শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আদিগন্ত

রোবট কি মানুষের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে?

| প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সরদার সিরাজ : দেখতে চলতে ফিরতে বলতে মানুষের মতো। কিন্তু আসলে মানুষ নয়- রোবট। দিনদিন তার ব্যবহার বাড়ছেই। সিঙ্গাপুরের বেশিরভাগ হোটেলেই ব্যবহার হচ্ছে রোবট। অবিকল মানুষ। এমনকি অন্য কাজেও রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে সে দেশে এবং তা ক্রমান্বয়েই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই অবস্থা জাপানেও। সেখানে সিঙ্গেল নর-নারীর সংখ্যা ৬০ শতাংশেরও বেশি। আবার তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশই কুমারী। সম্প্রতি স্থানীয় জনসংখ্যা ও সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক সমীক্ষার ফলাফল থেকে জানা গেছে জাপানের ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী ৭০ শতাংশ অবিবাহিত পুরুষ এবং ৬০ শতাংশ অবিবাহিত নারীর জীবনে কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। শুধু তাই নয়, এদের মধ্যে ৪২ শতাংশ পুরুষ ও ৪৪.২ শতাংশ নারী বলেছেন, তারা এখনও কুমার অথবা কুমারী। অর্থাৎ তাদের যৌনমিলন বা সেক্সের কোন অভিজ্ঞতাই নেই। ফলে জনসংখ্যা সংকটে যেন হিমসিম খাচ্ছে জাপান। একদিকে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে কমে যাচ্ছে জন্মহার।
স্মরণীয় যে, এ অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে, জাপানীদের বেশিরভাগেরই কর্ম হচ্ছে- শুধু জ্ঞানার্জন, না হয় কাজ। এভাবে চলতে চলতে তাদের মধ্যে একাকিত্বভাব সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, কর্ম শেষে গৃহে গেলে- শুধু একা। বাবা নেই, মা নেই, ভাই নেই, বোন নেই। কারণ, আমাদের মতো তাদের জয়েন্ট ফ্যামিলী নয়। সবাই ইনডিভিজুয়াল লাইফ হোল্ড করে। দ্বিতীয়ত তাদের বেশিরভাগই হিপ্পি। যা আমাদের ভাষায় বলে পিতা-মাতার পরিচয়হীন। তাই সঙ্গিহীন অবস্থায় তারা একাকিত্ব ফিল করে গৃহে ফিরলেই। ফলে ডিপ্রেশন সৃষ্টি হচ্ছে তাদের মধ্যে। এই অবস্থা থেকে তাদেরকে রক্ষা করে প্রাণচঞ্চল্যময়ী করার জন্য চালু করা  হয়েছে নারী রোবটের ব্যবহার। এটার পথ নির্দেশক মনোবিজ্ঞানীরা। তাদের পরামর্শেই চালু করা হয়েছে এটা। অবিকল নারী। তাও অপরূপ সুন্দরী। দেখে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। কথা-বার্তা ও অঙ্গভঙ্গি খুবই আকষর্ণীয়। কথা বলছে, প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। নির্দেশ মোতাবেক সব কর্মও করছে অর্থাৎ একজন মানুষ যা করতে পারে, তার প্রায় সবই করছে। এতেই মহা খুশি নিঃসঙ্গ জাপানীরা। যা হোক, রোবট হোক, আর মানুষ হোক, তাতে কিছু যায় আসে না। কথা বলার ও নানা কাজে সাহায্য করার একজন পেয়েই প্রাণচাঞ্চল্যময় হয়ে উঠছে জাপানীদের জীবন।
যা হোক, রোবট সংক্রান্ত আরো খবর আছে। যেমন- রোবট সাংবাদিকতা করছে। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করছে, ছবি তুলছে। অর্থাৎ আমরা সাংবাদিকরা যা করি, তার প্রায় সবই করছে রোবট। এটা শুরু হয়েছে চীনে। চীনে অনেকদিন আগেই শুরু হয়েছে রোবটের ব্যবহার। এটা শিল্প, কল-কারখানা ও অন্য কাজে ব্যবহার হচ্ছে। এখন শুরু হয়েছে সাংবাদিকতায়। এ ব্যাপারে প্রকাশ, চীনের একটি সংবাদপত্রে গত ১৮ জানুয়ারি প্রকাশিত হলো রোবট সাংবাদিকের লেখা প্রথম প্রতিবেদন। মাত্র কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ৩০০ শব্দের প্রতিবেদন লিখে ফেলেছে জিয়াও ন্যান নামের এই রোবট। চীনের গুয়াংঝৌ প্রদেশের সাউদার্ন মেট্রোপলিস ডেইলি নামে একটি সংবাদপত্রে ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়ানজিয়াওজুন এই রোবট সাংবাদিক প্রকল্পের প্রধান। তিনি বলেন, ‘সাধারণ সাংবাদিকদের তুলনায় জিয়াও ন্যানের তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষমতা অনেক বেশি। সে দ্রুত গতিতে খবর লিখতেও পারে। রোবট সাংবাদিকের লেখা প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে চীনে সাংবাদিকদের মধ্যে কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে’।
উল্লেখ্য, রোবট ছাড়া চীনের উপায়ও নেই। কারণ, ১৫০ কোটির অধিক লোক। তবুও কাজ অনুযায়ী লোক নেই। তাই নিম্ন কর্ম বন্ধ করে দিচ্ছে তারা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-গার্মেন্টস। এতে অবশ্য আমাদের ভাগ্য প্রসন্ন হচ্ছে। কারণ, গার্মেন্ট রফতানিতে চীন প্রথম, মোট রফতানির ৪১শতাংশই তারা করে। আমরা দ্বিতীয়, মোট রফতানীর ৬.৪ শতাংশ আছে আমাদের দখলে। তাই চীন অর্ডার ফেরৎ দিলে সেটা আমাদের দেশে আসার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, এখানে শ্রমিকের মজুরি কম। অবশ্য আমাদের অবস্থান দখল করার জন্য ভারত ও ভিয়েতনাম উঠে পড়ে লেগেছে। জানি না ভবিষ্যৎ কী? তবে ইতোমধ্যেই ভিয়েতনামের বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প- টিপিপি বাতিল করে। এই টিপিপি’র আওতায় ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ শতাংশ শুল্ক ছাড়ে গার্মেন্ট পণ্য রফতানি করতে পারতো। আর আমাদের ১৭ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। ফলে প্রতিযোগিতায় আমরা টিকতে পারতাম না। এখন টিপিপি বাতিল হওয়ায় আমরা রক্ষা পেয়েছি। স্মরণীয় যে, চীন সাংবাদিকতায় ও অন্যান্য ক্ষেত্রে রোবট ব্যবহার করছে কর্মক্ষম লোকের স্বল্পতার কারণে। দীর্ঘদিন যাবত এক সন্তাননীতি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করায় চীনে শিশু-কিশোরের সংখ্যা হ্রাস আর বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে কাজের মানুষের স্বল্পতা সৃষ্টি হয়েছে। এটা দূর করার জন্য দুই সন্তান নীতি গ্রহণ করেছে এক বছর আগে। আর এই সময়েই প্রায় দুই কোটি শিশু অতিরিক্ত জন্ম নিয়েছে।
যাহোক, আগামীতে যুদ্ধক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হবে রোবট। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমনই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের সেনাছাউনিতে জিনিসপত্র পৌঁছে দিতে ব্যবহার করা হবে রোবট। যেসব সেনাছাউনিতে জিনিসপত্র পৌঁছাতে অসুবিধা হয় অথচ শত্রুপক্ষের হাত থেকে বাঁচতে একচুলও নড়তে পারে না সেনা সদস্যরা,  রোবটই সেখানে পৌঁছে দেবে রেশন বা অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে, এই মেশিন-মানবেরা ৫০ কেজি পর্যন্ত ওজনের জিনিস বহন করতে পারবে। ৫০ ডিগ্রি  সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যেও দৌড়াবে সেই রোবট। ২১ হাজার ফুট উচ্চতায় এদের ব্যবহার করা যাবে সহজেই। বরফে মোড়া রাস্তাতেও তাদের কোন অসুবিধা হবে না। এই রোবট ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যুক্ত হলে স্বাভাবিকভাবেই সেনাবাহিনীর অনেক উপকার হবে। কারণ, দেশটির সীমান্তে সিয়াচেনসহ একাধিক জায়গায় প্রবল উচ্চতায় মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনী। সেইসব সেনাঘাঁটি এতটাই  উঁচুতে যে কোন গাড়ি সেখানে পৌঁছতে পারে না। সিয়াচেন বিশ্বের উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র। আগামী ৩ বছরের মধ্যেই এই প্রজেক্ট শেষ করার ডেডলাইন দেয়া হয়েছে। পশ্চিমের দেশগুলোর সেনাবাহিনী থেকেই এসেছে এই পরিকল্পনা
উল্লেখ্য, ভারত সামরিক বাহিনীতে রোবট ব্যবহার করলে তার চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান এবং চীনও বসে থাকবে না। তারাও সামরিক বাহিনীতে রোবট ব্যবহার করবে। তদ্রুপ অন্য শক্তিশালী দেশগুলোও। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রেও প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাবে যথাশিগগিরই। এর আগে যুদ্ধক্ষেত্রে চালু করা হয়েছে মনুষ্যহীন ড্রোন। দক্ষ বৈমানিকের মতোই নির্দিষ্ট স্থানে আঘাত হেনে নির্বিঘেœ ফিরে আসছে ঘাঁটিতে। এখন পণ্য সরবরাহেও ড্রোন ব্যবহৃত হচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলোতে। এরপর অন্য দেশেও চালু হবে? স্মরণীয় যে, চীন, সিঙ্গাপুর ও জাপানের মতো উন্নত দেশগুলোতেও জন্মহার খুব কম।
তবে চীনের মতো এক সন্তান নীতির কারণে নয়- অতিরিক্ত পরিশ্রম করার কারণে। অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে কাম-ভাব ও জন্মহার হ্রাস পায়। এটা বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত। আর সে জন্যই সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান এবং ইউরোপের দেশগুলোতে জন্মহার বৃদ্ধি প্রায় শূন্য। অতিরিক্ত চিন্তাশীল লোকের মধ্যেও কামভাব সৃষ্টি হয় কম। তাই জন্মহারও কম। ফলে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে ক্রমান্বয়েই। তাই এসব দেশগুলোতে রোবট ও প্রযুক্তির ব্যবহার দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্বিতীয়ত রোবট ও প্রযুক্তির ব্যবহারে ব্যয়ও কমে আসছে। একবার ক্রয় করলেই ব্যয় শেষ। কোন বেতন-ভাতা, পোশাক-পরিচ্ছদ, বাসস্থান ইত্যাদির প্রয়োজন নেই। ফলে রোবট তৈরি পণ্য উৎপাদন ও অন্যান্য কর্মের ব্যয় কম পড়ে। আর মানুষসৃষ্ট কর্মের ক্ষেত্রে উৎপাদন কস্ট বেশি। কারণ, মানুষের বেতন-ভাতা, থাকা-খাওয়া ইত্যাদি ব্যয় আছে। তাই মার্কেটে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার স্বার্থেই অধিক জনসংখ্যার ও বেকারের দেশগুলোকেও বাধ্য হয়েই বিভিন্ন কর্মে রোবট ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতেই হবে। আর রোবট ব্যবহার যতো বেশি হবে কর্মে মানুষের প্রয়োজনীয়তা তত হ্রাস পাবে। তাই রোবট মানুষের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে।
এক পর্যায়ে গিয়ে তথা দুই তিন দশকের মধ্যেই প্রায় সব কর্মেই রোবট ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু হতে পারে। ফলে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে আশঙ্কাজনকভাবে! এ ব্যাপারে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিচালক কার্ল ফ্রেই এর মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে সঙ্গে বিপদে পড়বে মধ্যম আয়ের মানুষ। ক্রমাগত তারা চাকরি হারাবে। তাদের স্থান দখল করবে রোবট। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়বেন গোয়েন্দা, বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেটরা। এর ফলে আগামী ১৫ বছরের মধ্যে রোবটের কারণে চাকরি হারাবেন কমপক্ষে আড়াই লাখ মানুষ। তিনি আরো বলেছেন, রোবটের আবির্ভাবের কারণে শুধু ব্রিটেনেই শতকরা ৩৫ ভাগ কর্মসংস্থান ঝুঁকিতে পড়বে। এ বিষয়ে যারা ঝুঁকিতে থাকবে তাদের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছেন। তাতে দেখা যায়- ইন্সুরেন্স ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কাজ শতকরা ৯৭ ভাগের বেশি চলে যাবে কম্পিউটারের দখলে। এর ফলে মধ্যম আয়ের মানুষগুলো পড়বেন বেশি ঝুঁকিতে। পোস্টাল সার্ভিসে চাকরি হারানোর ঝুঁকি ৯৫ শতাংশ। ল্যাবরেটরির টেকনিশিয়ানের চাকরি হারানোর ঝুঁকি রয়েছে ৮৯ শতাংশ। অ্যাকাউনটেন্ট অডিটর পদের ঝুঁকি রয়েছে ৯৩ শতাংশ। এ সবই ঘটতে পারে উন্নতমানের সুপারসিড রোবট মানবের কারণে।
রোবট ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়লে তাদের অবস্থা কী হবে তা এই মুহূর্তে বলা কঠিন। তবে বিপদ অবধারিত। এই অবস্থায় আমাদের বিপদ আরো বেশি। কেননা, এখনই তিন কোটির অধিক লোক বেকার। তারা দুর্বিষহ জীনব-যাপন করছেন। সর্বোপরি প্রতিবছর নতুন করে ২২ লাখ নুতন লোক শ্রম বাজারে প্রবেশ করছেন। এটা আরও বাড়বে ক্রমান্বয়েই। কারণ আমাদের জন্মহার বেশি। কিন্তু সে তুলনায় কর্মসংস্থান হওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে রোবট ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়লে পরিস্থিতি আরো ভয়ংকর হয়ে উঠবে নিঃসন্দেহে। তবুও ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ -এর মতো সাংবাদিকতার কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোবট ব্যবহার করা খুব জরুরি হয়ে পড়েছে আমাদের দেশে। অন্তত নিরাপত্তা বিঘিœত সংক্রান্ত ক্ষেত্রে। যেমন- মিছিল-মিটিং, সন্ত্রাসী ও স্বার্থান্বেষী মহলের খবর সংগ্রহের কর্মে। কারণ এসব কর্ম করতে গিয়ে প্রায়ই সাংবাদিকগণ ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এমনকি সরকারি বাহিনী-পুলিশের দ্বারাও। অর্থাৎ বিভিন্নভাবে এ পর্যন্ত বহু সাংবাদিক খুন-জখম হয়েছেন। সর্বশেষ নিহত হয়েছেন সাংবাদিক শিমুল। তিনি পাবনায় সরকারি দলের দু’পক্ষের মারামারির খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিতে নিহত হয়েছেন। এর আগে সাগর-রুনিসহ বহুজন খুনের শিকার হয়েছেন, কিন্তু বিচার হয়নি কোন ক্ষেত্রেই! উপরন্তু সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার তো অন্ত নেই!
স্মরণীয় যে, অন্যদিকেও বিপদ বৃদ্ধি পাচ্ছে সাংবাদিকদের। সেটা হচ্ছে বেকারত্ব। এখনই বহু সাংবাদিক বেকার হয়ে পড়েছেন। ফেইসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যাম, ইন্টারনেট এবং অনলাইনভিত্তিক পত্রিকা/খবর পরিবেশন বৃদ্ধি পাওয়ায় মূল ধারার মিডিয়াগুলোর চাহিদা হ্রাস পাচ্ছে ক্রমশ। ফলে সাংবাদিকরা কর্মহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে। এই অবস্থায় সাংবাদিকতার সাধারণ ক্ষেত্রগুলোতে রোবট ব্যবহার মড়ার উপর খাঁরার ঘা হয়েই দেখা দিবে! তবুও মানুষের নতুনের প্রতি আকর্ষণ বেশি। তাই রোধ করা দুরূহই।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
sardarsiraj1955@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন