হোসেন মাহমুদ : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণ করেছেন ২০ জানুয়ারি। তারপর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১১ দিন পেরিয়েছে। সবাই দেখছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশে^ ঝড় তুলেছেন তিনি। ইতোমধ্যে দু’টি বিষয় পরিষ্কার করে দিয়েছেন ট্রাম্প। তা হচ্ছে এক, তিনি কে তা মার্কিনি ও বিশ^বাসীদের জানিয়ে দিয়েছেন। ২. তিনি কী করতে পারেন ও কী করবেন তা দেখিয়ে দিতে শুরু করেছেন। বিশ্লেষকদের ভাষায়, তার বিভিন্ন সিদ্ধান্তে বিশে^ ওলট-পালট অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। প্রবলভাবে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে যে তিনি ইসলাম ও মুসলিমবিরোধী, আর এ ব্যাপারে তার মধ্যে কোনো রাখঢাক নেই। তবে এটা যতটা সমস্যা তার চেয়ে বড় সমস্যা হয়ে উঠছে তার আচরণে একশ্রেণির নিচ মানসিকতাসম্পন্ন লোক উৎসাহিত হয়ে উঠছে এবং তারা মুসলমানদের প্রতি তাদের ক্রোধ ও ঘৃণা প্রকাশে তৎপর হয়ে উঠেছে। তারই সর্বসাম্প্রতিক প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্রে একটি মসজিদ পুড়িয়ে দেয়া ও কানাডায় একটি মসজিদে গুলি চালিয়ে শিশুসহ ৬ জনকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা।
২৭ জানুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে ৭টি মুসলিম দেশের উদ্বাস্তুদের যুক্তরাষ্ট্রে আসা নিষিদ্ধ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি যে এটা করবেন তা আগেই বলেছিলেন। এ ছিল তার নির্বাচনী অঙ্গীকার। শে^তাঙ্গ মার্কিনিদের মধ্যে রক্ষণশীলদের যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের আসা পছন্দ নয়। সে দৃষ্টিভঙ্গির সাথে হাল আমলের মুসলিম সন্ত্রাস যোগ হয়ে তাদেরকে আরো অসহিষ্ণু ও কট্টর মনোভাবাপন্ন করেছে। ট্রাম্প শে^তাঙ্গদের সে সমাজেরই লোক। তাই তার নির্বাচনী প্রচারণায় তাদের দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন ঘটেছিল। নির্বাচিত হওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছিল যে নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি যাই বলুন না কেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাকে সংযত আচরণ করতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে না, তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় যা যা বলেছিলেন সে সবের বাস্তবায়নে জোরালো পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন। তারই ফল হচ্ছে ৭টি মুসলিম দেশের লোকদের যুক্তরাষ্ট্রে আগমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ।
মুসলিম আগমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ট্রাম্পের আদেশ অবিলম্বে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিমান বন্দরে বহু মানুষকে আটকে দেয়া হয়। তারা মারাত্মক দুর্দশার শিকার হওয়ার পাশাপাশি মানবিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। তারা না যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারছেন না ফিরে যেতে পারছেন। বিভিন্ন দেশের বিমান বন্দরেও যুক্তরাষ্ট্র অভিমুখী উদ্বাস্তুদের আটকে দেয়ার কথা জানা গেছে। অনেকে শিকার হচ্ছেন অবর্ণনীয় দুর্ভোগের। একজন সিরীয় উদ্বাস্তু একটি বিমান বন্দরে কান্নারত অবস্থায় বলেন, আমার স্ত্রী ও দু’সন্তান আগেই যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে। এখন আমাকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। তারা আমার ভরসায় বসে আছে। আমি না গেলে তাদের উপায় কী হবে? স্ত্রী-সন্তানের সাথে কি আমার আর কোনোদিন দেখা হবে না?
বলা হয়েছে ট্রাম্পের এ নিষেধাজ্ঞা ৪ মাসের জন্য। তারপরে এটি বহাল থাকবে না তুলে নেয়া হবে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। যে দেশগুলো এ নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছে সেগুলো হল সিরিয়া, ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সুদান, সোমালিয়া ও ইয়েমেন। ইতোমধ্যেই এ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশে^র বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ বিক্ষোভ, নিন্দা ও কোথাও কোথাও পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানা গেছে। খোদ যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন বিমান বন্দরের সামনে এর বিরুদ্ধে বহু হাজার মানুষ বিক্ষোভ করছে। তারা আটকে পড়াদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেয়ার দাবি জানান। হোয়াইট হাউসের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীরা তার অভিশংসন দাবি করেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ও জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মারকেল ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। লেবার দলের নেতা জেরেমি করবিন ট্রাম্পকে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করা পর্যন্ত ব্রিটেনে ঢুকতে না দেয়ার আহবান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ট্রাম্পের ব্রিটেন সফরের কথা আছে। এদিকে ট্রাম্পের ব্রিটেন সফরের বিরোধিতা করে অনলাইন পিটিশনে ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেছে। সর্বশেষ খবরে জানা যায়, ক্রমবর্ধমান বিরোধিতার কারণে ট্রাম্পকে ব্রিটেন সফরের আমন্ত্রণ জানানোর ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন ব্রিটেনের রাণী বলে মনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতরের সাবেক প্রধান লর্ড রিকেটস। তিনি বলেন, এত দ্রুত কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ব্রিটেন সফরের আমন্ত্রণ জানানো অপরিপক্বতা। এতে রাণীকে বিপাকে ফেলা হয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো উদ্বাস্তুদের তার দেশে আশ্রয় দেয়ার কথা বলেছেন। ইরান ট্রাম্পের এ ব্যবস্থার প্রতিবাদে মার্কিনদের ইরান ভ্রমণের জন্য ভিসা দেবে না বলেছে। ইরাকি পার্লামেন্টে মার্কিনিদের ইরাকে মার্কিনিদের সফরে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব নেয়া হয়েছে। ওআইসি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি চরমপন্থাকে উস্কে দেবে।
ট্রাম্প তার সিদ্ধান্তে অনড়। বিশ^ব্যাপী ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও তিনি কোন নমনীয়তা প্রকাশ করেননি। বরং কয়েকটি মার্কিন আদালতে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ স্থগিত করার আদেশও তিনি উপেক্ষা করে চলেছেন। ফলে আদালতের রায় উদ্বাস্তুদের উপকারে আসেনি। অন্যদিকে দেশব্যাপী ও বিশে^র নানা স্থানে তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনকে তিনি কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এ অবস্থায় হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত সমর্থন করা হয়েছে। ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত বলেছেন যে তার তার আদেশের লক্ষ্য মুসলিমরা নয়, সন্ত্রাসীরা। তবে তা কোনো স্বস্তি বয়ে আনেনি।
এদিকে ট্রাম্প অনুসৃত নীতি মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা ও তাদের প্রতি বৈরী আচরণ করতে শে^তাঙ্গদের মধ্যে অনেককে উস্কে দিচ্ছে বলে অভিজ্ঞ মহল ধারণা করছেন। এ প্রসঙ্গে তারা ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে হিজাব পরিহিতা মুসলিম নারীদের প্রতি ক্রমবর্ধমান বিরূপ আচরণের কথা উল্লেখ করেন। এ ক্ষেত্রে আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হচ্ছে টেক্সাসে একটি মসজিদ পুড়িয়ে দেয়া। ২৭ জানুয়ারি ট্রাম্প মুসলিম দেশগুলোর উদ্বাস্তু প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ঐদিন রাত ২টায় অর্থাৎ শনিবার ভোরে দক্ষিণ-পূর্ব টেক্সাসের ভিক্টোরিয়া শহরের ভিক্টোরিয়া ইসলামিক সেন্টার নামে ঐ মসজিদটি পুড়িয়ে দেয়া হয়। কারা এ ঘটনায় জড়িত তা কর্তৃপক্ষ জানাতে পারেনি। তবে মসজিদটি পুড়িয়ে দেয়ার পর স্থানীয় ও আশপাশের দূরবর্তী শহর থেকেও খ্রিস্টান, ইহুদি এমনকি নাস্তিকদের মধ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তারা মুসলমানদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন, অনেকে মসজিদটি পুননির্মাণে অর্থও প্রদান করেন। উগ্র খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকাটিতে ২০০০ সালে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। জানা যায়, জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক সহানুভূতি পাওয়ার প্রেক্ষিতে মসজিদ কর্তৃপক্ষ তা পুননির্মাণের জন্য তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে অনলাইনে আবেদন জানান। নির্মাণে প্রয়োজ হবে ৮ লাখ ডলার বলে জানানো হয়। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মসজিদের তহবিলে নগদ সাড়ে ৬ লাখ ডলার চাঁদা পাওয়া যায় যা কিনা এক বিরল সহমর্মিতার নজির স্থাপন করেছে।
২৯ জানুয়ারি রোববার কানাডায় সংঘটিত হয় এক মর্মান্তিক ঘটনা। স্থানীয় সময় রাত ৮টার সময় কুইবেক সিটিতে ইসলামিক কালচারাল সেন্টার নামের একটি মসজিদে এশার নামাজের জামাতে এক ব্যক্তি নির্বিচার গুলি চালায়। এ সময় প্রায় ৪০ জন মুসল্লি সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। গুলিতে ৬ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে একজন কসাই, একজন ফার্মাসিস্ট, একজন বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক, একজন একাউনটেন্ট এবং ৪ বছরের এক শিশুও রয়েছে যে তার পিতার সাথে মসজিদে গিয়েছিল। আহত হন আরো ৮ জন। হত্যাকারীকে ফরাসি ছাত্র বলে বলা হয়েছে। ২৭ বছর বয়স্ক এ ছাত্রের নাম আলেকজান্ডার বিসোনেট। তার সাথে মরক্কো বংশোদ্ভূত এক যুবক ছিল বলে বলা হয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী এ হত্যাকা-কে সন্ত্রাসী ঘটনা ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে হামলা বলে অভিহিত করেন। তিনি এ হামলার নিন্দা জানান। প্রাথমিকভাবে হত্যার কোনো কারণ জানা যায়নি। তবে এটা মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুসলিমবিরোধী নীতির প্রভাব বলে বিশ্লেষকরা বলছেন। ওয়াশিংটনে মার্কিন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলেন, বন্দুকধারীরা মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা বোধ থেকে এ হামলা চালিয়েছে। উল্লেখ্য, কানাডায় প্রায় ১০ লাখ মুসলমান বাস করেন। এদিকে কুইবেক মসজিদে হামলার ঘটনার পর নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাসিও বলেন, নিউইয়র্কের প্রতিটি মসজিদে অতিরিক্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ পশ্চিমা বিশে^ মুসলমানদের সংখ্যা বাড়ছে ও তারা শক্তিশালী হয়ে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানরা বিকাশমান শক্তি। তাদের প্রভাব ক্রমবর্ধমান। খ্রিস্টধর্মসহ অন্যান্য ধর্মের অধিক থেকে অধিক সংখ্যক মানুষ ইসলামের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে ও ইসলাম গ্রহণ করছে। যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিদের সংখ্যা খুব বেশি না হলেও সেখানকার অর্থনীতি ও রাজনীতিতে তাদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। তারা সুপরিকল্পিতভাবে বিশ^ব্যাপী ইসলাম ও মুসলমানদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে ইসলাম ফোবিয়া ছড়িয়ে দেয়ার কৌশল গ্রহণ করে। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে একজন উগ্র জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারার লোক। মুসলমানরা তার টার্গেট। তার চিন্তা ও মতাদর্শে প্রভাবিত শে^তাঙ্গরা মুসলিম বিদ্বেষী কর্মকান্ডের আশ্রয় নেবে এটাই স্বাভাবিক। তারা বলে, ট্রাম্প মুসলিম দেশগুলোর উদ্বাস্তুদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার পর কানাডার উদারপন্থি প্রধানমন্ত্রী মুসলিম উদ্বাস্তুদের তার দেশে গ্রহণ করার ঘোষণা দেন। ট্রাম্পের মতাদর্শের অনুসারীরা কানাডাতেও আছে। তারা এ বিষয়টিকে যে ভালোভাবে নেয়নি, কুইবেক সিটির মসজিদে গণহত্যা তারই প্রমাণ। এ মুসলিম বিদ্বেষ হয়ত ভবিষ্যতে আরো ব্যাপক ও সহিংস রূপ ধারণ করতে পারে। বিশ্লেষকরা এ প্রশ্নও করেছেন, ট্রাম্প যে নিরাপত্তার কথা বলে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, সেই নিরাপত্তা কৌশলে মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত না করে দেশের ভিতরে ও বাইরে কিভাবে নাগরিকদের নিরাপদ রাখা যাবে?
ট্রাম্প নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। আগামী চার বছরের জন্য তিনি রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকবেন। তাকে নিয়ে ইতোমধ্যে যে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে তা তিনি সামাল দিতে নিশ্চয়ই সক্ষম হবেন। কেউ কেউ তার সময়কে অন্ধকার যুগ বলে আখ্যায়িত করছেন। এর ফলে বিশে^ যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ হওয়ার কথাও বলছেন কেউ কেউ। সে সবের হয়ত প্রতিকার আছে। কিন্তু মুসলিমদের প্রতি ইতোমধ্যে প্রকাশিত তার অসহিষ্ণু দৃষ্টিভঙ্গি, মুসলিম উদ্বাস্তু বিষয়ে গৃহীত ব্যবস্থা এবং আরো মুসলিম দেশকে এ ব্যবস্থার আওতায় আনার ইঙ্গিত (আভাস পাওয়া গেছে যে পাকিস্তান, সউদি আরব ও আফগানিস্তানের ক্ষেত্রেও অনুরূপ ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে) যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মুসলিম দেশগুলোর সম্পর্কের ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতির সূচনা করতে পারে।
লেখক : সাংবাদিক
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন