বেনাপোল অফিস : বেনাপোলের বুঝতলা সোনামুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র পারভেজ হোসেন (১২)কে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার সহ স্থানীয়রা। বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ মঙ্গলবার সকালে স্কুলের সেপটি ট্যাংকের পাশ থেকে ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
রাতের কোনো এক সময় স্কুলের ছাদে তাকে হত্যা করে পরে লাশ নীচে ফেলে রাখা হয় বলে ধারণা পুলিশ ও স্থানীয়দের। নিহতের এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী মফিজুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার বিচার চান শিক্ষার্থীরাসহ এলাকার মানুষ। ঘটনাটি আত্নহত্যা বলে চালানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন একটি মহল।
পারভেজ বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর গ্রামের তাইজেল হোসেনের ছেলে ও বাহাদুরপুর বুঝতলা সোনামুখী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
হত্যার শিকার ছাত্রের মা পারভিন বেগম জানান, তার বাবা বিদেশে থাকেন। সে স্কুল শেষে সোমবার বাড়িতে আসে। এরপর সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না পারভেজকে। মঙ্গলবার সকালে খবর পাওয়া যায় স্কুলের মাঠে কারা তাকে মেরে ফেলে রেখেছে।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান জানান, খবর পাওয়ার পর পরই ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্কুলের ছাদ থেকে তাকে হত্যার বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন