স্টাফ রিপোর্টার : দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমন্বিত প্রয়াস শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, দুর্নীতি দমনে প্রধান শর্ত হচ্ছে আইনের শাসন। দুর্নীতি দমনে দরকার সুশাসন, কার্যকরী সংসদ ও সক্রিয় সংসদীয় কমিটি। জনগণের আস্থা না থাকলে কোনো প্রতিষ্ঠানই সফল হতে পারবে না। তারা আরো বলেছেন, দুর্নীতি দমনে জনমত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে যে কমিশন কাজ করছে এতে মানুষের মধ্যে কমিশন সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা জন্মাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহের পঞ্চম দিনে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমন্বিত প্রয়াস শীর্ষক সেমিনার উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, একে আজাদ, প্রফেসর জেরিন রহমান, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, প্রফেসর সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, প্রফেসর ড. গোলাম রহমান, কাজী সিরাজ, সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউছুফ, সারা যাকের প্রমুখ। এছাড়াও কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম ও কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ।
এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, দুর্নীতি দমনে দরকার সুশাসন, কার্যকরী সংসদ ও সক্রিয় সংসদীয় কমিটি। আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সমাজ দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিলে দুর্নীতি দমন কঠিন হবে। এদেশে অনেক দন্ডিত ব্যক্তিরা রাজনীতি করছেন। জেরিনা রহমান খান বলেন, কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা থাকলেই দুর্নীতি হ্রাস পেত। সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, দুর্নীতি দমনে প্রধান শর্ত হচ্ছে আইনের শাসন।
সভাপতির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, রাঘব-বোয়ালদের আইনের জালে আবদ্ধ করেই জনগণের আস্থা অর্জনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চেষ্টা করবে কমিশন। আমার বিশ্বাস জনগণের আস্থা না থাকলে কোনো প্রতিষ্ঠানই সফল হতে পারবে না। তিনি আরো বলেন, কমিশনের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বেসিক ব্যাংক নিয়ে ৫৪টি মামলা হয়েছে। আরও মামলা হবে। শুধু বেসিক ব্যাংক নয় অধিকাংশ ব্যাংকে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন