শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আদিগন্ত

নাগরিক জীবনের সঙ্কট এবং তার প্রতিকার

প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

হারুন-আর-রশিদ : গুণীজনদের মুখে এখন কিছু শব্দমালা শুনতে পাই, যেমন- গণতন্ত্র, গণউন্নয়ন, গণঅধিকার, গণঐক্য, মানবাধিকার, গণশিক্ষা, গণমাধ্যম, গণসচেতনতা, গণসংলাপ, গণদায়বদ্ধতা, গণজবাবদিহিতা ইত্যাদি। সব শব্দে প্রথমে গণ অর্থাৎ আমজনতা লেখা আছে। এই আমজনতা হলো দেশের জনগণ। তন্ত্র, উন্নয়ন, অধিকার, শিক্ষা, মাধ্যম, সচেতনতা, ঐক্য, সংলাপ, দায়বদ্ধতা, জবাবদিহিতাÑএসব শব্দ দলবাজদের মুখে নিত্যদিন শোনা গেলেও সুফল ভোগ করছেন যারা এগুলো প্রতিনিয়ত বলে বেড়াচ্ছেন শুধু তারাই। আমজনতার ভাগ্যে এর কোনোটিই জোটেনি। দেশের যারা কারিগর তারা আজ হতভাগ্য। দেশে জনগণের ভোটাধিকার নেই, নি¤œতম কথা বলার অধিকার নেই অর্থাৎ যৌক্তিক কথাও বলা যাবে না। শিক্ষা আছে কিন্তু সাধারণ মানুষের উচ্চশিক্ষার রাস্তা বন্ধ। পড়াশোনার খরচ এত বেশি যে তা সাধারণ মানুষের পক্ষে বহন করা অসম্ভব। গণমাধ্যম দেশে ছেয়ে গেছে কিন্তু আমজনতার স্বার্থ রক্ষায় তারা ব্যর্থ। গণসচেতনতার কথা যারা বলেনÑনিত্যসময় উপদেশ দেন, তারাই সচেতন নয়। যানজট নিরসন করা যাদের দায়িত্ব, দেখা যাবে তাদেরই একেকজনের একাধিক গাড়ি রয়েছে। উন্নত বিশ্বেও এ দৃশ্য দেখা যাবে না। ওসব দেশে ব্যক্তিগত পরিবহনের চেয়ে গণপরিবহন বেশি, সচেতনতার নসিহত যারা দেন, তারাই ঢাকাকে যানজটের শহরে রূপ দিয়েছেন।
গণজবাবদিহিতার কথা লিখলে এবং মানবাধিকারের কথা লিখলে তা একটি গ্রন্থে রূপ নেবে। শুধু এক লাইনে কথাটি শেষ করবÑআজ যারা সংসদে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের পরিচিয় দিচ্ছেন, তাদের মধ্যে ১৫৩ জনের জনগণের প্রতিনিধি হতে কোনো ভোটের প্রয়োজন পড়েনি। সুতরাং গণজবাবদিহিতার প্রশ্নই ওঠে না। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে যারা নির্বাচিত হবেনÑএকটি স্বাধীন-নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে, তারাই শুধু জোরগলায় বলতে পারেন যে, আমরা সত্যিকার অর্থে গণমানুষের প্রতিনিধি। সুতরাং এখানেও দেশের আমজনতা হেরে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর মতো জোরগলায় তারা বলতে সাহস পাননি যে, আমরা দেশে গণতন্ত্র চাই, জনগণের মধ্যে গণঐক্য চাই, আমরা বাঁচার মতো বাঁচতে চাই। ২২ পরিবার আমাদের সম্পদ লুণ্ঠন করে পাকিস্তানের বড় বড় শহর নির্মাণ করেছেন। এ টাকাগুলো বাংলাদেশের। আজ বাংলাদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর মতো শব্দ উচ্চারণ শুনতে পায় না কোনো নেতার মুখ থেকে যে, আজ দেশে ২২ হাজার পরিবার ১৬ কোটি মানুষের সম্পদ এবং করের টাকা উন্নয়নের কথা বলে লুট করছে। তাই আমজনতা আজ একজন সৎ ও সাহসী নেতার আবির্ভাবের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে বলা যায়।
দেশে কোটা সিস্টেম চালু করেছে রাষ্ট্র যন্ত্র। ফলে দেশে মেধার মৃত্যু ঘটেছে। যার কারণে সমাজচিত্র বদলাচ্ছে না। এসব কোটা বংশগতভাবে থাকবে বলে শোনা যাচ্ছে। এ ধরনের কোটার বিস্তার ঘটার কারণে প্রকৃত মেধার অকাল মৃত্যু ঘটছে দেশে প্রতিনিয়ত। মেধাহীন বা মেধাশূন্য দলবাজদের প্রশাসন যন্ত্রের প্রতিটি স্তরে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে বিধায় দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। তাহলে দেশের চেহারা কীভাবে পাল্টাবে। ফেসবুকে দেখলাম, দেশের পুলিশ কর্মকর্তারা গ্রামে গিয়ে একজনকে জোরপূর্বক ডাবগাছে অর্থাৎ নারিকেল গাছে উঠিয়ে দিল। তারপর দেখলাম কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা ডাবগুলো খুব আয়েশি কায়দায় পান করছেন। একজন আমজনতা ওই নারিকেল গাছের মালিক কাছে আসতেও সাহস পাননি। আমরা এখনো মনে করি পুলিশ জনগণের বন্ধু, কিন্তু তারা কি সেটা প্রমাণ করতে পারছেন? মোটেও না। সম্প্রতি এক চা বিক্রেতা অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার নেপথ্যেও ছিল কোটাভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত-মেধাহীন একজন পুলিশ কর্মচারী। এই পুলিশ কর্মচারীর দোষ আমরা দিতে পারি না। দোষ দেব নিয়োগ পদ্ধতিকে। কেতাবি একটি বাক্যের কথা মনে পড়লোÑ মেধাভিত্তিক নিয়োগ আর কাজভিত্তিক পদোন্নতি। সেটা বাংলাদেশে এখন আছে বলে মনে হয় না।
প্রায় সময় যানজটের কারণে গাড়ি থেকে নেমে যাই। তারপর হাঁটতে শুরু করি। কিন্তু ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে পারি না ভাসমান হকারদের কারণে। আজ আমজনতার হাঁটার মিনি সড়কটিও দলবাজদের দখলে (যখন যে ক্ষমতায় আসে)। ভাসমান হকার বলেই ফেলেন এইটুকুন জায়গা টাকার বিনিময়ে খরিদ করেছিÑ প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় দলীয় কমিটির নির্ধারিত ব্যক্তি এবং পুলিশকেও কিছু দিতে হয়। এরপর যা থাকে তা দিয়ে সংসার চলে না। দুঃখ হয় এসব নিরন্ন মানুষেন জন্য। পথের দুই পাশে আরেকটি কুৎসিত দৃশ্য দেখতে পাই। ভদ্রবেশী কিছু মানুষ প্যান্টের জিপার খুলে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে প্র¯্রাব করেন। এসব মানুষ প্রতিনিয়ত ঢাকার বায়ুকে দূষিত করছেন। দায়িত্বশীল মানুষ যখন দায়িত্বহীন কাজ করে তখন এসব অপরাধের দোষ কাকে দেব। ১৩ ফেব্রুয়ারি একটি চ্যানেলে দেখলাম, প্রতিবছর সারা বিশ্বে বায়ু দূষণে ৫০ লাখ মানুষ মারা যায়। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ব্যক্তিগত কাজে গুলশান যাই। গুলশান এক নম্বরে যখন নামলাম তখন মসজিদ থেকে আসরের নামাজের আজান শুনলাম। নামাজের জন্য গুলশান-১ ডিসিসি মার্কেটের নিচতলায় জামে মসজিদে অজুর জন্য গায়ের কোটটি খুলে পাশে রাখলাম। ওই কোটের ভিতরের পকেটে আমার মেয়ের দেয়া নতুন মোবাইল সেট এবং কিছু টাকা-পয়সা, কাগজকলম ইত্যাদি ছিল। অজু শেষ হলে যখন কোটের দিকে হাত বাড়ালাম তখন এক অভিনব দৃশ্য চোখে পড়ল। একটি পুরনো কোট পাশে পড়ে আছে। প্রথমে উপলব্ধি করতে পারিনি। মসজিদে গিয়ে বুঝলাম এটা আমার সদ্য নতুন তৈরি সেই কোটটি নয়। নামাজের একামত শুরু হলো, সবাই নামাজের জন্য দাঁড়িয়ে নামাজ শেষ করলো। কিছুক্ষণ পর বয়স্ক একজন মানুষ আমার দিকে তাকিয়ে বলল ‘সামথিং হেপেন্ড’। আমি বললাম, ‘ইয়েস’। ভদ্রলোক বাঙালি হলেও তার জীবন কেটেছে পশ্চিমা বিশ্বে। আমি বললাম, আমার কোট এবং মোবাইলটি চুরি হয়েছে ওজু করার সময়। ফুটপাত থেকে কমদামি কোট রেখে আমারটি নিয়ে গেছে। বয়স্ক ভদ্রলোক বললো, বাংলাদেশে এখন ডিজিটাল চুরি শুরু হয়েছে। গুলশানের এই মসজিদ থেকে প্রায় সময় জুতা চুরি হয়। এখানে যারা কেনাকাটা করতে আসে তারা সাধারণত ভালো জুতা পরেই আসেন। ওই মুহূর্তে অনেক লোক জটলা হয়ে গেল। একজন সার্জেন্ট এলেন। বললেন, কী হয়েছে? একজন মুসল্লী বললেন, আমাকে ইঙ্গিত করে ওনার টাকা-পয়সা মোবাইল এবং ফোনটি অজুখানা থেকে চুরি হয়ে গেছে। সার্জেন্ট বললেন, ভাই আপনি গুলশান থানায় গিয়ে একটি জিডি করেন। না হলে সিম তুলতে পারবেন না। অগ্যতা তাই করলাম। গুলশান থানায় গিয়ে দেখলাম আমার বয়সী অবসরপ্রাপ্ত একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি আমাকে বললেন, ঐ মার্কেট থেকে দিনে দুপুরে গাড়ির ভিতর থেকে আমার ক্রয়কৃত প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। সিসি ক্যামেরায় অনুসন্ধান চালিয়ে তিন মাস পর চোর ধরতে পেরেছি। চোরের ছবি থানায় লাগিয়ে রাখা হয়েছে থানার বিল বোর্ডে। চোরও থানায় আছে।
আমি আধাঘণ্টায় থানায় যে অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম তাতে বুঝলাম, বাংলাদেশ আজ “পয়েন্ট অব নো রিটার্নে” চলে গেছে। ওই থানায় বয়স্ক এক মহিলা ক্রন্দনরত অবস্থায় তার অভিযোগের কথা বলছেন পুলিশ কর্মকর্তার কাছে। ঢাকা শহরে শুধু নয়, গোটা বাংলাদেশে এরকম ঘটনা আরো ঘটছে। প্রশাসনযন্ত্র বলছে, এরকম হতেই পারে। এটা কোনো বিষয় নয়। বিএনপির আমলে এসব অপকর্ম আরো বেশি হয়েছে। আমরা অতীতকে শুদ্ধ করছি। আরো কিছুদিন সময় লাগবে।
বিচারবিভাগ নিয়ে বিগত একমাস ধরে তুলকালাম কা- ঘটছে। এ নিয়ে প্রতিদিনই সংবাদ আসছে পত্রিকায়। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিনের রায় লেখা নিয়ে বিতর্ক চলছে। প্রধান বিচারপতি মামলার সব নথি ফেরত চেয়েছেন। এসব নিয়ে চ্যানেলগুলোতে মধ্যরাতে শুরু হয় টকশো। ১৩ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকের লিড নিউজে লিখেছেÑ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ১৯৮৮ সালের বিধিতেই লেখা আছে রায় দিতে হবে প্রকাশ্য আদালতে, অবসরের পর কোনো অযুহাতেই রায় দেয়ার সুযোগ নেই। বিধি মোতাবেক রিভিউ ছাড়া আদালতে ঘোষিত রায়ের কোনো পরিবর্তন, সংযোজন করা যাবে না।
পৃথিবীর সব দেশে নির্বাহী প্রধানই রাষ্ট্রযন্ত্রের ড্রাইভিং সিটে অধিষ্ঠিত থাকেন। বড় দায়িত্ব তাদের স্কন্দে। রাষ্ট্রের লাভক্ষতির হিসাব তাদেরই দিতে হয়। বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র। জনগণই সেই অর্থে রাষ্ট্রের মালিক। জনগণের টাকায় রাষ্ট্র চলে। নাগরিক এবং প্রজা শব্দ দুটির ভিন্ন অর্থ। যদি সরকার রাজতন্ত্র বা উত্তরাধিকার সূত্রে দেশ পরিচালিত করার কামনা-বাসনা নিজের মধ্যে লালন করেনÑসেই ক্ষেত্রে দেশের মানুষ আর নাগরিক থাকে নাÑপরিচয় হয় তখন দেশের মানুষ প্রজা হিসেবে। ব্রিটিশ শাসনামলের দীর্ঘ দুশ’ বছর আমরা শাসন করিনিÑশাসিত ছিলাম। আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি গণতান্ত্রিক উপায়ে দেশ পরিচালনার জন্য। আয়ুবের বেসিক ডেমোক্রেসি বা এরশাদের দীর্ঘ সাড়ে ৯ বছরের শাসন কায়দায় দেশ পরিচালিত হোক বা তথাকথিত গণতন্ত্র যাকে লেবাসি গণতন্ত্র বলা হয় সেখানে নির্বাচন ছাড়াই জনগণের প্রতিনিধি হওয়া যায়Ñএটা তো চাইনি। এ ধরনের কায়েমি স্বার্থ চরিতার্থে কোনো একদলীয় শাসনের গণতন্ত্র জনগণ দেখতে চায় না।
সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ সর্বজন স্বীকৃত একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে যারা বিজয়ী হবেন তারাই প্রকৃত অর্থে জনগণের প্রতিনিধি। দেশ তারাই পরিচালনা করবেন। এটাই ছিল ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ও স্বপ্ন। বিশিষ্ট আইনজীবী একসময়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ সহচর ড. কামাল হোসেন সম্প্রতি দুটি চ্যানেলে উল্লিখিত শব্দগুলোই বারবার বলেছেন। এ কথাও বলেছেন যে, বঙ্গবন্ধু দেশের সকল শ্রেণীর, ধর্মের, মতের মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের গণতন্ত্র সুরক্ষার কথা বলেছেন। অনৈক্য হলেই দেশ ধ্বংসের পথে ধাবিত হবে। আমরা ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যের একমত হয়ে বলছি। এখনো সময় আছে দেশে একটি সংলাপের আয়োজন করার। নাগরিকদের সাথেও এই সংলাপ হতে পারে। হতে পারে রাজনীতিকদের সাথেও। অংশগ্রহণে সবার উপস্থিতি থাকলে ওই সংলাপ দেশের কল্যাণের বার্তা বয়ে আনবেÑএটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ এসব কিছুই টিকবে না যদি দেশে প্রকৃত অর্থে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। বিভেদ ছড়িয়ে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে অন্যের সমালোচনা করে দেশে গণতন্ত্রের মজবুত ভিত গড়ে তোলা যাবে না। একমাত্র ঐক্যই পারে দেশের সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান, অন্যথায় মধ্যপ্রাচ্যের দশা হতে পারে বাংলাদেশেরও।
মুন্সিগঞ্জে শনিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি এরশাদ সাহেব দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলেছেন, আমরা কেবল মুখেই গণতন্ত্রের কথা বলি। কিন্তু গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত। এরশাদ আরো বলেছেন, এদেশে এখন পুলিশ হতে হলে ১০ লাখ টাকা, আর স্কুল শিক্ষক হতে হলে ৫ লাখ টাকা লাগে। তার শাসনকালে এমনটা ছিল না। যাইহোক ড. কামাল হোসেন ও বি. চৌধুরীর মতো শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিবর্গ বলছেন দেশের চলমান অবস্থার পরিবর্তনের জন্য একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায় নিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করা আশু প্রয়োজন। বহির্বিশ্বে এবং দেশের নাজুক অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন, দলীয় লুটপাট বন্ধ করে রাষ্ট্রের ইমেজ ফিরিয়ে আনতে হলে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই।
ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। এ মাসকে কেন্দ্র করে শুধু বাংলা ভাষাকে উজ্জীবিত করা যাবে না। আমরা চাই বাকি ১১ মাসও দেশে সর্বস্তরে অফিস-আদালতে, সকল শিক্ষাঙ্গনে বাংলা ভাষা চালুর ব্যবস্থা করা হোক। ভারতীয় হিন্দি সিরিয়াল দেশে বাংলা ভাষার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। উর্দুর হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে হিন্দি কালচার আমাদের সামাজকে গ্রাস করে ফেলুকÑসে জন্য তো আামাদের ভাষা সৈনিকরা আন্দোলন করেননি। এটাও বাংলা ভাষার জন্য অপমানজনক। তাই আমরা ভাষা দূষণের পরিত্রাণ চাই।
য় লেখক : গ্রন্থকার, গবেষক ও কলামিস্ট
যধৎঁহৎধংযরফধৎ@মসধরষ.পড়স

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন