মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পপুলার ভোট নিয়ে পুনরায় মিথ্যা বললেন ট্রাম্প

| প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত সোমবার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে তার প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠকে দাবি করেন, অননুমোদিত অভিবাসীরা তার লাখ লাখ জনপ্রিয় ভোট সংখ্যাগরিষ্ঠের কাছ থেকে ছিনতাই করেছে। নির্বাচনের ফলাফলের পরে তিনি এ আভাস পান এবং তিনি তার আইন প্রণয়নের বিষয়ের জন্য সমর্থন কামনা করেন। তিনি টুইটারে দাবি করেন, অনেক অসত্যের বিচার হয়ে গেছে। নতুন প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউজের সংবর্ধনা থেকে ডাইনিং রুমে বিষয়টি নিয়ে আসে। তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার পরও আমি ওই ভোটের ব্যাপারে চিন্তা করি।
ট্রাম্প উদ্বিগ্ন যে, জনগণ তার বিজয় এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকে অবৈধ হিসেবে দেখবে, যদিও তিনি এটিকে তার জন্য উপর্যুপরি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখতে নারাজ।
ট্রাম্প হোয়াইট হাউজ দখল করতে ৩০৪ ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন, কিন্তু তিনি প্রায় ৩০ লাখ পপুলার ভোট কম পেয়েছেন হিলারি ক্লিনটন থেকে। ওই বাস্তবতা তাকে নির্বাচনের দিন থেকে তাকে তাড়িত করে চলেছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের মাধ্যমে শত্রুরা তাকে দুর্বল করে দেয়ার চেষ্টা করেছিল।
হোয়াইট হাউজে এসব নিয়ে একটি উদ্বেগ দৃশ্যমান। সোমবার রাতে বেশ কিছু পরিচিত কর্মকর্তা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। যেখানে অনেকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন রাখেন এবং ট্রাম্পের ব্যক্তিগত কথোপকথন নিয়ে অলোচনা করেন। ট্রাম্প তার বিভিন্ন সুযোগ ব্যবহার করে দম্ভোক্তি সাথে তার বিজয়ের কথা বলেন।
ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে, ৩০ লাখ অনুমোদিত ও ৫০ লাখ অননুমোদিত অভিবাসী মিসেস ক্লিনটনকে ভোট দিয়েছে। নভেম্বরের শেষ দিকে টুইট বার্তায় হিলারি বলেছিলেন, যদি আপনারা অবৈধ লাখ লাখ ভোট বাদ দিতেন তাহলে আমিও ব্যাপক পপুলার নিয়ে ভোটে জয়ী হতাম। যদিও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কণ্ঠে ভিন্ন সুর। ভোট কর্মকর্তারা বলেন, সারাদেশে অবৈধ ভোটারদের কোনো প্রমাণই নেই। হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা ট্রাম্পের আলোচনার মন্তব্যের বিষয়টিতে কোনো সাড়া দেননি।
মেরিল্যান্ডের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি স্টেনি এইচ হয়ার সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ট্রাম্প তার উদ্বোধনী বক্তৃতায় জনসমাগম সম্পর্কে কথা বলেন।
স্টেনি সিএনএনকে বলেন, আমি এমন জনসমাগম কখনো দেখিনি। এটা বিশাল এবং অপূর্ব জনসমাগম ছিল। তিনি আরো বলেন, ট্রাম্প সেখানে বেশি সময় ছিলেন না, কিন্তু এ বিষয়টি এখনো তার মাথায় রয়েছে।
নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে প্রেসিডেন্টের মন্তব্য করা এবং তার অভিষেক ও হোয়াইট হাউজে অভ্যর্ত্থনার জন্য কংগ্রেসের দ্বিদলীয় নেতৃত্বের একত্রিত করা। তিনি আরো চেয়েছিলেন উচ্চাভিলাষী আইন প্রণয়নে সবার সমর্থন নেয়া।
ট্রাম্প বলেছেন, তিনি অতি দ্রুত ওবামার স্বাস্থ্যসেবা আইনের প্রতিস্থাপন, দেশের অবকাঠামোতে একটি বড় বিনিয়োগ পাস, দেশের অভিবাসন আইন পরিবর্তন এবং ট্যাক্স সিস্টেমের সমস্যা খুঁটিয়ে দেখবেন।
টেক্সাসের রিপাবলিকান সিনেটর জন করনিন গেট টু নো ইউর সেশন নামে একটি সভার আয়োজন করেছেন। করনিন বলেন, তিনি মনে করেন, এ ধরনের অধিবেশন আরো বেশি বেশি হবে। ওবামা কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে সামাজিক সম্পর্কের অপছন্দের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। ডেমোক্র্যাটদের কথা উল্লেখ করে বলেন, তারা বলেন, আমরা কখনো এ রকম কিছু হোয়াইট হাউজে দেখিনি।
ক্যালিফোর্নিয়া প্রতিনিধি গণতান্ত্রিক নেতা ন্যাকান্যাকা পেলোসি বলেন, এটি চমৎকার সভা ছিল।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিকাঠামো ছাড়াও তারা চীনের সাথে দক্ষভাবে কাজ করার পাশাপাশি মেধাসম্পদ অধিকারের চুক্তির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমরা সেবা আইনের সম্পর্কে কথা বলেছি এবং সেবা আইনকে আরো, বিস্তৃত করার পাশাপাশি খরচ কমিয়ে উন্নতমানের সেবা আইনে পরিণত করা হবে। এ বিষয়ে কারো যে কোনো প্রস্তাব থাকতে পারে এবং আমরা সেসব প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী। সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন