শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আদিগন্ত

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া

| প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাজু আহমেদ : মাত্র ১৯ মাসের ব্যবধানে আবারো দু’দফায় গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জানাল সরকার। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এটা পঞ্চমবারের মতো গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের পর এবার বাংলাদেশ অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ঘোষিত গ্যাসের নতুন মূল্য নির্ধারণের ঘোষণায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণ ৫ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। ১ মার্চ প্রথম ধাপে এবং ১ জুলাই দ্বিতীয় ধাপে গ্যাসের বর্ধিত নতুন মূল্য কার্যকর হবে। অবশ্য এর আগে ২০১৬ সালের ৭-১৭ আগস্ট পর্যন্ত গ্যাসের নতুন মূল্য নির্ধারণ নিয়ে গণশুনানিরও আয়োজন করা হয়েছিল। গণশুনানিতে উপস্থাপিত গণমানুষের মতামত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে কতটুকু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পেরেছে তা কর্তৃপক্ষের একগুঁয়েমির সিদ্ধান্ততেই স্পষ্ট হয়েছে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত জনগণের ওপর জুলুমের শামিল। দু’ধাপে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিইআরসির কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মানুষের পকেটে যেন একসঙ্গে চাপ না পড়ে এজন্যই এমন সিদ্ধান্ত। তাই প্রথম ধাপের পর দ্বিতীয় ধাপে উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বে তারা জনগণকে বর্ধিত মূল্য পরিশোধে অভ্যস্থ হওয়ার প্রস্তুতির জন্য ৩ মাসের সময় দিয়েছেন! ফাঁসি দেয়ার আগে শেষ শখ পূরণের মতো! জনগণের প্রতি এটা দরদের বহিঃপ্রকাশ বটে! বর্ধিত আকারে গ্যাসের নির্ধারিত মূল্যে এক বার্নারের চুলায় পূর্বের ৬০০ টাকার সাথে ৩০০ টাকা বর্ধিত করে ৯০০ টাকা অর্থাৎ শতকরা ৫০ ভাগ এবং দুই বার্নারের চুলার ক্ষেত্রে পূর্বের ৬৫০ টাকার সাথে ৩০০ টাকা বর্ধিত করে ৯৫০ টাকা অর্থাৎ শতকরা ৪৬.১৫ ভাগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্যদিকে মিটারযুক্ত চুলায় শতকরা ৬০ ভাগ মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে।
চুলার ক্ষেত্রে পরিমিত গ্যাস না দিয়ে টাকা নেয়া অনৈতিক ও অযৌক্তিক হলেও বিইআরসির কর্তারা এসব আমলে নিচ্ছেন না। বাসা বাড়িতে সাধারণত ৯২ ইউনিট গ্যাস সরবরাহের কথা থাকলেও সরবরাহিত হচ্ছে ৪২ ইউনিট। যেসব এলাকায় গ্যাসের সংকট চলে সেসব এলাকায় সরবরাহিত হয় মাত্র ২২ ইউনিট। পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনের সংবাদে দেশের বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে গ্যাসের তীব্র সংকটের কথা হর-হামেশাই প্রকাশ পাচ্ছে। অথচ বিল আদায়ে আলসেমি নেই মোটেও। পর্যাপ্ত গ্যাস না দিয়েও ভোক্তাদের কাছ থেকে পুরো টাকাই আদায় করা হচ্ছে। শিল্পখাত ও ক্যাপটিক পাওয়ারে গ্যাসের মূল্য শতকরা ১৫ ভাগ, সিএনজিতে শতকরা ১৪ ভাগ এবং বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে শতকরা ৫০ ভাগ মূল্যবৃদ্ধি করা হয়ছে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সংবাদ শুনে অসুস্থ গৃহিণী নূরজাহান বেগমের কান্নার কথা পত্রিকায় এসেছে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে ঘরে ঘরে বিরাজ করছে ক্ষোভ। দল হিসেবে সরকারি কিংবা বিরোধী- যে যার সমর্থন করুক, গ্যাসের মূল্য তো দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে পরিশোধ করতে হবে। তাই সরকারের এ সিদ্ধান্তের ক্ষমতাসীনদের জোটবদ্ধ মন্ত্রীসহ সাধারণ মানুষও বক্তৃতা-বিবৃতি ও সমাবেশ করে সোচ্চার হচ্ছে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে কি শুধুই গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করে পার পাওয়া যাচ্ছে? গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির জন্য যে সকল যুক্তি সরকার উপস্থাপন করেছে তাও যুক্তির বিচারে স্থূল মনে হয়েছে। এ শুধু ক্রিয়ার কথা। এর প্রতিক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে আরো কতদিকের ব্যয়ভার কতগুণ বৃদ্ধি পেয়ে জনজীবনে বিপর্যয় দেখা দেবে তা শুধু প্রত্যক্ষের অপেক্ষায়। মানুষের জীবনের দুর্বিষহ এলো বলে।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্ব আয়ের যে রূপরেখার স্বপ্ন সরকার জনগণের সামনে উপস্থাপন করেছে তা সরকারকে জনবান্ধব সরকারের স্থান থেকে বিচ্যুত করবে। ব্যাংকে লাখ লাখ কোটি টাকা অলস পড়ে থাকার পরেও সরকার রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা জনহিতকর নয় বরং এর দ্বারা সরকারের সাথে সাধারণ মানুষের মধ্যে দূরত্বের সৃষ্টি হবে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করে বর্ধিত মূল্যে সরকারের ৪ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় হবে বটে কিন্তু সাধারণ মানুষকে শোষণ করেই এটাকা আদায় করতে হবে। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে বটে কিন্তু একজন রিকশাওয়ালা, কুলি-মজুরের কাছে মাথাপিছু ১৩১৪ ডলারের গল্প শুনিয়ে লাভ কি? গরিবের বাসাতেই সাধারণত এক বার্নারের চুলা জ্বলে অথচ সেই চুলার বিলও ৩০০ টাকা বাড়ল আর ধনাঢ্যেরও একই! গরিব একবেলা রান্নার সংস্থান করতে পারে না অথচ ধনীর সাথে তাকেও রান্নার খরচ সমান দিতে হবে!
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়া যদি শুধু রান্নাতেই থেমে থাকত তবুও মানা যেত কিন্তু এর প্রতিক্রিয়া যেভাবে জীবনের চারিধারে বিস্তৃত হবে তাতে জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ায় এদেশের স্বল্প আয়ের ১২ কোটির অধিক মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমবে। যে সকল যুক্তি দেখিয়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বিশ্বের কোথাও বাংলাদেশের মতো এ সস্তায় গ্যাস পাওয়া যায় না। প্রকৃতপক্ষেই এটা সত্য দাবী যে, বাংলাদেশের চেয়ে অন্যান্য দেশে গ্যাসের মূল্য আড়াই থেকে তিনগুণ বেশি। কেবলমাত্র ভারতের সাথে বাংলাদেশের গ্যাসের দাম প্রায় কাছাকাছি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশের গ্যাসের মূল্য তুলনা করার পূর্বে সেসব দেশের সাথে এদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থারও তুলনা করার উচিত ছিল। বাংলাদেশের একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক কিংবা সরকারি কর্মচারী যেখানে মাসে ৩০০-৪০০ ডলার বেতন পান সেখানে বিদেশে একজন শিক্ষার্থী স্কলারশিপ পায় ৬০০-৭০০ ডলার বা তার চেয়েও বেশি। বাংলাদেশের একজন মানুষ মাত্র ১ ডলারে একটি দিনের ব্যয় অতিবাহিত করতে পারে এটা বিদেশিদের জন্য ভাবাও একেবারে দুঃসাধ্য। এদেশের একজন প্রতিষ্ঠিত মানুষের বেতনের চেয়ে বিভিন্ন দেশের দোকানের কর্মচারীর বেতন কয়েকগুণ বেশি। সুতরাং অন্যদেশের সাথে তুলনা করে গ্যাস কিংবা অন্যকিছুর মূল্য বৃদ্ধির নৈতিক অধিকার কি আমরা রাখি? গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির জন্য সরকার যুক্তি দেখিয়েছে পাইপলাইনে সরবরাহকৃত গ্যাসের চেয়ে এলপি গ্যাসের মূল্য অনেক বেশি। এ দু’শ্রেণীর গ্যাসের মূল্যের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতেই সরকার পাইপলাইনে সরবারহকৃত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ সরকার যদি জনবান্ধব সিদ্ধান্ত ও জবাবদিহি মানসিকতা দেখাতো তবে পাইপলাইনের গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে নয় বরং এলপি গ্যাসের দাম হ্রাস করেও সমন্বয় আনা যেত এবং সেটা জনহিতকর সিদ্ধান্ত হিসেবে দৃষ্টান্ত হতো। অবশ্য সরকারের যোগ্য বিরোধী দলের অনুপস্থিতি সরকারকে স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের দিকে ক্রমশ ধাবিত করছে। যা গণতন্ত্রের জন্য সংকট বাড়াবে।
ভর্তুকির কথা বলে মূল্যবৃদ্ধির শর্টকার্ট পথে এগুনো সরকারের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেল ও স্বজাতীয় তেলের দাম পড়ে গেলেও দেশীয় বাজারের সাথে তার সমন্বয় করা হয়নি। দুর্নীতি রোধ ও সিস্টেমলস কমিয়ে আনার অনমনীয় পরিকল্পনার দ্বারাও দেশের গ্যাস সেক্টরের ভর্তুকি হ্রাস করা যেত অথচ সরকার যে পথে এগুনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা জনগণের জন্য ‘বোঝার ওপর শাকের আঁটি’সম হবে। জনগণের দুর্ভোগ বাড়বে। দ্রব্যমূল্য ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। যদিও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সাথে সাথেই জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন। তিনি এটা না জানালেও জনগণের ওপর বিদ্যুৎ বিলেও যে বর্ধিত অংশ যোগ করার প্রস্তুতি নিতে হতো তা সাধারণের ভাবনার বাইরে রাখার সুযোগ ছিল না। কেননা বিদ্যুৎ উৎপাদনে অন্যতম জ্বালানি হিসেবে গ্যাসের ব্যবহার হয়। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি পেলে সাধারণভাবেই বিদ্যুতের ভোক্তাদের ওপর তার রেশ চাপবে। স্থানীয় ও রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হুমকি হিসেবেই আবির্ভূত হবে। তাছাড়া স্থানীয় রড, টেক্সটাইল ও হালকা প্রকৌশল- যার উৎপাদন সর্বোতভাবে গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল তার উৎপাদনেও ধস নামবে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের আয় না বাড়লেও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হবে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সক্ষমতার মেরুদÐ হচ্ছে তৈরি পোশাক খাত। যদিও নানা ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ পরিস্থিতির মারাত্মক খরা চলছে। তারপরও শুধু পোশাক শিল্পের ওপর ভর করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল আছে। ‘মড়ার ওপর খাড়ার ঘাঁ’ হয়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পোশাক খাতকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলবে। এমনিতেই আন্তর্জাতিক বাজারে পোশাকের দাম শতকরা ১৬ ভাগ কমে গেছে, তার ওপর গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে পোশাকের উৎপাদন ব্যয় নিশ্চিতভাবে বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে পোশাক শিল্পে কর্মরতরাও জীবনযাত্রাকে স্বাভাবিক করতে তাদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হবে। এসব আনুষাঙ্গিক কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অপারসম্ভাবনাময় বাংলাদেশের পোশাক বাজার ভারত ও চীনের দখলে চলে যাবে। এমনিতেই বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প নিয়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক মহলের চক্রান্ত ও দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্র রয়েছে। এবার তাতে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিক্রিয়া প্রভাব ফেললেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ২০২১ সালের মধ্যে পোশাক শিল্প থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা এতদিন কিছুটা কঠিন ছিল কিন্তু গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের পর তা অনিশ্চয়তার মধ্যে তলিয়ে গেল বোধহয়। তাছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া, বিশেষত ভিশন-২০২১ এর যে স্বপ্ন সরকার জনগণকে দেখিয়ে ক্ষমতা আঁকড়ে আছে তার বাস্তবায়নে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি মারাত্মক প্রতিবন্ধক হবে বলেই ধারণা।
বরাবরের মতো এবারো যদি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট নৈরাজ্য রুখতে সরকার ব্যর্থ হয় তবে স্থবিরতায় চাপা পড়বে জাতীয় জীবন। অতীতে দেখা গেছে, জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ কিংবা গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেলে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম, পরিবহন খরচ, বাসা ভাড়া, পানির দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। সরকারও এসব বিশৃঙ্খলা দমনে অপরাগের ভূমিকা দেখায়। এমনিতেই বর্তমানে দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা তুঙ্গে তার ওপরে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় গণমানুষের ক্ষোভের বিস্ফোরণ হলে তা সরকারের টিকে থাকাকে জটিল করবে। কাজেই জনস¦ার্থ বিরোধী গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে তা থেকে সরকারের ফিরে আসাই বোধহয় যৌক্তিক হবে। কোনোকিছুর মূল্যবৃদ্ধি করে কিংবা জনগণের ওপর অগণতান্ত্রিক মানসিকতা প্রসূত সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে নয় বরং দেশের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দলের ব্যানার ভাঙিয়ে খাওয়াদের দৌরাত্ম্য রোধ করতে পারলে এ দেশে শান্তি-সমৃদ্ধিতে ভরপুর হবে। দেশগড়ার লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের কষ্টÑঘামে ভেজা অর্থ রাষ্ট্রের কাছে তুলে দিতে কার্পণ্য দেখাবে না। এসব পারলে বাংলাদেশ অচিরেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। স্বপ্ন পূরণ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশে বিনির্মাণের।
য় লেখক : কলামিস্ট

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন