শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

হাজারীবাগের সব ট্যানারি বন্ধের নির্দেশ আপিলেও বহাল

প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৫৭ পিএম, ১২ মার্চ, ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার হাজারীবাগের সব ট্যানারি কারখানা অবিলম্বে বন্ধ করে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হাইকোর্টের আদেশ আপিলেও বহাল। গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ ট্যানারি মালিকদের আপিল তা খারিজ করে দেন। ট্যানারি কর্তৃপক্ষের করা সময় আবেদন নাকচ করে আদালত বলেছেন, উই আর সরি। ফলে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরাতেই হবে।
গত সোমবার বেলার এক আবেদনের শুনানি করে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ হাজারীবাগে থাকা ট্যানারি বন্ধের এই আদেশ দেন। পরে আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। রিট আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী  সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। শুনানিতে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, এখনো আমাদের ক্ষতিপূরণের সব টাকা দেয়া হয়নি। এখানে অনেক মানুষের জীবন জীবিকা জড়িত। অন্তত জুন মাস পর্যন্ত সময় দেন।
আদালত তখন ‘উই আর সরি’ বলে আবেদনটি খারিজ করে দেয়। হাইকোর্টের আদেশের দিন রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, হাজারীবাগের ট্যানারিগুলো সরিয়ে নিতে সর্বশেষ ২০১০ সালের অক্টোবরে ছয় মাস সময় দিয়েছিল হাইকোর্ট। সে অনুসারে ২০১১ সালে ৩০ এপ্রিলের পর হাজারিবাগে কোনো ট্যানারি চালানোর অনুমোদন নেই। এরপরও সরকার চলতি বছরের ৩১ মার্চ পযন্ত সময় দিয়েছে। সময় বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকার আদালতের অনুমতি নেয়নি। ফলে সরকারের সময় বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে জানুয়ারিতে আমরা এই আবেদন করি। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত হাজারীবাগের সকল ট্যানারি অবিলম্বে বন্ধ এবং কারখানাগুলোর বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার আদেশ দিয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলার পাশাপাশি এ কাজে সহযোগিতা দিতে স্বরাষ্ট্র সচিব, শিল্প সচিব, আইজিপি ও ঢাকার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। ওই আদেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ৬ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয় পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে। এছাড়া হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া প্রবেশ বন্ধে সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তরের কাছ থেকে কেমন সহযোগিতা মিলছে, সে বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়কে আরেকটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে একই সময়ের মধ্যে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ইলিয়াস ১৩ মার্চ, ২০১৭, ১১:৩৭ এএম says : 0
দ্রুত আদালতের রায় কার্যকর করা হোক।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন