শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আদিগন্ত

ঢাকা এখন দূষিত বায়ুর সিলিন্ডার

| প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

হারুন-আর-রশিদ : ঢাকা এখন দূষিত বায়ু ভর্তি এক সিলিন্ডার। তাছাড়া ঢাকাকে অনেকে বলেন গ্যাস চেম্বার। অথচ, ক্ষমতাসীনদের চোখে কখনই ঢাকার যন্ত্রণাদায়ক এ দৃশ্যগুলো চোখে পড়ে না, যা অতি দুঃখজনক। একটি প্রভাবশালী দৈনিক ১৭ ফেব্রæয়ারি ২০১৭ লিখেছেÑ ঢাকা শহরের উন্নয়নের আসল চেহারাটা কি এটাই। বর্তমান বিশ্বে বায়ু দূষণে ঢাকার অবস্থান তৃতীয় স্থান থেকে উঠে এসেছে দ্বিতীয় অবস্থানে। ২০১৪ সালে চতুর্থ, ২০১৬ সালে তৃতীয় এবং ২০১৭ সালে দ্বিতীয় হওয়া ধারাবাহিক অবনতির দিকেই যাচ্ছে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলেছেÑ এক কথায় ধোঁয়া আর ধুলার শহর ঢাকা। সারা বছর সড়ক মেরামত, নির্মাণ সামগ্রী, ইটভাটার ধোঁয়া আর ধুলা এর মূল কারণ। এ ছাড়া আছে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা। ১০ ফেব্রæয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রæয়ারি ১৩ দিনে প্রাণ গেছে ১৫১ জন মানুষের। আমার খালাতো ভাই (৪৪) ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায়। বণ্যপ্রাণীর চেয়েও মানুষের জীবনের নিরাপত্তা এখন ৮০ শতাংশ কম। নানাভাবে মানুষ মরছে। 

আরেক ভয়াবহ সমস্যা হচ্ছে যানজট। দুবাই যেতে লাগে সাড়ে তিন ঘণ্টা আর মোহাম্মদপুর থেকে মতিঝিল ৭ কিলোমিটার রাস্তা পারি দিতে ডিজিটাল বাংলাদেশে সময় লাগে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা। জীবন-বিনাশক কষ্ট কাকে বলে সেটা ভুক্তজনদেরই উপলব্ধি করা সম্ভব। মাঝেমধ্যে আমার মতো অনেকেই তখন ম্যানুয়াল হয়ে যাই। বাস থেকে নেমে বাসার পথে হাঁটি। বায়ু দূষণের বহুমাত্রিক যন্ত্রণায় ইনহেলার ব্যবহার করি শ্বাসযন্ত্রটাকে ঠিক রাখার জন্য। অধিকাংশ মানুষের পকেটেই থাকে- এই বিশেষ যন্ত্রটি। বছরে তিন-চারবার একই সড়ক কেন এত খোঁড়াখুঁড়িÑ স্থায়ী-বিনির্মাণ কেন হয় না। সেটা বুঝতে কষ্ট হয় না যন্ত্রণায় আক্রান্ত নগরবাসীর। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে আয়রোজগার দৈনিক ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকা, যার নাম ফুটপাত বাণিজ্য। মাঝেমধ্যে হকার উচ্ছেদ, এটা লোকদেখানো বোঝা যায় কয়েক দিন পর তাদের আবার সচল অবস্থায় দেখলে। বাণিজ্যের অংক বাড়ানোর জন্যই নাকি মাঝেমধ্যে এই অভিযান চালানো হয়। ফেব্রæয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে একটি জাতীয় দৈনিকে এর ওপর একটি নাতিদীর্ঘ রিপোর্ট ছবিসহ তুলে ধরা হয়। এই হকার উচ্ছেদ এখন বিভাগীয় শহরগুলোতে চলছে। বরিশালে ১৬ ফেব্রæয়ারি ২০১৭ পুলিশের বেদম প্রহারের দৃশ্য দেখলাম। আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক মানুষ। গণমাধ্যমের একজন কর্মীকেও গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জাতীয় স্বার্থে এসব কাজ হচ্ছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে বলা হলেও এর খবরের পেছনের খবর বাণিজ্য। আমরা যখন দেখবÑ স্থায়ীভাবে এসব কাজ করা হচ্ছে, পুনরায় তার পুনরাবৃত্তি ঘটছে নাÑ তা হলে বুঝব, প্রশাসন যন্ত্র জাতীয় স্বার্থেই এসব কাজ করছে।
বাংলাদেশের জলবায়ু তথা প্রকৃতির যে পরিবর্তন তা মানব সৃষ্ট। ছয় ঋতু বইপুস্তকে আছে বাস্তবে পলাতক মানুষের অত্যাচারের কারণে। স্রষ্টার সৃষ্টির ওপর এমন নির্যাতন অতীতে এতটা বিধ্বংসী রূপে দেখা যায়নি। মহানগরীতে এখন জীবন্ত প্রবাহমান খাল চোখে পড়ে না। খাল নদী পুকুর জলাশয় না থাকলে ধুলোবালি বাড়বে। প্রকৃতির বিরুদ্ধে কর্মযজ্ঞ যত বেশি চলতে থাকবে, তত বেশি প্রকৃতি রিভোল্ট করবে অর্থাৎ বিরূপ রূপ ধারণ করবে। এটা প্রকৃতির স্বভাবধর্মী আচরণ বা চরিত্র। পানির স্বাভাবিক গতিকে রুদ্ধ করলে বর্ষা মৌসুমে শহর বন্দর নগর ডুবিয়ে দেবে। নদী ছোট হচ্ছে, শুকিয়ে যাচ্ছে, দখল হয়ে যাচ্ছে। মরুময় ইট-পাথরের দেশে ধুলা, ধোঁয়া এসব বাড়বেÑ প্রকৃতি বিজ্ঞান তাই বলে। পরিবেশ নিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে কাজ করতে গিয়ে এসব বিষয়ে প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন সম্ভব হয়েছে। ঢাকা এবং চট্টগ্রাম এই দুই মহানগরীতে আমার ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে সময় অতিবাহিত হয়েছে। ষাটের দশকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে এত দূষণ ছিল না। দূষণ বলতে মাটি দূষণ, বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, শব্দ দূষণ, বর্জ্য দূষণ সব কিছুই। তথা সব উপাদানই দূষণে আক্রান্ত। অনেকে বলে থাকেনÑ মানুষ বাড়ছে তাই দূষণ বাড়ছে। পৃথিবীর সব দেশেই মানুষ বাড়ছেÑ কিন্তু পরিবেশ নষ্ট হয়নি। কারণ হলো সবকিছুই পরিকল্পিতভাবে উন্নত রাষ্ট্রে অবকাঠামোগতভাবে সাজানো হয়েছে। আমরা ভাবছি নিয়মকানুন আমাদের কথা শুনবেÑ অনেকটা যেমনি নাচাই তেমিন নাচে পুতুলের কি দোষ। আমরা নিয়ম ভঙ্গ করব, নিয়মমতো চলব নাÑ তাহলে বায়ু দূষণ শুধু নয়, সবকিছুই দূষণের পথে হাঁটবে। উদাহরণস্বরূপ ১৭ এপ্রিল ২০১৭ একটি পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠার লিড নিউজ ছিল নকলে আর ভেজালে দিশাহারা ক্রেতা। নকল আর ভেজাল এসব তো চতুস্পদ জন্তু জানোয়ার দেয় না। দেয় মানুষ নামে ¯্রষ্টার সৃষ্ট জীব। আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় বান্দা মানুষরাই পৃথিবী নামক গ্রহটিকে নরকে পরিণত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট এবং ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভাল্যুয়েশনের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বছরে এক লাখ ২২ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যুর সরাসরি কারণ বায়ু দূষণ। অপরদিকে, ২০১৫ সালে নাসা বলেছিল, ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নয় বছরে ঢাকার বাতাসে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়েছে। এ সময় ৭৯ শতাংশ বিষাক্ত এই গ্যাস বাতাসে প্রবহমান ছিল। রাজধানী ঘিরে থাকা কয়েক হাজার কয়লা পোড়ানো ইটভাটার ধোঁয়া এবং যানবাহনের পোড়া ধোঁয়া ঢাকাকে দূষণের অন্তিম পর্যায়ে নিয়ে গেছে। ঢাকার বাতাসে মানবদেহের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ উপাদান পিএম ২ দশমিক ৫-এর মাত্রাও রয়েছে, যা ভারত ও চীনের পরের অবস্থানে। কয়লা বিদু্যুৎ কেন্দ্র বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেছে ভারতের গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (সিএসই)। দিল্লিতে বেশ কটি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থাকায় ২০১৭ সালে বায়ু দূষণের তালিকায় দিল্লি প্রথম অবস্থানে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। ঢাকার দূষণ কমাতে হলে লক্কড়ঝক্কড় মার্কা গাড়ি, টেম্পো, লেগুনা, ট্রাক এসব যান চলাচল কমিয়ে দূষণ নিরোধ আধুনিক প্রাযুক্তিক মেট্রো ও পাতাল রেলের বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই। আমরা এ কারণেই সুন্দরবন সংলগ্ন রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রর বিরোধিতা করছি। বায়ু দূষণ দিল্লি এবং ঢাকার মানুষকে যেভাবে ভোগাচ্ছে ঠিক একইভাবে খুলনা, বাগেরহাট রামপালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ৮ জেলার মানুষকে নিকট ভবিষ্যতে চরমভাবে ভোগাবে।
বায়ু দূষণ কী পরিমাণ জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে তা ইতোমধ্যে আমরা অনুধাবন করছি। ঢাকার চেহারা ৫০ বছর আগে এ রকম দূষণীয় অবস্থায় ছিল না, যা পরবর্তী ৫০ বছর পর আমরা অনুধাবন করছি। দূষণের বিষক্রিয়া বায়ু, পানি, মাটি, আলো এবং খাদ্যকে কীভাবে প্রাণী জগতের জন্য সর্বনাশের পথে ঠেলে দিচ্ছে- হাসপাতালের আধিক্য এবং রোগীর ভিড় দেখে তা সহজেই বোঝা যায়Ñ আমরা বিষের সাথে বসবাস করছি। রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ স্থাপনা নির্মাণের পর এবং চতুরপাশে যখন কয়েক শতাধিক মিল কারখানা শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে তখন শুধু সুন্দরবন নয় দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ১০টি জেলা ঢাকার চেয়েও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। ইতোমধ্যেই রামপালকে কেন্দ্র করে জমি কেনা শুরু হয়ে গেছে তিন শতাধিক শিল্প কারখানার জন্য। কাজও শুরু হয়েছে। সরকারি দলের লোকজনই ভূমি ক্রয়ে অগ্রাধিকার পাচ্ছে। এসব খবর জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। মূল কথা হলো, বাংলাদেশটাকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য আমরা এমন কোনো কাজ নেই যা করছি না। বিশেষ করে প্রকৃতিবিনাশী কর্মকাÐে বিশ্বে এখন আমরা একনম্বরে। ফেব্রæয়ারি ২০১৭ বিশ্ব মিডিয়ায় এ ধারণা প্রকাশিত হয়েছে, যা ১৭ ফেব্রæয়ারি বাংলাদেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ হয়েছে।
পরিবেশ শব্দটির অর্থ ব্যাপক। একটি দেশের গাছপালা প্রাণিক‚ল, পাহাড়-পর্বত, নদী-সাগর, রাস্তাঘাট, ঘর-বাড়ি, চিকিৎসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত, হাসপাতাল, আবহাওয়া ও জলবায়ু, ধর্মীয় উপাসনালয় থেকে শুরু করে যা কিছু রাষ্ট্রে বিদ্যমান রয়েছে সবকিছুরই একটি সুশৃঙ্খল-ব্যাধিমুক্ত পরিবেশ থাকা একান্ত প্রয়োজন। পরিবেশের মধ্যে অনিয়ম যত বেশি থাকবে রাষ্ট্র তত বেশি পিছিয়ে যাবে।
খাদ্য তৈরিতে সবুজ গাছ বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড উপাদানটি সংগ্রহ করে। যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। আর আমরা গাছ উপড়ে ফেলছি, কেটে ফেলছি; লাগাচ্ছি কম, কাটছি বেশি। বৃক্ষ নিধন বায়ু দূষণের প্রধান কারণ। পার্কে গাছ নেই আছে ইমারত আর স্মৃতিস্তম্ভ, অডিটরিয়াম, চাইনিজ রেস্তোরাঁ, ক্রীড়া কমপ্লেক্স ও বহুতলবিশিষ্ট ইমারত নির্মাণের সাইনবোর্ড যা দেখা যাবে ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে। খেলার মাঠ অবলুপ্ত গাছবিহীন-পার্কগুলো ক্রন্দনরত। বাঙালিরা আজ অর্থকে এতই প্রধান্য দিচ্ছে যে, গাছপালা, বন, নদনদী এগুলো বিনাশ না করলে বিত্তশালী হওয়া যাবে না। স্বাস্থ্য না অর্থÑ কোনটা চাই? এ দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ বলবে অর্থ-অর্থ-অর্থ। গাছ হলো অক্সিজেন ফ্যাক্টরি। সেই বৃক্ষ কেটে আবাসন নির্মাণের রেসে অবতীর্ণ হয়েছি।
দুঃখজনক হলো, রাজউকের বাড়ি তৈরির নিয়ম না মেনেই অনেকে ঢাকা শহরে ঘরবাড়ি নির্মাণ করছে, স্থাপন করছে অপরিকল্পিত শিল্প-কারখানা। ঢাকা শহরে গাড়ির সংখ্যা সড়ক অনুপাতে চার গুণ বেশি। এর ফলে জ্বালানি বেশি পুড়ছে, ধোঁয়া ধুলাÑ এসব বাড়ছে। এ কারণে ঢাকার পরিবেশে মাত্রাতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড বেড়ে যাচ্ছে, যা শরীরের জন্য চরম ক্ষতিকর।
ঢাকার আশপাশ নদী সঙ্কুচিত হচ্ছে, শুকিয়ে যাচ্ছে, গাছ না লাগিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে কলকারখানা ও বাড়িঘর। ফলে নদীর পানি যেমন দূষিত হচ্ছে তেমনি দূষিত হচ্ছে বাতাস। নদী ভাঙনও এ কারণে হচ্ছে। ঢাকার নদীতে অক্সিজেন নেই বললেই চলে। এসব নদী মৎস্যশূন্য হয়ে পড়েছে এসব কারণে। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কার্বন মনো অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয় রান্নার চুলায় প্রাকৃতিক গ্যাস বা কাঠ পোড়ানোর সময়। গাড়ির ধোঁয়া থেকেও এ গ্যাস উৎপন্ন হয়, যা বাতাসের সাথে মিশে মানবদেহে শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে প্রবেশ করে। শ্বাসকষ্ট হৃদরোগ এবং ফুসফুসে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কথা বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলেছেন। বাতাসের সাহায্যে য²ার জীবাণু মানবদেহে প্রবেশ করে এ রোগটি ছড়ায়। বাতাসে সালফার অক্সাইড বেড়ে গেলে এসিড বৃষ্টির সৃষ্টি হয়। কালো ধোঁয়া উৎপাদন করে এমন যানবাহন নিষিদ্ধ করলে বায়ু দূষণ রোধ করা সম্ভব। কয়লা পোড়ালে সালফার অক্সাইড উৎপন্ন হয়। হাঁপানি ও ডাস্ট অ্যালার্জি রোগটি এখন ঘরে ঘরে বিস্তার লাভ করছে। এসব মানুষের কর্মকাÐের জন্য হচ্ছে। ঘন ঘন রাস্তাঘাট নির্মাণের ফলে ধুলাবালি বাতাসে মিশে রোগ জীবাণু ছড়ায় এবং ঘরবাড়িও ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। বাসগৃহে বসবাস করা শিশু ও বয়স্ক মানুষের জন্য অনিরাপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সময়ের দাবি। ভাবা উচিত নির্মল বায়ু এবং টেকসই পরিবেশ ছাড়া প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য কোনোটিই নিরাপদ নয়। সবুজে সাজাতে হবে আপন বাসগৃহ। সব ধরনের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করে আবাসন প্রকল্পকে সবুজে ঘিরে রাখতে হবে। মুক্ত বাতাস নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য প্রয়োজন সমগ্র ঢাকা শহরের সবুজের সমারোহ। দুঃখজনক মহানগরে সজীব জীবনযাপনের একমাত্র আশ্রয় আমাদের ক্ষুদ্র আবাসনটি সজীবহীনতায় ভুগছে। আমরা চাই সবুজে সমারোহ নির্মল বায়ুর এবং গণযন্ত্রণার গণপরিবহনমুক্ত সিমসাম একটি আধুনিক ঢাকা শহর।
 লেখক : গ্রন্থকার, গবেষক ও কলামিস্ট

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন