বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আদিগন্ত

অহিংসা আর নৈতিকতার আকাল চলছে

| প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

হারুন-আর-রশিদ : আমরা টিভি চ্যানেল ওপেন করলেই দুই বড় দলের বিবেদ ও দোষারুপের নানা গল্প শুনি। যা কোনো দেশপ্রেমিক রাজনীতিকদের মুখে শোভা পায় না। বিশ্বে মহান ব্যক্তিরা সঙ্কীর্ণতার জালে নিজেকে কখনই আটকে ফেলেন না। সে ধরনের বাস্তব একটি গল্প সুপ্রিয় পাঠক সমাজের কাছে তুলে ধরছি। ২৭ আগস্ট ১৯৬৩ সালÑ ওয়াশিংটনের লিংকন মেমোরিয়াল হলে অহিংসবাদী নেতা মার্টিন লুথার কিং যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা সারা বিশ্বে ইতিবাচক ধারণার জন্ম দিয়েছিল। শুধু আমেরিকা নয়, ইউরোপ, এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকার জাঁদরেল মানুষরা ওই ভাষণটি এখনো উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করেন। তার সে বক্তৃতার শুরুটি ছিলÑ ‘আই হ্যাভ আ ড্রিম’। কী ছিল তার স্বপ্নটি। স্বপ্নটা ছিল গোটা বিশ্বে বর্ণবাদের অবসান ঘটানো। মানুষের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। এটা মানব সৃষ্ট একটি সংক্রামক ব্যাধি। এই সংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে ছিল তার লড়াই। অর্থবিত্ত, ক্ষমতা এসব তার বক্তৃতায় একেবারেই স্থান পায়নি। সাদা আর কালো বলে কোনো শব্দ নেই। মানুষের রক্তের রং লাল, সাদা, কালো, হলদে সবুজ ইত্যাদি যখন হয় না, তখন বাইরের রং দিয়ে কেন তাকে আলাদা হিসেবে ব্রাকেটবন্দি করে তার ওপর অমানুষিক দুর্বিষহ নির্যাতন চালানো হবে। তার প্রাপ্য থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে। মার্টিন লুথার কিং ১৯৬৩ সালে যে বক্তব্যটি দিয়েছিল সেই একই বক্তৃতা বিশ্ব নবী (সা.) তারও প্রায় ১৪০০ বছর আগে আরাফাতের ময়দানে লক্ষাধিক সাহাবার সম্মুখে বলেছিলেনÑ কোনো কৃতদাসকেও যদি তোমাদের নেতা বানিয়ে দেওয়া হয়, তাকে তোমরা অনুসরণ করবে যদি সে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন মোতাবেক রাষ্ট্র পরিচালনা করে।
মানুষের মধ্যে পার্থক্য নেই যদি সে সৎ পথের নির্দেশ দেয়। ভাষাগত, বর্ণগত, আকারগত কোনো শব্দ ওই ভাষণে ছিল না। প্রায় সেই একই ভাষণ চৌদ্দশত বছর পর মার্টিন লুথার কিং ওয়াশিংটনের লিংকন মেমোরিয়াল হলে বলিষ্ঠ কণ্ঠে উচ্চারণ করেছিলেন। ওই বক্তৃতায় উপস্থিত মানুষের শরীরের পশম দাঁড়িয়ে যায়। ওই দিন তিনি তার বিখ্যাত ওয়াশিংটন মার্চ সংগঠিত করেন। আড়াই লাখের বেশি মানুষ ওয়াশিংটন ডিসিতে জড়ো হন তার বক্তব্য শোনার জন্য। এসব মানুষ ভাড়া করে আনা হয়নি, স্ব-ইচ্ছায় স্বপ্রণোদিত হয়েই তারা এসেছিল। কিং বলেছিলেন, আমি আজ আপনাদের বলতে এসেছি, যদিও আমাদের বর্তমান ও আগামী সমস্যাসংকুল, তবুও আমার একটা স্বপ্ন আছে। এই স্বপ্ন গভীরভাবে মিশে আছে আমেরিকাকে গড়ার কাজে। আমি স্বপ্ন দেখিÑ একদিন এই দেশটা জেগে উঠবে এবং এই দেশের মানুষ জীবনযাপন করবে তাদের মৌলিক বিশ্বাসের ওপর। কিং ক্যাথলিক ধর্মের গুরু এবং ফাদারের কর্তৃত্ববাদী ধর্ম ব্যবসার বিরুদ্ধেও সোচ্চার ছিলেন। আমরা এই চিরন্তন ও স্বতঃসিদ্ধ সত্যে বিশ্বাসী যে, সকল মানুষ পৃথিবীতে সমান হিসেবে জন্মায়। ১৯৬৫ সালে সেলমায় কালোদের ভোটাধিকার নিয়ে আন্দোলনে পুলিশ নৃশংস হামলা চালায়। ঘটনাটি ঘটে রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে। ঘটনাটি রক্তাক্ত রোববার নামে পরিচিত। সে সময় মানিবাধিকার আন্দোলন তুঙ্গে ওঠে। কিং ততদিনে তার সত্যাগ্রহী সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। এদিকে ভিয়েতনাম যুদ্ধ আমেরিকার শক্ত গাঁথুনীকে কাঁপিয়ে তুলছে। কিং নিজেও এ যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রচারে নামেন। ১৯৬৮ সালের ৩ এপ্রিল টেনাসির মেমফিসে ব্যস্ত সময় কাটান ব্ল্যাক স্যানিটারি পাবলিক ওয়ার্কস এমপ্লয়ীদের এক সংগঠনের ধর্মঘটে সহযোগিতা করতে। সতীর্থদের নিয়ে রাত কাটান লরেইন মোটেলে। এপ্রিলের ৪ তারিখ সকাল বেলায় কিং যখন দাঁড়িয়ে আছেন লরেইন মোটেলের ৩০৬ নম্বর কক্ষের ব্যালকনিতে, আচমকা একটি বুলেট কিংয়ের গ্রিবা ভেদ করে ঢুকে পড়ে। হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। জরুরি অস্ত্রোপচারের পর সেদিন সন্ধ্যায় কিং মারা যান। বিশ্বের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের পতন ঘটে। হাজারো জনতার ভিড় জমে উঠে হাসপাতালের বহির্মুখে একনজর কিংকে দেখার জন্য। কিংয়ের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি শহরে ভয়াবহ সহিংসতা দেখা দেয়। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ঘটনটি হলো মৃত্যু মানুষকে কি দেয়Ñ উপহারটার মূল্য কত। ডলারের অংকে তা মেলানো অসম্ভব। ‘আই হ্যাভ আ ড্রিম’- তা বাস্তবায়িত হলোÑ কিংয়ের মৃত্যুর সাত দিনের মাথায় ১৯৬৮ সালের ১১ এপ্রিল। সিভিল রাইটস অ্যাক্টকে প্রেসিডেন্ট জনসন আইনে রূপ দেন। এই আইনের মর্মার্থ জন্ম-বর্ণ-গোত্র-ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যকে অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করে। আজও মার্টিন লুথার কিংয়ের যুদ্ধ থেমে যায়নি। কালো আর সাদা বর্ণ বৈষম্য এখনো আছে। কিন্তু কালো মানুষ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, নাম বারাক ওবামাÑ সকলের প্রিয় মানুষ, দুই টার্ম তিনি ক্ষমতায় ছিলেন (২০০৮-২০১৬)।
গল্পটির ইতি টানছি। এ থেকে আমাদের শিক্ষণীয় বিষয়টা কী হতে পারে। সবচেয়ে চমৎকার ধর্মের নাম ইসলামÑ বর্ণ বৈষম্য, ধর্ম বৈষম্য, ভাষা ও গোত্র বৈষম্য কোনোটারই স্থান ইসলামে নেই। কিন্তু উল্লিখিত বৈষম্য বাংলাদেশে বেগমান। নৈতিকতার মৃত্যু ঘটলে বৈষম্য বাড়ে। নৈতিকতার উন্নতি ঘটলে বৈষম্যের অবসান ঘটে। কিন্তু দেশে নৈতিকতার চরম খরা চলছে। বাংলাদেশে ছয় বছরের শিশুও ধর্ষিত হয়। ধর্ষণের সেঞ্চুরির ককটেল পার্টিও চাইনিজ রেস্তোরাঁয় হয়। স্লিবলেস, বটমলেস, টপলেস এখন  চ্যানেলে চ্যানেলে ভরপুর। ক্লাস সিক্সের পাঠ্যবইতে লেখা আছেÑ বীর্য কি, মিনস কাকে বলে, এ সময় কী করতে হয়। ইউটিউবে দেবর-ভাবীর রসালাপ থেকে শুরু কেের অন্তিম মুহূর্তের অবস্থাটাও খোলামেলাভাবে প্রদর্শিত হয়। স্বামী বিদেশে স্ত্রী দেশে। একাকী জীবন-শাশুড়ি বৃদ্ধ। সুযোগসন্ধানী এই মহিলা নৈতিকতা বিবর্জিত সকল কর্মকা- করছে, যা ইউটিউবে দেখানো হচ্ছে। ভারতের ঘোটা পঞ্চাশের মধ্যে চার-পাঁচটা চ্যানেলে নারীদের ভোগ্যপণ্যের পোশাক পরিয়ে খদ্দেরের কাছে পৌঁছিয়ে দেয়ার মতো চিত্রও প্রদর্শিত হচ্ছে। অন্যদিকে জঙ্গির তকমা লাগিয়ে দাড়ি ও টুপিধারী মানুষদের চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উলঙ্গপনার চ্যানেলগুলো নাকি ইতিবাচকÑ তথ্য মন্ত্রণালয় দপ্তরের দৃষ্টিতে আর নৈতিকতার পাঠশালার ভূমিকা যেসব চ্যানেল পালন করে তাদেরকে বন্ধ করে দেয়া হয়। কারণ নেতিবাচক রামকৃষ্ণ বোসাকের বাল্যকালের বই ছিল আমারÑ তাতে বড় হরফে লেখাÑ সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি-সারা দিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি। ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনীতে পড়েছিÑ রেলের একজন পোটার হয়ে জীবন চালনার ঘটনা যা রেগুলার হতো তার ভাগ হতো তিনটি। নিরামিষ দুই বেলা খাবার, বিদ্যা অর্জন, তৃতীয়টি হলো দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করা। পড়েছি দানবীর হাজী মোহাম্মদ মুহসীনের গল্প। সোহরাব-রুস্তমের গল্প, মোহাম্মদ বিন কাসিমের গল্প, নেতাজী সুবাস বসুর গল্প, নবীর শিক্ষা কর না ভিক্ষা, আমি হবো সকাল বেলার পাখি। পাখির মতো নিষ্পাপ শিশুদের পিঠে ঝুলিয়ে দেয়া হয় আজ ৫ কেজি থেকে ৭ কেজি ওজনের একটি ব্যাগ। একখানি নৈতিকতার বই সেখানে নেই শিশুর প্রজ্ঞার জন্য। একটি ব্যাগ যাতে থাকবে অংক, বাংলা, বিজ্ঞান ও একটি খাতা যার ওজন এক কেজি হওয়ার কথা নয়। শিশুদের কায়িক শ্রম আর মেধাহীন প্রকল্প ঘাড়ের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর নাম হলো দেশের প্রজ্ঞাবান শিক্ষা অধিদপ্তর। শেখানো হচ্ছে সেক্সের বর্ণপরিচয়। মুছে ফেলা হয়েছে শেখ সাদী, রুমীর রচনা এবং মোহাম্মদ বিন কাসিমের সিন্দু বিজয় থেকে বাংলার স্বাধীন নবাব সিরাজদৌল্লার ১৭৫৭ এর পতন পর্যন্ত হাজার বছরের ইতিহাস। এর পরিবর্তে এসেছে ‘ম্যাই ডগ ন্যাম ইজ সুলতান’। সুলতান হলো বাদশার উপাধি। সেই নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে কুকুরের সাথে। বাংলাদেশে নৈতিকতার যে ধস নেমেছে তার পুরো বর্ণনা একটি নিবন্ধে দেয়া সম্ভব নয়। প্রজ্ঞাবান নামে একদল মোটা বুদ্ধির মানুষের এসব প্রকল্প জাতি ধ্বংস হওয়ার জন্য যথেষ্ট।
প্রধান বিচারপতি ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ আইনজীবীদের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, একমাত্র বিচার বিভাগ ছাড়া সর্বক্ষেত্রেই দলীয় লোক বসানো হয়েছে। দলবাজি চলছে সর্বক্ষেত্রে। এই যদি অবস্থা হয় তাহলে দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু হবে। এ প্রশ্ন সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরীরও। একটি অনুষ্ঠানে তিনি এরকম মন্তব্য করেছেনÑ শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন হলেই যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে তার নিশ্চয়তা নেই। কারণ নির্বাচন কমিশনকে কাজ করতে হবে দলীয় সরকারের নির্দেশেই। কোনো দলের সমর্থক নয় এমন পাঁচজন নির্বাচন কমিশনার দিয়ে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক নির্বাচন কমিশন গঠন করা দুরূহ ব্যাপার। যদি করতে হয় তাহলে আইন করতে হবে এবং সেই আইন সংসদে বিল আকারে পাস করতে হবে। আইনের ধারা-উপধারায় তাদের স্বাধীন কর্মকা-ের ফিরিস্তি বর্ণনা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব একটি মন্ত্রণালয় থাকবে। সেই মন্ত্রণালয়ের ওপর সকল ক্ষমতা ন্যস্ত করতে হবে। যাতে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি এবং নির্বাহী প্রশাসন সেই মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকে। এরকম একটি ব্যবস্থা না থাকলে যতই নিরপেক্ষ শক্তিশালী প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হোক না কেন তার অবস্থা হবে অনেকটা ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দারের মতো।
আমাদের ৪৫ বছরের ইতিহাসে তারই বাস্তবচিত্র দেখেছি। সাবেক প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের সার্চ কমিটির মনোনীত রকিবউদ্দীনের মতো নির্বাচন কমিশনারের অধীনে বিগত স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে প্রায় দুই শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে সহিংসতার কারণে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার রকিবউদ্দীন এসবের বিরুদ্ধে আইনগত শাস্তির কোনো ব্যবস্থা করতে পারেননি। কারণ তাকে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন নয়, সরকারের অধীনেই বিগত ৫ বছর নির্বাচনের সকল কর্মকা- চালাতে হয়েছিল। সুতরাং জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনই নয়, বর্তমান সরকার ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে। তা হলেই একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে নিজ দায়িত্ব পালন করতে পারবে বলে আমরা মনে করি। ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি জাতীয় নির্বাচন হোক এটা জাতি কখনই মেনে নেবে না। ওই নির্বাচনে ১৫৩ জনের কোনো প্রতিপক্ষই ছিল না। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের কোনো প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। একেবারে বিনা ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এরকম নির্বাচন বিশ্বের কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে হয়নি, কখনো হবেও না। এরকম ঘটনা শুধু বাংলাদেশেই সম্ভব, তাও গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে এবং হাজার কোটি টাকার নির্বাচনী বাজেট দেখিয়ে এসব কর্মকা- বাংলাদেশে ’৭১-এর পর একাধিকবার দেখেছি। ১৯৭৩ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ইদ্রিস প্রহসনের নির্বাচনের শুভ সূচনা করেছিলেন। ওই সময় নির্বাচনের নামে কী হয়েছিল তার বিবরণ এক নিবন্ধে শেষ হবে না। সুতরাং আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা।
য় লেখক : গ্রন্থকার, গবেষক ও কলামিস্ট

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন