মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

ভিক্ষুকদের সঞ্চয় দেড় কোটি টাকা

| প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা : নীলফামারীর কিশোরগজ্ঞে পুনর্বাসিত ভিক্ষুকরা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প হতে ঘর পেয়ে তাদের সবার মাথা গোঁজার ঠাঁইও হয়েছে। এছাড়া পুনর্বাসিত ভিক্ষুকদের একাউন্টে তাদের নিজস্ব সঞ্চয় প্রায় দেড় কোটি টাকা জমা হয়েছে।
সূত্র মতে, ২০১৪ সালের ৫ জুলাই নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়। এর আগে তালিকাভুক্ত ৯শ’ ৭৯ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসনের আওতায় নেয়া হয়। এদের দেয়া হয় বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড। পুনর্বাসিত ভিক্ষুকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মমুখী করে গড়ে তোলা হয়। পুনর্বাসিতদের মধ্যে ৯৫১ জনকে একটি বাড়ি, একটি খামার প্রকল্পের সদস্য করে দেয়া হয়েছে ঋণ। ঋণের টাকা দিয়ে গরু, ছাগল ও ব্যবসা করে আজ তারা স্বাবলম্বী। তাদের একাউন্টে বর্তমানে নিজস্ব সঞ্চয় ৪৬ লক্ষ ৬৪ হাজার ৮শ’ টাকা, কল্যাণ অনুদান ৪৫ লক্ষ ৬৪ হাজার ৮শ’, আবর্তক তহবিল ৪৫ লক্ষ ৩১ হাজার ৬শ’ ২৩ টাকাসহ মোট তহবিল ১ কোটি ৩৭ লক্ষ ৬১ হাজার ২শ’ ২৩ টাকা ।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুনর্বাসিতদের সাফল্য কথা শুনে সরেজমিন সাফল্য চিত্র দেখার জন্য স¤প্রতি এখানে আসেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ। তিনি পুনর্বাসনের কথা শুনে সন্তোষ প্রকাশ করে পুনর্বাসিতদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ঘর নির্মাণের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করেন। এরই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প হতে প্রথম পর্যায় ১০ জন পুনর্বাসিতের ঘর নির্মাণের জন্য ৬০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। পুনর্বাসিত ১০ জনের ডিজাইন ও প্রাক্কলন মোতাবেক ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হলে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের একটি দল তা পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ৩ দফায় আরো ২শ’ ৩২ জনের ঘর নিমার্ণের জন্য ঘর প্রতি ৭৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ প্রদান করেন। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্ববধানে উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি ঘর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছেন। এদিকে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে প্রথম দফায় ৪শ’ ৪৮ জন পুনর্বাসিতদের ঘর নির্মান সম্পন্ন হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন