শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আদিগন্ত

বিএনপির ‘মরা গাঙ্গ’ বনাম আওয়ামী লীগে মহাপ্লাবন

| প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মহিউদ্দিন খান মোহন : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে মরা গাঙ্গ হিসেবে আখ্যায়িত করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক-সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন- ‘বিএনপিকে নিয়ে ভাবার দরকার নেই, বিএনপির মরা গাঙ্গে জোয়ার আসবে না।’ তিনি আরো বলেছেন- ‘বিএনপি বলে আন্দোলন এই বছর না ওই বছর হবে। তারা অন্ধকারে ঢিল ছুড়ে, একে অন্যকে বলে সরকারের দালালী করে।’ গত ১০ জানুয়ারি ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মরহুম মাহবুবুল হক শাকিলের স্মরণ সভায় বক্তৃতাকালে এ মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের
বিএনপিকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, ঠাট্টা-মশকরা নতুন নয়। গত কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগ নেতা-নেত্রী এবং সরকারের মন্ত্রীরা এ ধরনের মন্তব্য করে আসছেন। বিএনপির আন্দোলন করতে না পারা, নেতৃত্বের ব্যর্থতা, সাংগঠনিক অগোছালো অবস্থা ইত্যাদি নিয়ে তাদের মন্তব্য সচেতন মহলকে যুগপৎ বিস্মিত ও হতাশ করে। কেননা, আওয়ামী লীগ নেতারা যখন বিএনপিকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রƒপ করেন, তখন এ দলটির যারা সমর্থক শুভানুধ্যায়ী তারা ব্যথিত হন। তাদের বেদনার্ত হওয়ার কারণ হলো, বিএনপির দৈন্যদশা এখন এমনই পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দলটি প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক সমালোচনা শুধু নয়, হাসি-ঠাট্টার পাত্রে পরিণত হয়েছে। অথচ নিকট অতীতে এ দলটিই ছিল আওয়ামী লীগের কাছে আতঙ্কের (রাজনৈতিক) নাম। বিএনপিকে নিয়ে তখন তারা হিসাব-নিকাশ করে কথা বলতেন। রাজনৈতিক পদক্ষেপ বা সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে শতবার চিন্তা করতেন এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি কী বলবে বা করবে এবং তা সামাল দেয়া আওয়ামী লীগের পক্ষে সম্ভব হবে কী-না। অথচ আজ সে বিএনপি পরিণত হয়েছে আওয়ামী লীগের কাছে ঠাট্টা-মশকরার পাত্রে!
কেন এমন হলো? কেন আওয়ামী লীগ বিএনপিকে এখন আর তাদের পথের কাঁটা বা প্রতিবন্ধকতা মনে করে না? কেন আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ধর্তব্যের মধ্যে আনছে না? বাংলাদেশে বহু সংখ্যক রাজনৈতিক দল থাকলেও ক্ষমতার রাজনীতিতে দ্বি-দলীয় পরিস্থিতিই বিরাজ করছে। বলা যায়, দেশের সত্তর শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এ দুই শিবিরে বিভক্ত। বাকি ত্রিশ শতাংশের ২০ শতাংশ নির্দলীয়। আর দশ শতাংশ বিভিন্ন দলের মধ্যে বিভক্ত। ফলে জাতীয় রাজনীতির প্রধান নিয়ামক এ দুটি বড় রাজনৈতিক দল। তো এ দু’দলের পরস্পরকে যেমন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবার কথা, তেমনি সমীহ করারও কথা। প্রকাশ্যে না হলেও ভেতরে ভেতরে পরস্পরকে একটু ভয়ও পাবার কথা। নিকট অতীতের রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহ যদি পর্যালোচনা করা হয় তাহলে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের পরস্পরকে সমীহ করে কথা বলার অনেক দৃষ্টান্ত পাওয়া যাবে। হুমকি-ধমকি কিংবা হম্বি-তম্বির প্রাবল্য সেখানে দৃশ্যমান থাকলেও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কথা বলার নজির পাওয়া যাবে না।
এখন আসা যাক কেন আওয়ামী লীগের কাছে বিএনপি উপহাসের পাত্রে পরিণত হলো সে প্রসঙ্গে। এর প্রধান কারণ হলো, আওয়ামী লীগ বিএনপিকে মেপে ফেলেছে। গত কয়েক বছরের ঘটনাবলীতে তারা এটা বুঝতে পেরেছে বিএনপি কতদূর যেতে পারবে, কী করতে পারবে। ফলে কোনো পদক্ষেপ বা সিদ্ধান্ত নিতে তারা এখন আর কারো তোয়াক্কা করে না, ধার ধারে না। বলা নি®প্রয়োজন, বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে বিএনপির ব্যর্থতা আওয়ামী লীগকে অতিমাত্রায়, আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী করে তুলেছে। তারা নিজেদেরকে এখন দেশের একমাত্র দ-মু-ের কর্তা ভেবে যা খুশি তা বলছেন, করছেন। অথচ বিএনপি সেসবের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ভূমিকা নিতে পারছে না। প্রতিদিন নিয়মিত ‘প্রেস ব্রিফিং’ আর চার দেয়ালের মধ্যে প্রতিবাদ সভায় নেতাদের কণ্ঠ থেকে বজ্র নির্ঘোষ ইথারে ছড়িয়ে পড়া ছাড়া দলটির আর কোনো দৃশ্যমান কর্মকা- চোখে পড়ছে না।
প্রশ্নটা ছিল বিএনপির এ দৈন্যদশা কেন হলো? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে অনেক কথাই বেরিয়ে আসবে। সেসব কথা এতোটাই তেতো হবে যে, গলাধঃকরণ করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হবে না। তবে বিএনপির শুভাকাক্সক্ষীরা মনে করেন, নেতৃত্বের দূরদর্শিতার অভাব, সাংগঠনিক অব্যবস্থা, কতিপয় নেতার আত্মস্বার্থ বিষয়ক চিন্তা-ভাবনা, সিদ্ধান্ত নিতে দীর্ঘসূত্রতা এবং সমন্বয়হীনতা দলটিকে আজ ‘স্বাস্থ্যবান দুর্বল’ দলে পরিণত করেছে। স্বাস্থ্যবান দুর্বল হলো- দেখতে মোটাতাজা অথচ শরীরে শক্তি নেই। এ ধরনের দেহ যাদের, ভেতরের রোগ তাদেরকে শক্তিহীন করে দেয়। বিএনপিকে এখন সে ধরনের রোগে পেয়েছে- এমনটি মনে করছেন রাজনীতি অভিজ্ঞ মহল।
আওয়ামী লীগ নেতারা যতই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করুক, জনসমর্থনের বিচারে বিএনপি এখনো আওয়ামী লীগের সমকক্ষ। বিএনপির যে ভোট ব্যাংক, এখনো তাতে ভাঙ্গন ধরেনি। সাধারণ মানুষ যারা সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তাদের কাছে বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা এখনো ইতিবাচক। তারা বিএনপিকে একটি উদার গণতান্ত্রিক এবং কল্যাণমুখী রাজনৈতিক দল হিসেবেই বিবেচনা করে। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে অন্য জায়গায়। দলটির সাংগঠনিক অবস্থা এখন একদমই নড়বড়ে। ৭৫টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে মাত্র ২৩টিতে নতুন  কমিটি গঠন করতে পেরেছে প্রায় দেড় বছরে। বাকি ৫২টি করতে আরো কতদিন সময় লাগবে কেউ জানে না। যেগুলো করা হয়েছে তার বেশিরভাগই ঢাকা থেকে ঘোষণা দেয়া কমিটি। জেলায় গিয়ে সম্মেলন করার শক্তিটুকুও নেই দলটির। সরকারের রোষানলের দোহাই দিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ঢাকায় এসে কাজ সারছেন। এ যেন রিমোট কন্ট্রোলে সংগঠন চালানো।
তবে, সরকার বা সরকারি দলের মোকাবেলা করতে না পারলেও নিজেদের মধ্যে কোন্দল, সংঘাত, বিক্ষোভে পিছিয়ে নেই দলটির একশ্রেণির নেতাকর্মী। কাক্সিক্ষত পদ পদবি না পেলে বা কমিটি মনমত না হলে দলবেঁধে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন, ভাংচুর, এমন কি আগুন জ্বালাতেও সাহসের অভাব হয় না এদের। এমনও দেখা গেছে ঘোষিত কমিটির বিরুদ্ধে দুই-তিন হাজার কর্মী নয়াপল্টনে মিছিল করছে। কিন্তু সরকারবিরোধী আন্দোলনে তারা দশ-পনেরো জনের বেশি একত্রিত হতে পারে না। অনেকে বলছেন যে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণেই দলটি আজ বিপর্যস্ত। তাদের ভুল সিদ্ধান্ত দলটিকে আজ খাদের কিনারায় নিয়ে গেছে। অপরিণামদর্শী আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেতাকর্মীদের ঘাড়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে হাজার হাজার মামলার খড়গ। অকার্যকর আন্দোলনে শক্তির অপচয় করায় এখন প্রয়োজনের সময় তা ব্যবহার করতে পারছে না বিএনপি
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কথাবার্তায়ও সমন্বয় নেই। যেমন গত ১৪ জানুয়ারি এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বললেন, ‘দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে বিএনপি আবারো রাজপথে নামবে।’ একই দিনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বললেন সম্পূর্ণ উল্টো কথা। আর একটি সভায় তিনি বললেন, ‘জনগণের সাহস থাকলেও আমরা যারা নেতৃত্বে রয়েছি তাদের সরকার পতনের আন্দোলনে রাজপথে নামার সাহসের অভাব রয়েছে’। উল্লিখিত দুইজনই বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা এবং নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্য। একই দিনে প্রদত্ত তাদের বক্তব্যের যে ভিন্নতা তা কি সাধারণ নেতাকর্মীদের বিভ্রান্তিতে ফেলবে না? মির্জা আলমগীরের ‘আবার রাজপথে নামার’ ঘোষণা নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার কথা। কিন্তু গয়েশ্বর রায়ের ‘রাজপথে নামার সাহসের অভাব রয়েছে’ উক্তি কি তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে হতোদ্যম করে দেয়নি? অবশ্য এটা ঠিক যে, গয়েশ্বর রায়ের বক্তব্য বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। তিনি হয়তো বিগত দিনগুলোতে নিজের এবং সহকর্মীদের ‘তৎপরতা’ বিশ্লেষণ করেই কথাটি বলেছেন। তবে, এমন কথা বলা ঠিক নয়, যা নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার পরিবর্তে হতাশ করে।
বিএনপির বর্তমান দুরবস্থায় তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তো বটেই, সাধারণ মানুষ, যারা এ দলটির শুভানুধ্যায়ী তারাও চরম হতাশ। শুভাকাক্সক্ষীরা বিভিন্ন সময়ে দলটির শীর্ষ নেতৃত্বকে বাইরে থেকে নানা ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছেন। কিন্তু সেসব পরামর্শ খুব একটা আমলে নেয়া হয়েছে এমনটি এখনো দেখা যায়নি। কিছুদিন আগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখেছিলেন দলটির শুভ্যার্থী হিসেবে পরিচিত বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ওই খোলা চিঠিতে তিনি বিএনপির বর্তমান সাংগঠনিক দুরবস্থার কারণ এবং সেগুলো দূর করে দলকে শক্তিশালী করতে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়াকে। তার সে খোলা চিঠি পত্রিকায় প্রকাশের পর কয়েক মাস অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু তার সে পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছে এমন আলামত এখনো পাওয়া যায়নি। সে সময় একটি টিভি টক শো’তে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে একজন সাংবাদিক বলেছিলেন- ‘আপনি বেগম জিয়াকে খোলা চিঠি দিয়েছেন। এ কারণে হয়তো তার (বেগম জিয়া) চা’য়ের দাওয়াতে যাওয়ার দরজা আপনার জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’ সে রকম কিছু ঘটেছে কীনা জানা যায়নি। কেননা, এর পরে এখনো বেগম জিয়া কোনো চা চক্রের আয়োজন করেননি। করলে বোঝা যাবে ডা. জাফরুল্লাহর জন্য দরজা খোলা আছে, নাকি বন্ধ হয়ে গেছে। তারপরও তিনি পরামর্শ বন্ধ রাখেননি। সুযোগ পেলেই হিতোপদেশ দেন দলটির নেত্রীকে। কিন্তু তার এসব উপদেশ কেন যেনো অরণ্যে রোদন বলেই আমার মনে হয়। কারণ এসব কেউ শোনে না, মানে না।
মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে মরা গাঙ্গ বলেছেন। উপমাটা একেবারে ফালতু নয়। কিছুটা সাজুয্য তো আছেই। কিন্তু তার নিজ দলের অবস্থাটা কী? সেখানে কি মহাপ্লাবন বইছে ? হ্যাঁ, আওয়ামী লীগ এখন কূল উপচে পড়া পানিতে টইটুম্বুর নদী। তার বুকে এখন ক্ষমতার জলস্রোত এতোটাই তীব্র গতিতে বয়ে চলেছে যে, শহর-নগর-জনপদ প্লাবিত হয়ে গেছে। তাদের দলের নেতাকর্মীরা রাজপথে বিএনপিকে না পেয়ে ছুতোনাতা বিষয় নিয়ে নিজেরাই খুনোখুনি করছে। আধিপত্য বিস্তার, টেন্ডার-চাঁদা ভাগাভাগি, জল মহালের দখল ইত্যাদি কারণে একে অপরের রক্ত ঝরাচ্ছে যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্মীরা। আর পত্র-পত্রিকার ভাষ্য অনুযায়ী ওইসব রক্তারক্তি ঘটনায় বড় বড় নেতাদের কারো না কারো ইঙ্গিত ইশারা থাকছে। তারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে বলেই এরা হতে পারছে বেপরোয়া। আজ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবনতি, তার বেশিরভাগই ঘটছে শাসক দলের কর্মী-ক্যাডারদের কারণে। চাঁদাবাজি দখল টেন্ডারবাজিতো আছেই, বেশিরভাগ খুন, অপরহণ,-ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক হলো, খোদ সরকার প্রধানের ধমকেও ওরা চমকে উঠছে না। ওদেরকে নিয়ন্ত্রণের যেনো কেউ নেই। এ অবস্থা চলতে থাকলে শেষ পরিণতি কী হবে তা বলা কঠিন।
বিএনপির দৌর্বল্য, রাজপথে অনুপস্থিতি, নেতাদের পলায়নপর মনোবৃত্তি ইত্যাদি কারণে আওয়ামী লীগ রাজনীতির ফাঁকা ময়দানে একাই ‘কালো ঘোড়া’ দাবড়ে বেড়াচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বী বা প্রতিপক্ষহীন এ অবস্থা যে বেশ উপভোগ্য তাও অস্বীকার করা যাবে না। এ অবস্থায় শাসক দলের নেতা ও মন্ত্রীরা যদি উৎফুল্ল এবং প্রগল্ভ হয়ে উঠেন তাতে অবাক হওয়ারও কিছু নেই। তবে, এটা মনে রাখতে হবে, অতি স্রোতস্বিনী নদীতে চর পড়ে খুব তাড়াতাড়ি। এটা মনীষীদের কথা হলেও এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। খরস্রোতা নদী তার দু’পাড় ভেঙে বয়ে চলে। আর পাড়ভাঙ্গা মাটি এক জায়গায় গিয়ে জমে সৃষ্টি করে নতুন চর, যা সে নদীর বয়ে চলায় বাধা সৃষ্টি করে, গতিপথ পরিবর্তন করে স্রোত হারাতে বাধ্য করে!
বিএনপিকে ‘মরা গাঙ্গ’ বলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উপহাস করেছেন, তাদেরকে নিয়ে ভাবার কিছু নেই বলেছেন। কিন্তু ইতিহাস বলে অন্য কথা। প্রতিপক্ষকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা কখনোই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কখন কোথা থেকে জোয়ার এসে ‘মরা গাঙ্গে’ ‘বান’ ডাকিয়ে দেবে তার কি কোনো ঠিক আছে? আর সে জন্যই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন- ‘এবার তোর মরা গাঙ্গে বান এসেছে, জয় মা বলে ভাসা তরী...।’
য় লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Md Forkan Hasnabad ২৭ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০৬ পিএম says : 0
আওয়ামীলীগের বিজয় হচ্চে ................দের মুখে আর বিএনওি জামাতের বিজয় হচ্ছে জনতার অন্তরে
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন