টেলিনর গ্রুপের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধিদল গতকাল ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এমপির সাথে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
টেলিনর এএসএ-এর চেয়ারপারসন গুন ওয়েরস্টেড এবং টেলিনর গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সিগভে ব্রেক্কে এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এবং বাংলাদেশে টেলিকম শিল্পের অবস্থা, ডিজিটাল ক্ষমতায়নের সুযোগ, গ্রামীণফোনের মাধ্যমে বাংলাদেশে টেলিনরের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রæতিবদ্ধতা এবং টেলিযোগযোগ শিল্পের ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার বিষয়ে আলোচনা করেন। গ্রামীণফোনের সিইও পেটার বি ফারবার্গ এবং চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
টেলিনর গ্রæপ গ্রামীণফোনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ১৯৯৬ সাল থেকেই সিংহভাগ শেয়ারের মালিক। টেলিনর গ্রæপের সহযোগিতায় গ্রামীণফোন একটি সফল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠে এবং বর্তমানে এটি বাংলাদেশে অন্যতম অর্থনৈতিক অবদান রাখা প্রতিষ্ঠান এবং শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বৃহত্তম কোম্পানি। নরওয়ের সরকারের সিংহভাগ মালিকানাধীন টেলিনর গ্রæপ এদেশে অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী, যারা গত ৫ বছরে ১১৮ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। মোবাইল ফোন পরিচালনার পাশাপাশি টেলিনর বাংলাদেশে টেলিনর হেলথ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেস এখানেই এর আংশিক মালিকানা তাদের রয়েছে। আলোচনাকালে মিসেস ওয়েরস্টেড এবং মি: ব্রেক্কে বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নে সরকারি, ব্যবসায়িক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একসাথে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গ্রামীণফোনের পুঞ্জিভূত অবদান এবং ১৯৯৭ থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেন। সবার জন্য উচ্চমানের ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে সকল স্পেকট্রাম ব্যান্ডে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা চালু করার আহ্বান জানিয়ে মি: ব্রেক্কে বলেন যে, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে জোরদার করতে এবং দেশের ডিজিটালকরণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে গ্রামীণফোনের প্রতি টেলিনর দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। টেলিনর গ্রুপের সিইও প্রতিমন্ত্রীকে কেপিএমজি প্রণীত গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট রিপোর্ট সম্পর্কে অবহিত করেন। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে গত পাঁচ বছরে টেলিনর ১১৭.৬ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে যার মধ্যে শুধুমাত্র ২০১৫ সালেই ২৪.৮ কোটি ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। রিপোর্টে আরো বলা হয়, ৫ কোটি ৬০ লক্ষ গ্রাহক নিয়ে গ্রামীণফোনের সেবা ২০১১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ২৪০০ কোটি ডলারের অবদান রেখেছে।
টেলিনরের চেয়ারপারসন এবং সিইও একদিনের সফরে ঢাকায় এসেছিলেন এবং এর অংশ হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন