি চ‚ড়ান্ত করেছে। যার প্রতিটি বিনিয়োগ এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। চীনের ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিফর্ম কমিশন তাদের পাঁচ বছর (২০১৬-২০) মেয়াদি বিনিয়োগ পরিকল্পনায় জানিয়েছে, আগামী ২০২০ সাল নাগাদ নবায়নযোগ্য জ্বালানি স্থাপনে চীন বিনিয়োগ করবে ২.৫ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (৩৬০ বিলিয়ন ডলার)। একই সঙ্গে বিতরণ নেটওয়ার্ক আরো বিস্তৃত ও শক্তিশালী করে এর ব্যবহারও বাড়াবে। এতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ২০১১-১৫ সময়ের চেয়ে ৩৯ শতাংশ বাড়বে। এর ফলে আগামী ২০২০ সালের শেষ নাগাদ চীনের মোট বিদ্যুৎ সক্ষমতায় ৬.৮ ট্রিলিয়ন কিলোওয়াট যোগ হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে। যা হবে মোট বিদ্যুতের ২৭ শতাংশ। প্রস্তাব অনুযায়ী ৫০০ বিলিয়ন ইউয়ান ব্যয় করা হবে হাইড্রোপাওয়ার উৎপাদনে। ফলে পানিবিদ্যুৎ হবে ৬০ মিলিয়ন কিলোওয়াট। ৭০০ বিলিয়ন ইউয়ান বিনিয়োগ করা হবে বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনে। এতে নতুন করে ৮০ মিলিয়ন কিলোওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ যোগ হবে। সৌরবিদ্যুতে বিনিয়োগ করা হবে এক ট্রিলিয়ন ইউয়ান। ফলে সৌরবিদ্যুৎ সক্ষমতা ৬৭ মিলিয়ন কিলোওয়াট থেকে বেড়ে ২০২০ সাল নাগাদ হবে ১১০ মিলিয়ন কিলোওয়াট। এএফপি, রয়টার্স, সাংহাই ডেইলি। চীনের জাতীয় জ্বালানি প্রশাসনের উপপ্রধান লি ইয়াংগজিহি বলেন, চীনের জ্বালানি অবকাঠামো রূপান্তেরের ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হবে মূল শক্তি। গত বছর বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলো বিস্তৃত ছিল অস্ট্রেলিয়া ও চিলিতে লিথিয়াম ব্যাটারি তৈরি থেকে শুরু করে ব্রাজিলে বিদ্যুৎ বিতরণ চুক্তি ও ভিয়েতনামে একটি সোলার সেল কারখানা প্রতিষ্ঠা। বর্তমানে চীন বিশ্বের ছয়টি বৃহৎ সোলার মডিউল ম্যানুফ্যাকচারিং ফার্মের মধ্যে পাঁচটিরই অধিকারী। অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেও ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে অতিক্রম করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে পাওয়ার হাউস হয়ে উঠেছে চীন। বøুমবার্গ নিউ এনার্জি ফিন্যান্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে অভ্যন্তরীণ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে চীন বিনিয়োগ করেছে ১০০ বিলিয়ন ডলার। যা যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের দ্বিগুণ। আইইইএফএ পরিচালক টিম বাকলে বলেন, একটি বৃহৎ নির্মল জ্বালানি বাজার তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে চীনের পেছনে পড়ে গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন