শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

ভাষা আন্দোলনের হাত ধরেই স্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্রপাত

| প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের স্থপতি সংগঠন তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ৭ দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের কিছুদিন পর প্রতিষ্ঠিত সাংস্কৃতিক সংস্থা তমদ্দুন মজলিস শুধু সাংস্কৃতিক কর্মকাÐের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। তৎকালীন পাকিস্তানি স্বৈরাচারী শাসক অন্যান্য সকল বৈষম্যের মতো ভাষা নিয়েও চরম বৈষম্য দেখালে স্বাভাবিকভাবেই বাঙালি জনতা তা মানতে পারেনি। কারণ দেশের সিংহভাগ মানুষের মুখের ভাষা ছিল বাংলা। পাকিস্তান সরকারের জোর করে চাপিয়ে দেয়া এ সিদ্ধান্তের চরম প্রতিবাদে বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে তুলতে তমদ্দুন মজলিস অসামান্য অবদান রাখে। বক্তারা বলেন, দেশের প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী, লেখকদের লেখা প্রবন্ধ নিয়ে ভাষা আন্দোলনের প্রথম পুস্তিকা “পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু” প্রকাশ করে। যার প্রচারে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ব্যাপক প্রসার লাভ করে এবং এ প্রতিবাদ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। শুধু তাই নয় দলমত নির্বিশেষে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে সামনে থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে থাকে। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলা দাবিতে মিছিলে গুলিবর্ষণে নিহত শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা ফিরে পাই বাংলায় কথা বলার অধিকার।
বক্তারা আরো বলেন, পরবর্তীতে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক জাতি বৈষম্যের মাত্রা আরো বেড়ে গেলে ভাষা আন্দোলনের মর্মবাণীর আলোকে দেশে স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকার আন্দোলন গড়ে ওঠে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা বহু কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা অর্জন করি।
বক্তারা বলেন, তমদ্দুন মজলিস ভাষা আন্দোলনের জন্য পাকিস্তানি সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে স্বাধিকার আন্দোলনের গোড়াপত্তন করে যা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় করে সমাপ্তি হয়। তাই বলা যায় যে, ভাষা আন্দোলনের হাত ধরেই স্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। বক্তারা বাংলা ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণ ও সঠিক ব্যবহার এবং ভাষা শহীদ ও জীবিত ভাষা সৈনিকদের যথাযথ মূল্যায়নের জন্য সরকারের প্রতি বিশেষ দাবি জানান।
গতকাল শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বিশিষ্ট ভাষা সৈনিক ও প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল গফুর ৭ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ভাষাসৈনিক রওশন আরা বাচ্চু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম আক্তারুজ্জামান, ভাষা আন্দোলন গবেষক এম আর মাহবুব, ভাষা শহীদ আব্দুস সালামের ছোট ভাই আব্দুল করিম, ভাষা শহীদ আবুল বরকতের ভাতিজা আইনুদ্দিন বরকত ও অধ্যক্ষ এ বি এম শহীদুল্লাহ প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন