মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

কুড়িগ্রামে খুরা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গরু দুশ্চিন্তায় কৃষক

| প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রাম জেলার সর্বত্রই গরুর খুরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিটি গ্রামগঞ্জে ওই রোগ ছড়িয়ে পড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা। সরেজমিন নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের ভবারীপুর গ্রামের কৃষক বাবর আলী বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, তার গৃহপালিত ১০টি গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। স্থানীয় পশু চিকিৎসক ডা: আবুল কাশেমকে কৃষক বাবর আলীর বাড়িতেই পাওয়া যায়। তিনি ‘সালফানিলামাইড পাউডার দিয়ে আক্রান্ত গরুগুলোর মুখ পরিষ্কার করে লবন গুড় মিশিয়ে ভাতের মাড় খাওয়াচ্ছেন। পাশের টাকীমারী গ্রামের শাহের আলীর বাড়ি গিয়ে দেখা যায় তার ৫টি গরু খুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তিনি সুরমত আলী নামের একজন কবিরাজ দিয়ে গরুর গা ঝাড়ফুক করে নিচ্ছেন।
শাহের আলী জানান, গত ৭দিন থেকে আমার ৫টি গরু আক্রান্ত। কি করব বুঝতে পারছি না। শুনেছি ভিতরবন্দ ইউনিয়নে গবাদি পশু চিকিৎসার একটি সাব সেন্টার আছে। সেখানে একজন চিকিৎসক আছে। তাকে ৫দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ভিতরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়াডের মেম্বার আনিছুর রহমান জানান, অত্র ওয়ার্ডে অনেক কৃষকের গরুর খুরা রোগ হয়েছে। কিন্তু সরকারি ভাবে কোন সেবা দেয়া হচ্ছে না। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দীপকরঞ্জন রায় বলেন, খুরা রোগ সকল বয়সের গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার ভাইরাসজনিত একটি অতি ছোয়াচে রোগ। খুরারোগের লক্ষণ হচ্ছে আক্রান্ত গরুর গায়ের তাপমাত্রা খুব বৃদ্ধি পায়। জিহ্বা, দাঁতের মাড়ি, সম্পূর্ণ মুখ গহবর, পায়ের ক্ষুরের মধ্যভাগ ঘা বা ক্ষত সৃষ্টি হয়। ফলে গরুর মুখ দিয়ে লালা ঝড়ে এবং সাদা ফেনা বেড় হয়। তখন গরু খোড়াতে থাকে এবং খাবার খেতে পারে না। ফলে অল্প সময়ে গরু দুর্বল হয়ে মারা যায়। এ অবস্থায় রোগাক্রান্ত গরুকে অন্য গরু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি খুরাক্রান্ত গরু ভালো করার জন্য ‘সালফানিলামাইড পাউডার ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। তবে জেলার কোনো কোনো এলাকার গরু খুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে তা জানা নেই তার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন