বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আদিগন্ত

জনগণের রায় বনাম সরকারের কলমের খোঁচা

প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৯:১৬ পিএম, ১২ এপ্রিল, ২০১৭

মহিউদ্দিন খান মোহন
প্রশ্নটি উঠেছে সঙ্গত কারণেই। দেশে লাখো ভোটারের রায় শক্তিশালী, নাকি সরকারের কোনো একটি বিভাগের কলমের খোঁচার শক্তি বেশি। স¤প্রতি রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র যথাক্রমে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও আরিফুল হক চৌধুরী এবং হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউসকে সরকার বরখাস্ত করার পরই প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দেয়। দীর্ঘদিন কারাগারে থেকে এবং আইনি লড়াইয়ের পর অতিস¤প্রতি তারা যোগ দিয়েছিলেন স্ব স্ব পদে। কিন্তু চেয়ারে বসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুনরায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করার নির্দেশ জারি করা হয়। যদিও আদালতের নির্দেশে পরবর্তীতে তারা পুনরায় স্ব স্ব পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
একযোগে তিন মেয়রকে বরখাস্তের খবরে দেশবাসী বেশ একটা ধাক্কা খেয়েছে। কেননা, জনগণের ভোটে নির্বাচিতদের এভাবে নির্বাহী আদেশে বরখাস্ত করা কতটা যৌক্তিক এবং তা গণতন্ত্রের জন্য কতটা সহায়ক সে প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, আইন অনুযায়ী তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। হ্যাঁ, স্থানীয় সরকার আইনে অমন একটি বিধান রয়েছে এটা ঠিক। কিন্তু গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে বা সুপ্রতিষ্ঠিত করার পথে তা যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে সেটা তো অস্বীকার করা যাবে না। অভিজ্ঞরা বলছেন যে, আইনের ওই বিধানটি জনগণের রায়কে পদদলিত করার হাতিয়ার হিসেবেই শাসক মহল ব্যবহার করে আসছে। বিশেষ কোনো সরকার নয়, যখন যে সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকে, তখন সে সরকারই বিধানটিকে ব্যবহার করে স্থানীয় সরকারগুলোকে হাতের মুঠোয় রাখার অস্ত্র হিসেবে। ফলে এখন কথা উঠেছে ওই বিধানটি রহিত করে সরকার কর্তৃক স্থানীয় সরকার নিয়ন্ত্রণের জন্য অধিকতর গণতান্ত্রিক বিধান চালু করার।
কেউ কেউ অবশ্য এটাও বলছেন যে, বিধান থাকাটা খারাপ কিছু নয়, যদি তার অপব্যবহার না হয়। বর্তমান সরকারের আমলে ওই বিধানটি যে অতি ব্যবহার বা অপব্যবহার হচ্ছে সেটা অস্বীকার করা যাবে না। সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ মিলিয়ে দুই শতাধিক জনপ্রতিনিধি বর্তমানে সরকারের সাময়িক বরখাস্তের শিকার হয়ে পদহারা অবস্থায় আছেনÑ এ খবর সংবাদ মাধ্যমে বেরিয়েছে। বরখাস্ত হওয়া এসব জনপ্রতিনিধির সবাই ফৌজদারি মামলার আসামি এবং তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করেছেÑ সরকারের ভাষ্য সেটাই। কিন্তু পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, প্রায় সবগুলো মামলাই রাজনৈতিক। বলে নেয়া প্রয়োজন মনে করছি যে, যেসব জনপ্রতিনিধি সরকার কর্তৃক বরখাস্ত হয়েছেন, তারা সবাই সরকারবিরোধী প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি অথবা ২০ দলীয় জোটের কোনো না কোনো পর্যায়ের নেতা। আর এটাও তো সবারই জানা যে, কেন্দ্রীয় কিংবা স্থানীয় যে কোনো পর্যায়ের বিএনপি নেতারা প্রায় সবাই বর্তমানে একাধিক মামলার আসামি। কারো কারো বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৮০/৯০টি। আর এর প্রায় সবগুলোই ফৌজদারি মামলা। গাড়ি পোড়ানো, বোমা-গ্রেনেড হামলা, সরকারি সম্পত্তি ভাংচুর, পুলিশের ওপর হামলা ইত্যাদি অভিযোগে পুলিশ এসব মামলা দায়ের করেছে।
বিশেষ করে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সংঘটিত আন্দোলনে মামলার সংখ্যা অভাবিতভাবে বেড়ে গেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক বা না থাকুক, বিএনপি’র পরিচয় থাকলেই মামলায় আসামি হতে কোনো বাধা থাকে না। আর এসব মামলার ক্ষেত্রে স্থানীয় শীর্ষ পর্যায়ের নেতা এবং যারা সিটি কর্পোরেশনে, পৌরসভা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি তাদেরকেই আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বেশি। এ ক্ষেত্রে একটি কুটবুদ্ধি কাজ করেছে সরকারের মাথায়। এসব স্থানীয় নেতাদেরকে মামলার জালে জড়িয়ে বিদ্যমান আইনে যেমন স্থানীয় সরকার থেকে দূরে সরিয়ে রাখা সম্ভব, তেমনি মামলার আসামি হয়ে জেলে থানায় অন্তরীণ থাকার কারণে বা আত্মগোপনে থাকায় তারা প্রকাশ্যে জনসমক্ষে আসতে পারেন না, নেতাকর্মীদের নেতৃত্ব দিতে পারেন না। ফলে শাসক মহলের জন্য এটি ‘ফাঁকা মাঠ’ সৃষ্টি করার দ্বার অবারিত করে দেয়। বর্তমান সরকার সে লক্ষ্যেই স্থানীয় সরকার আইনের ওই বিধানটি যথেচ্ছ ব্যবহার করছে, এমন মন্তব্য করা বোধ করি খুব একটা অসঙ্গত হবে না।
আইনের প্রয়োগ বা অপপ্রয়োগ ঘটিয়ে মেয়র বা চেয়ারম্যানদের সাময়িক বরখাস্ত কিংবা অপসারণ করলে সরকার লাভবান হয় এটা ঠিক। কিন্তু এতে জনগণের কোনো লাভ হয় না। বরং তারা নানা রকম ভোগান্তির শিকার হন এতে। প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হয়, সিদ্ধান্ত দেয়ার লোক থাকে না, সংশ্লিষ্ট দফতরে বিরাজ করে চরম অরাজকতা। যারা ভোট দিয়ে মেয়র চেয়ারম্যান বা মেম্বার বানান তারাও বিস্ময়ে হতবাক হন তাদের রায়কে সরকারের কলমের এক খোঁচায় অকার্যকর হতে দেখে। সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত কতটা সমীচীন তা নিয়ে প্রায় সবমহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জনগণের প্রদত্ত রায়কে সরকার এভাবে অকার্যকর কিংবা বাতিল করে দিতে পারে কিনা সে প্রশ্নও উঠেছে। আবার অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন যে, সরকার যদি জনগণের ভোটে নির্বাচিতদের এভাবে বরখাস্ত করার ক্ষমতা রাখে এবং তা প্রয়োগ করে, তাহলে নির্বাচন নির্বাচন খেলার দরকারটা কি? নির্বাহী আদেশে সব প্রতিষ্ঠানে একজন করে প্রশাসক বসিয়ে দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়! এতে সরকার বা শাসকদল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে একদিকে নিজেদের পছন্দের লোক বসাতে পারবে, অন্যদিকে নির্বাচন নামের ঝামেলারও দরকার হবে না। বরং ওইসব নির্বাচন ‘সুসম্পন্ন’ করতে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের যে কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয় সেটাও বেঁচে যাবে। তবে যেহেতু সংবিধান বলে দিয়েছে সবপর্যায়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা প্রশাসন পরিচালনা করবেন, তাই নির্বাচন অনুষ্ঠান বাধ্যতামূলক। কিন্তু সে বাধ্যতামূলক নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হন, তাদেরকে অপসারণের চাবিকাঠি সরকারের হাতে থাকা গণতন্ত্রের সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ তা পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় এসেছে বলেই অভিজ্ঞজনরা বলছেন।
তিন মেয়রের বরখাস্তের পর পত্র-পত্রিকায় তা নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছে। সরকারের এখতিয়ার, উদ্দেশ্য, আইনের প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ তাদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তারা পরিষ্কার করেই বলেছেন যে, রাজশাহী ও সিলেটের মেয়রদ্বয়ের বরখাস্তের ঘটনা-স্পষ্টতই আইনের অপপ্রয়োগ। তারা এও বলেছেনÑ ফৌজদারি মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হলে জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করার বিধান থাকলেও এ ক্ষেত্রে বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হতে পারে’ (সমকাল ৫ এপ্রিল ২০১৭)। এ বিষয়ে একই প্রতিবেদনে কয়েকজন আইনজীবী ও বিশেষজ্ঞের অভিমত তুলে ধরেছে পত্রিকাটি। বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, ‘জনপ্রতিনিধিরা দায়িত্ব নেয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সাময়িক বরখাস্তের পুনরাদেশে স্পষ্টতই ক্ষমতার অপপ্রয়োগ হয়েছে। বিশেষত ২০০৯ সালের মামলায় এখন জড়িত দেখানোর কারণে জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য বা সত্য ঘটনা বলে মনে হবে না। বিরোধী দলের মেয়র বলেই সরকার তাদের আইনের অজুহাতে পদ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাইছে বলে জনমনে ধারণা জন্মাবে। এটা সরকার বা আইনের শাসনের জন্য শুভ হবে না।’ স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেছেন ‘নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বহিস্কার দুঃখজনক। আসলে সরকার কী ধরনের গণতন্ত্র চায় তা বোঝা যাচ্ছে না।’ সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের এভাবে বরখাস্ত করা রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি, গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার জন্য অমঙ্গলকর। এসব কর্মকাÐ স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করে না; বরং আরো দুর্বল করে।’
একই প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের সড়ক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটা (মেয়র বরখাস্ত) প্রধানমন্ত্রীর অজ্ঞাতসারে ঘটেছে।’ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কথা মতো যদি ধরে নেয়া হয় ঘটনাটি প্রধানমন্ত্রীর অজ্ঞাতসারে ঘটেছে, তাতে আরেকটি প্রশ্ন সামনে এসে যায়। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর অজ্ঞাতসারে কীভাবে নেয়া হলো? যেখানে বিষয়টি একই সঙ্গে রাজনৈতিক এবং আদালতের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রধানমন্ত্রীকে যদি জানানো হতো, তাহলে কি ওই মেয়ররা বরখাস্তের যুপকাষ্ঠ থেকে রেহাই পেয়ে যেতেন? মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যা-ই বলুন, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা ছাড়া এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এটা বিশ্বাস করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হচ্ছে না।
উপরোল্লিখিত বিশিষ্টজনদের অভিমত থেকে এটা স্পষ্ট যে, মেয়রদের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ বিদ্যমান আইন অনুসারে করা হলেও তা যৌক্তিক হয়নি এবং জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। মনে করায় যথেষ্ট কারণ রয়েছে, দেশের স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পদে থাকা বিরোধী মতাবলম্বীদের সরিয়ে দলীয় কিংবা প্রশাসনের বশংবদদের বসিয়ে একক শাসন প্রতিষ্ঠার একটি অশুভ চিন্তা সরকারের মগজে খেলা করছে। নইলে আদালতের নির্দেশে চেয়ারে বসার তিন ঘÐার মধ্যে পুনরায় বরখাস্তের ঘটনা ঘটত না। যদিও কয়েকদিনের ব্যবধানে আদালতের নির্দেশে বরখাস্তকৃতরা পুনরায় চেয়ার ফিরে পেয়েছেন, তবে তাতে কতদিন উপবেশন করে থাকতে পারবেন তা নিয়ে অনেকের সন্দেহ আছে। তাদেরকে আবার বরখাস্ত করার মতো ‘যুক্তিযুক্ত’ কারণ সৃষ্টি করা সরকারের জন্য তো ‘বাঁ হাতের খেল’। বরখাস্ত যখন প্রধান লক্ষ্য তখন অজুহাত তৈরি করা তো কোনো ব্যাপারই না। যে কোনো একটি পেন্ডিং মামলার আসামি সাজিয়ে চার্জশিট দিয়ে দিলেই কেল্লা ফতে! ঘটনা সেই মেষ শাবক আর নেকড়ের গল্পের মতো। নেকড়ের টার্গেট মেষ শাবককে হত্যা করা, ওর মাংস খাওয়া। তাই সে মেষ শাবক পানি ঘোলা না করলেও ওর বাবা পানি ঘোলা করেছিলÑ এ অপরাধে মেষ শাবককে জীবন দিতেই হলো।
আর সে জন্যই সচেতন ব্যক্তিগণ অভিমত ব্যক্ত করছেন, জনপ্রতিনিধিদের বরখাস্ত করার বিদ্যমান আইনটির পরিবর্তন আবশ্যক। মামলা হলে বা চার্জশিট দাখিল হলেই কেউ অপরাধী সাব্যস্ত হয়ে যায় না। আর যতক্ষণ না একজন ব্যক্তি আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন, ততক্ষণ তার মৌলিক বা গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ বেআইনি, অনৈতিক। রাজনৈতিক মামলা বা রাজনীতি থেকে উদ্ভ‚ত ঘটনা সংক্রান্ত মামলার জন্য জনগণের ভোটের রায়কে কলমের খোঁচায় নাকচ করে দেয়ার এখতিয়ার সরকারের থাকা উচিত নয়। অবশ্য হত্যা-ধর্ষণ, দেশবিরোধী কর্মকাÐ বা দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত যারা, তাদের বিষয়ে সরকার যদি আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়, তাহলে কেউ-ই আপত্তি তুলবেন না। কিন্তু মামলা ও চার্জশিটের ঠুনকো অজুহাতকে বরখাস্তের খড়গ ব্যবহার করা চরম অগণতান্ত্রিক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ এটা বলা বোধ করি অতিশয়োক্তি নয়।
অনেকে আবার এটাও বলছেন যে, আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হয়ে ‘জরিমানা’ দিয়েও যেখানে মন্ত্রী পদে বহাল তবিয়তে থাকা যায়, সেখানে নিছক চার্জশিট কি একজন জনপ্রতিনিধির পদচ্যুতির যুক্তি হিসেবে গ্রহণযোগ্য? জনমনে উত্থিত এ প্রশ্নের জবাব আদৌ পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না।
লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
mohon91@yahoo.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন