স্টাফ রিপোর্টার : সারাদেশে সাধারণ গ্রাহকদের কাছে পল্লীবিদ্যুতের খুঁটি সরানোর জন্য অবৈধভাবে টাকা নেয়ার কারণ জানতে চেয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর টাকা নেয়া এ অভিযোগ সত্যতা স্বীকার করেছেন বিআরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন। একই সাথে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের ধীরগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এ কমিটি। দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীকে কমিটির পক্ষ থেকে এবিষয়ে নজরদারি বাড়ানোর এবং প্রতিটি কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়ার তাগিদ দেয়া হয়েছে। কমিটির ২৯তম বৈঠকে এ অসমন্তোষ প্রকাশ এবং কারণ জানতে চাওয়া হয়।
কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবানের সময় প্রতিযোগিতায় স্থানীয় নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি এবং প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত করার জন্য সুপারিশ করা হয়। কমিটি কাপ্তাইয়ে বিপিডিবির সোলার পাওয়ার প্রকল্প দ্রæত বাস্তবায়নের সুপারিশ করে। এছাড়া হাতিয়া ও সোনাগাজী বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি প্রতিবেদন ও জিটুজি (গভার্নমেন্ট টু গভার্নমেন্ট) প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের তুলনামূলক প্রতিবেদন পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করার সুপারিশ করে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার লক্ষে ইতোমধ্যে যেসব গ্রাহক আবেদন করেছেন অতিদ্রুত তাদেরকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার সুপারিশ করা হয়। শতভাগ বিদ্যুৎ কাভারেজ নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়ের সবাইকে আরো আন্তরিকভাবে কাজ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়।
কমিটির বৈঠকে হুইপ মো: আতিকুর রহমান বলেছেন, বিদ্যুতের যে সকল কাজ হচ্ছে, সেখানে মূল ঠিকাদার এলাকার কিছু কিছু স্বার্থান্বেষীর মাধ্যমে এলাকার মানুষের কাছ থেকে খ্ুঁটি প্রতি টাকা নেয়া হচ্ছে এবং বাসার ওয়্যারিং করানোর জন্য টাকা উঠাচ্ছে। বাঁধা দেওয়ার সত্তে¡ও তা রোধ সম্বব হচ্ছে না। কমিটির অপর সদস্য জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন তার এলাকায় নানা কৌশলে পল্লী বিদ্যুতের লোকরা জনগণের নিকট টাকা নিচ্ছেন। মহিলা সংরক্ষিত আসনের এমপি কমিটির সদস্য নাসিমা ফেরদৌসী বলেন, বিদ্যুতের খুঁটি সড়ানোর জন্য ঠিকাদারকে কোন টাকা দিতে হবে তা জানাতে হবে। আর কি কারণে ঠিকাদার টাকা নিচ্ছেন তাও জানাতে হবে। বৈঠকে বিআরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন বলেছেন, এ অভিযোগ সত্য। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন ঠিকাদার এবং কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে। দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কর্তৃত্ব নেই। কোনো দালালকে কোনো টাকা-পয়সা না দেয়ার জন্য পোস্টারিং করা হয়েছে। লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। এছাড়া কোনো ঠিকাদারে বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন