স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র সাভারের যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় অন্তত ১০জন আহত হয়েছে।
গতকাল (শনিবার) বিকেলে সাভার সদর ইউনিয়নের কলমা এলাকায় ‘মানারত নীটওয়্যার’ কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কারখানাটির মালিক আলমগীর কবীর জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে ঝুট ব্যবসা করে আসছিলো সাভার সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সোহেল রানার লোক যুবলীগের সদস্য মোহন মিয়া। পরে হঠাৎ করে ঝুট নিতে আসে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক। পরে খবর পেয়ে মোহনের লোকজন বাধা দিলে এসময় উভয় গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই জানায়, সংঘর্ষে অন্তত উভয় গ্রæপের দশজন আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন চিকিৎসালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকের মাথা ফেটে গেছে। কারও হাত, কারও পা কেটে রক্ত বের হতে দেখা গেছে।
আহতদের মধ্যে ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য রাজু মাথা ও হাতে জখম অবস্থায় সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে কারখানায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সাভার থানা যুবলীগের সভাপতি সেলিম মন্ডল জানান, সাভার সদর ইউনিয়নে যত কারখানা আছে সব কারখানার ঝুট ব্যবসা আমরা ও সদর ইউনিয়নের নতুন চেয়ারম্যান সোহেল রানা ভাগাভাগি করে নিবো। এনিয়ে থানায় বসে দুই পক্ষের মধ্যে স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তি হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান হওয়ার পর সোহেল রানা একাই ব্যবসা করতে চায়। এনিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। সোহেল রানার লোকজন আমার পক্ষের লোক ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য রাজুর ডান হাতের তিনটি আঙ্গুল কেটে ফেলেছে। এঘটনায় আমরা থানায় মামলা করবো, বলেন তিনি।
সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন