মুহাম্মদ রেজাউর রহমান : দেশের রাজনীতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত। সভা-সমাবেশ, মিছিল আর রাজধানী ঢাকা বা অন্যান্য বড় শহরগুলোতে যানজটের সৃষ্টি করে না। রাজনৈতিক পরিস্থিতি আর মোটেই উত্তপ্ত নয়। সড়কে গাড়ি ভাংচুর-অবরোধ অবস্থান এসব আর নেই বললেই চলে। সভা-মিছিল এখন সরকারি দল বা অঙ্গ সংগঠনের একচেটিয়া অধিকার। বিরোধী দল বা ভিন্ন মতাবলম্বী সংগঠনগুলো জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ অন্যান্য ছোট ছোট মিলনায়তনে পঞ্চাশ থেকে একশ বক্তা-দর্শক শ্রোতা নিয়ে গোল টেবিল, আলোচনা সভা, সংবাদ সম্মেলন ইত্যাদির মধ্যে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখছে। যেসব বিষয় একেবারেই অরাজনৈতিক যেমন রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিÑ এসব নিয়েও আন্দোলন বা প্রতিবাদী কর্মসূচি সফলতার মুখ দেখতে পারছে না। সারাদেশে বিরোধী দল বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীর প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নাশকতা সৃষ্টি করার অভিযোগে মামলা দেয়া হয়েছে একাধিক।
পত্রিকান্তরে জানা যায় যে, নাশকতার অভিযোগে সারাদেশে দায়ের করা ২৬ হাজার মামলায় আসামি ৫ লাখ। বিএনপি মহাসচিব ৮৬টি মামলার আসামিÑ ৩৯টি মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। আলাদা আলাদা অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া কয়েকটি মামলায় বিপর্যস্ত। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফরে চুক্তির সংখ্যাধিক্য ও বহু-প্রতীক্ষিত তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত না হওয়ার বিরুদ্ধে কোনো সরব আন্দোলন সংগঠিত করার ক্ষেত্রে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ বিরোধী ও ভিন্ন মতাবলম্বী দলসমূহ। সিলেট, খুলনা, রাজশাহী ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনগুলোর নির্বাচিত মেয়রদের বরখাস্ত করা, কারাগারে প্রেরণ, উচ্চ আদালতে বরখাস্ত সংক্রান্ত সরকারি আদেশ বাতিল হওয়ার পর পুনরায় তাদের বরখাস্ত করা, পুনরায় উচ্চ আদালত কর্তৃক সরকারি বরখাস্ত করার আদেশ বাতিল হওয়ার পরও শহরগুলোর নাগরিকগণ কোনো বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে সরকারের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদ প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
বিরোধী দলের ওপর নিপীড়ন ও নির্যাতনের অভিযোগের প্রত্যুত্তরে সরকারি দলের নেয়া পদক্ষেপে দেখা যায় যে, সরকার ভিন্ন মতাবলম্বী দু’একটি গোষ্ঠী বিশেষ করে ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দের সাথে একটি পরোক্ষ সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করছেন। এ সম্পর্কে বিকল্পধারার সভাপতি ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানে যে মন্তব্য করেছেন তা হলো : “প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হেফাজতের দাবিগুলো মেনে নিলেন, দাওরায়ে হাদিসকে এমএ’র সমমান দিলেন, সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণের পক্ষে বললেনÑ এগুলো নির্বাচনী সমর্থন আদায়ের প্রচেষ্টা কি নাÑ রাজনৈতিক মহল এটা ভাবতে শুরু করেছে।” দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে কাজী সিরাজও তার কলামে লিখেছেন, “লীগ নেতা-মন্ত্রীরা যত সাফাই গান না কেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে গণভবনে হেফাজত নেতা মাওলানা শফীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎটি মামুলি কোনো সাক্ষাৎকার ছিল বলে মনে করেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা দৃঢ়ভাবে মনে করেন এর পেছনে রয়েছে আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোটের সমীকরণ, ভোটের খেলা।” সাবেক প্রেসিডেন্ট ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর অনুমান হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনমুখী আচরণের অর্থ হচ্ছে নির্বাচন আসন্ন অর্থাৎ তিনি মনে করেন প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলকে প্রস্তুতির সময় না দিয়ে আগাম সাধারণ নির্বাচন করার পক্ষে। এ প্রসঙ্গে তার অনুমান সঠিক হবে বলে মনে করার কোন কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী নিজে মেয়াদপূর্ব আগাম সাধারণ নির্বাচন দিতে চাইলেও তার চতুর্দিকে অবস্থানরত সুবিধাভোগীরা তার বিরোধিতা করবেন এবং তাকে নিরস্ত করবেনÑ এটা সহজেই বলা যায়।
নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেত্রকোনায় দলীয় এক সভায় পুনরায় বক্তব্য রেখেছেন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা আদৌ আছে কি নাÑ তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ দলীয় সরকার সংখ্যা গরিষ্ঠতার জোরে সংবিধান থেকে নির্বাচিত তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে দলীয় সরকারের অধীনেই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচন করেছে। বর্তমান দশম জাতীয় সংসদেও আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই বলে শেখ হাসিনা ও তার দল আরো একবার পুনরায় তত্ত¡াবধায়ক বা নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করবে এটা আশা করা একেবারেই অবাস্তব। এ ছাড়া বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজের অনেকেই প্রধানমন্ত্রীকে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সাথে সংলাপে বসার অনুরোধ জানিয়ে আসছেন। যারা দুই নেত্রীর শীর্ষ বৈঠক ও সংলাপের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন তাদেরও মোহভঙ্গ ঘটবে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে।
গত কয়েক বছরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে কোনোভাবেই দুই নেত্রীর সংলাপের ব্যাপারে আশাবাদী হওয়ার কোনো কারণ নেই। খোদ প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য বিভিন্ন সময়ে খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানপন্থী, মুক্তিযুদ্ধে রাজাকার নেতাদের আশ্রয়দানকারী এবং সর্বশেষে অতিসম্প্রতি উগ্রপন্থী ধর্মান্ধ জঙ্গি-খুনিদের সমর্থক ও প্রশ্রয়দাত্রী হিসেবে অভিহিত করে আসছেন। তারা অসংখ্যবার খালেদা জিয়াকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে কয়েক মাসব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালনের সময়ে পেট্রোল বোমার আঘাতে শতাধিক ব্যক্তি নিহত হওয়ার কারণে খুনি হিসেবে অভিযুক্ত করে তার সাথে কোনো আলোচনা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা বা যুক্তি নেই বলে আসছেন। প্রধানমন্ত্রী, কয়েকজন মন্ত্রী ও দলীয় নেতৃবৃন্দ এ কথা অবশ্যই স্বীকার করবেন যে বিএনপি নেত্রীর সাথে সংলাপে বসার সিদ্ধান্ত নেয়াই হচ্ছে তাদের ভুল বা পরাজয়ে স্বীকার করে নেয়া।
ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের নেতৃত্বই দেশের সামগ্রিক অবস্থা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সর্বোপরি নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে খালেদা জিয়া তথা বিএনপির সাথে কোনো সংলাপে বসার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করবেন না। বরং এটা খুব সহজেই অনুমান করা যায় যে, বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আরো মামলা, বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নির্বিচার পুলিশী ও দলীয় সশস্ত্র কর্মীদের আরো হামলা, বিএনপি থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের আরো মামলায় জড়িত করে আরো বরখাস্ত করার মাধ্যমে দল হিসেবে বিএনপিকে আরো দুর্বল করার নীলনকশা বাস্তবে ঘটানোর কাজ অব্যাহত থাকবে।
গণতন্ত্রের স্বার্থে দেশে শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজনীয়তার কাক্সিক্ষত সত্যটি আমাদের দেশে কখনো কোনো রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় থাকার সময়ে উপলব্ধি করেনি। সংসদে বর্তমান গৃহপালিত বিরোধী দল ছাড়া কোনো বিরোধী দলই তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করেনি।
এখন পর্যন্ত বৃহত্তম বিরোধী দল হিসেবে বিবেচিত বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের ভ্রমাত্মক রাজনীতির সুযোগ নিয়েই আওয়ামী লীগ সরকার গত আট বছর যাবৎ দেশ শাসনে কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থা প্রবর্তন করে চলেছে। এ ধরনের ব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো নেতা কখনো ভুল করতে পারেন না এটা বিশ্বাস করা। এ ছাড়া রয়েছে নেতার প্রশস্তি বা বন্দনা করা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুটি বৈশিষ্ট্যই দৃষ্টিকটুভাবে দৃশ্যমান হয়ে পড়েছে। এখন মন্ত্রীরা পর্যন্ত নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের সাফল্যের কথা বলার সময়ে এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঠিক দিকনির্দেশনার কথা বলে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন।
একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন হবে আরো প্রায় পৌনে দুই বছ পরে। এর জন্য এখন থেকেই নেতাকর্মী ও সংসদ সদ্যসদের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এক মাস আগে গত ২০ মার্চ সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে জানা যায় যে, সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বৃদ্ধি করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নিজেও বিভিন্ন জেলা সফর করে সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের স্থানীয় কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্ততা করছেন আগামী নির্বাচনেও সংখ্যাগরিষ্ঠাতা লাভ করে পরপর তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে অন্তত পনের বছর একটানা ক্ষমতায় থাকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রীÑ এতে কোনো অস্পষ্টতা নেই।
বিরোধী দলসমূহের দুর্বল অবস্থান, যে কোনো ধরনের প্রতিবাদী কর্মসূচি সংগঠনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার অজুহাতে পুলিশ কর্তৃক তা দমন, নিপীড়ন ও নির্যাতন, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অগণিত মামলা দায়ের, যে কোনো সময় যে কোনো কর্মীকে সাদা পোশাকে অভিযান চালিয়ে তুলে আনা ও পরবর্তীতে র্যাব, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থা কর্তৃক আটক করার কথা অস্বীকার, পরিকল্পিতভাবে গুম করার অভিযান পরিচালিত হওয়ার অভিযোগ রাজধানী ঢাকায় ও অন্যান্য শহরে বিএনপিকে কোনো সভা-সমাবেশ করার অনুমতি না দেয়া এবং সরকারি দলের প্রতিটি সভা বা অন্য ধরনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী, তার মন্ত্রিসভার সদস্য ও দলীয় নেতারা বিএনপি নেত্রী ও তার দলকে যেভাবে পাকিস্তানপন্থী জঙ্গিদের মদদদাতা, দুর্নীতিবাজ, দুঃস্থ ও এতিমদের টাকা আত্মসাৎকারী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সর্বোভৌমত্বে অবিশ্বাসী ইত্যাদি বিশেষণে ভূষিত করেনÑ তাতে এটাই প্রমাণিত হয় যে, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের মাথাব্যথার একমাত্র কারণ এখনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়া বিএনপিই। দেশের সর্বত্র অনুষ্ঠিত প্রতিটি সভা-সমাবেশ, এমনকি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য এবং দলীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদানকালে বিএনপি ও এর নেত্রীকে কটাক্ষ করে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে, তাদের দেশপ্রেম সম্বন্ধে সন্দেহ প্রকাশ করে, জঙ্গি গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা দানের অভিযোগ করে এ কথাই প্রমাণ করে চলেছেন যে, তাদের পথের অর্থাৎ তাদের ক্ষমতায় থাকা ও ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে বিএনপি।
এসবই হচ্ছে অন্তঃসারশূন্য নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উৎসারিত। আর এই নেতিবাচক মনোভাবই একমাত্র কারণÑ যার জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে কোনো দলই পরপর দুবার ক্ষমতায় আসতে পারেনি বাংলাদেশে। বিএনপি-আওয়ামী লীগের ক্ষমতার হাতবদল প্রতিবারেই ঘটেছে সাধারণ ভোটারদের নেতিবাচক মনোভাবের কারণে। জনগণ যতবার ক্ষমতার বাইরে থাকা দলকে ক্ষমতায় বসিয়েছেÑ এটা ঘটেছে ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৯ সালের নির্বাচনেÑ কোনোবারেই তৎকালীন বিরোধী দল পর্যায়ক্রমে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে ভোট দেয়নি জনগণ। পাঁচ বছর করে দেশ শাসন করে কোনো দলই কোনোবারেই বাংলাদেশের জনগণের মন জয় করতে পারেনি। তাই ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৯ সালের নির্বাচনে জনগণ সদ্য ক্ষমতাসীন দলকে দ্বিতীয়বার ভোট দেয়নি ক্ষমতায় থাকা দলের কার্যকলাপের ফলে তাদের মনে সৃষ্ট নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীর জন্য। ১৯৯৬ সালে তাই আওয়ামী লীগ জিতেছে ১৯৯১ থেকে বিএনপির পাঁচ বছরের শাসনামলে বিএনপির প্রতি সৃষ্ট হতাশা ও হতাশার ফলে নেতিবাচক মনোভাবের জন্য। ২০০১ সালেও একই কারণে বিএনপি পুনরায় জয়ী হয়েছে আর ২০০৬ সালে তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠন নিয়ে বিএনপির কর্মকাÐের প্রতিক্রিয়ায় ২০০৯ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল আওয়ামী লীগ।
২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে জনগণকে ভোট দিতে হয়নি বা জনগণ ভোট দেয়নি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আওয়ামী লীগের একটানা দশ বছরের শাসনের অবসানে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা তাতে কি বাংলাদেশের জনগণ ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন?
য় লেখক : গবেষক ও প্রাবন্ধিক
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন