আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা থেকে : পাঁচ বছরেও পূর্ণতা না পাওয়ায় আন্দোলনে নামছে খুলনা জেলা ছাত্রলীগের পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা। আগামী রবিবার নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন তারা।
সূত্র জানান, বিগত সময়ে শতবার পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা কেন্দ্রে পাঠিয়েও অনুমোদন পাওয়া যায়নি। এর প্রধান অন্তরায় ছিল বর্তমান, সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মতানৈক্য। বর্তমানে জেলা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে সকলেই কেন্দ্রের সহায়তা কামনা করেন। গত ১৯ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় জেলা সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা রশিদী সুজা এমপি তার বক্তৃতায় জেলা ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। গত বছর ১৩ জুন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভায় জেলা কমিটি ১২১ সদস্যের পরিবর্তে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে অনুযায়ী ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রস্তুত করা হয়। এদিকে, বিগত ৫ বছর ধরে দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী একাধিক নেতাকর্মী তাদের পদ পেতে দৌড়ঝাঁপ করে। তারা সকলেই ত্যাগী, কর্মঠ ও বিগত সময়ে পরীক্ষিত ছাত্রনেতাদের পদ দেয়ার ব্যাপারে দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান সাগর বলেন, এ পর্যন্ত ৭ বার পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা কেন্দ্রে পাঠিয়েও অনুমোদন পাওয়া যায়নি। গত ৫ বছর ধরে দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী অনেক নেতাকর্মীকে আমরা পদ দিতে পারিনি। তাদের মনে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। অনেকে নিস্ক্রিয় হয়ে নিজেদের গুঁটিয়ে নিয়েছেন। তাই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা খুবই জরুরি।
২০১২ সালে ১০ জানুয়ারি কাউন্সিল ছাড়াই খুলনা জেলা ছাত্রলীগের ১৫ সদস্য কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিতে আরাফাত হোসেন পল্টুকে সভাপতি ও মুশফিকুর রহমান সাগরকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এক বছরের এই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে চার বছর আগেই।
অভিযোগ রয়েছে ঘোষিত ১৫টি পদের অধিকাংশ নেতাকর্মী দলীয় কোন কর্মকাÐে অংশগ্রহণ করেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন