ইনকিলাব ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সরব মার্কিনিদের একাংশ। অনেকেই চান আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়াক ট্রাম্প। কেউ কেউ অবশ্য আরো একধাপ ওপরে গিয়ে ট্রাম্পকে খুন করার কথাও বলেছেন। ‘ধংংধংংরহধঃব ঃৎঁসঢ়’ লিখে সার্চ করলে দেখা যাচ্ছে প্রায় ১২ হাজারের বেশি মানুষ ট্রাম্পকে খুন করার জন্য সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট টুইটারে পোস্ট করেছেন।
গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর থেকেই একের পর এক প্রেসিডেন্ট বিদ্বেষী টুইট আসতে থাকে সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট টুইটারে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটিতে ট্রাম্পকে খুন করার কথাও উল্লেখ ছিল। যারা যারা এই টুইটগুলো করছেন মার্কিন গোয়েন্দারা তাদের প্রত্যেকের ওপরই কড়া নজর রাখছেন। এর মধ্যেই অবশ্য ওহাইওর ২৪ বছর বয়সী যুবক জাকারি বেন্টনকে আটক করেছে পুলিশ। নির্বাচনের দিন তিনি লেখেন, ‘কূটনীতি। সবাই বোকা। আমি তোমাদের প্রত্যেককে ঘৃণা করি। আমি ভোটদানের জায়গায় থাকা প্রত্যেককে বোম মেরে উড়িয়ে দেবো।’ কিছু পর আরো একটি টুইটে তিনি লেখেন, ‘আমার জীবনের লক্ষ্যই হলো ট্রাম্পকে খুন করা। এ জন্য যদি আমাকে আজীবন জেলে যেতে হয়, তাও কোনো পরোয়া নেই। ওই লোকটা বেঁচে থাকার যোগ্য নয়।’ পরে ক্ষমা চাইলেও তাকে আটক করেন গোয়েন্দারা। প্রেসিডেন্টকে হুমকি দেয়ার মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে বেনসনের পাঁচ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে।
এছাড়া লুইসভিলের এক নর্তকীর টুইট নিয়েও খোঁজখবর শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। হেথার লোউরি নামে ওই মহিলা গত ১৭ জানুয়ারি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, ‘কেউ যদি মার্টিন লুথার কিংয়ের মতো মানুষকে খুন করার নিষ্ঠুরতা দেখাতে পারে, তাহলে ট্রাম্পকে খুন করার মতো দয়ার কাজটিও কেউ করতে পারবে।’ এছাড়া পপ তারকা ম্যাডোনাকেও সমালোচনা শুনতে হয়েছিল। প্রেসিডেন্টের শপথ নেয়ার পর ওয়াশিংটনে একটি ট্রাম্প-বিরোধী মহিলাদের মিছিলে যোগ দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ক্ষমতা থাকলে হোয়াইট হাউসকে বোমা মেরে উড়িয়ে দিতাম।’ যদিও পরে তিনি বলেন, ওই কথাটি তিনি রূপক হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের এক অফিসার বলেন, সোস্যাল মিডিয়ায় কিছু লেখার আগে সবার উচিত দু’বার ভেবে নেয়া। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।
সোনালি চুলের যতœ নিতে প্রতিদিন ওষুধ নেন ট্রাম্প
তার অতি তৎপরতার জেরে নিষেধাজ্ঞার বন্ধনীতে সীমাবদ্ধ মার্কিন অভিবাসীদের জীবন। অভিবাসী নীতির জন্য বিশ্বজুড়ে তিনি নিন্দীত। এহেন সময়ে তার মানসিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের মানসিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। প্রেসিডেন্টের মানসিক ও শারীরিক কোনো সমস্যা নেই। সাংবাদমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যক্তিগত চিকিৎসক হ্যারল্ড এন বর্নস্টেইন। ১৯৮০ সাল থেকে ডনের দেখভাল করছেন হ্যারল্ড।
সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, কিভাবে প্রতিদিন নিজের শারীরিক অবস্থার যতœ নেন ট্রাম্প। ড: হ্যারল্ড জানিয়েছেন, নিজের সোনালি চুলের যতœ নিতে প্রতিদিন বিশেষ ওষুধ নেন ট্রাম্প। পাশাপাশি তার ত্বকের যতেœ চলে নিয়মিত অ্যান্টিবায়োটিক্স। হার্ট অ্যাটাকের থেকে বাঁচতে প্রতিদিন বেবি অ্যাসপিরিন নিতে হয় ৭০ বছর বয়সী প্রেসিডেন্টকে। এ ছাড়াও কোলেস্টেরলের সমস্যার জন্য রয়েছে ওষুধ। সঙ্গে চলে বিভিন্ন হালকা ব্যায়াম। এভাবেই নিজেকে ফিট রাখেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন