২০১৪ সালে ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের এক অপরিচিত গ্রামের দরিদ্র পরিবারের মেয়ে মালাবাথ পূর্ণা মাত্র ১৩ বছর ১১ মাস বয়সে এভারেস্ট শৃঙ্গে আরোহণ করে বিশ্বব্যাপী এক চমক সৃষ্টি করে। মেয়েদের মধ্যে সেই সবচেয়ে কম বয়সে এই অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করেছিল। এটি তারই গল্প।
পূর্ণা (অদিতি ইনামদার) তেলেঙ্গানার এক সুবিধাবঞ্চিত উপজাতীয় কিশোরী। সে আর তার চাচাতো বোন প্রিয়ার (এস. মারিয়া) জন্য স্কুল থেকে দুপুরের যে খাবারের সরবরাহ করা হয় সেটিই দিনের পূর্ণ আহার। তাও দিতে কর্তৃপক্ষের কতিপয় মানুষ গড়িমসি করে। এছাড়া পরিবার থেকেই পড়াশোনার ব্যাপারে বাধা আছে। ঘরের কাজ করেও সে তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায়। এর মধ্যে অপরিণত বয়সে প্রিয়ার বিয়ে হয়ে যায়; আর প্রিয়ার ধারণা এটাই তার সৌভাগ্য। পূর্ণার মতো প্রিয়ারও খেলাধুলায় খুব আগ্রহ ছিল, অনেক স্বপ্ন ছিল তার। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন ভেঙে যায় অকালে। কিন্তু পূর্ণা তা হতে দেবে না। এই সময় তার পাশে এসে দাঁড়ায় ইন্ডিয়ান পাবলিক সার্ভিস অফিসার প্রদীপ (রাহুল বোস)। সে নিজে উপযাচক হয়েই প্রত্যন্ত অঞ্চলে তার পোস্টিং চেয়ে নেয় এবং তা পূর্ণাদেরই এলাকায়। এলাকার দরিদ্র আর সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা যাতে বৈষম্য আর বঞ্চনার শিকার না হয় সেদিকেই তার প্রথম নজর। পূর্ণার প্রতি তার দৃষ্টি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হয়। সে দেখতে পায় পর্বতারোহণে তার আগ্রহ খুব গভীর এবং ইনডোর রক ক্লাইম্বিংয়ে সে তার যোগ্যতা প্রমাণ করে। তার মাঝে একাগ্রতা আর অধ্যবসায় লক্ষ্য করে প্রদীপ তার জন্য উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। অচিরেই এভারেস্ট জয়ের জন্য দার্জিলিংয়ে পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সুযোগ পেয়ে যায় এবং অনেক সামাজিক আর প্রশাসনিক বাধার পর সে শেষ পর্যন্ত এভারেস্টের শৃঙ্গে পৌঁছে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন