রাবি সংবাদদাতা : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলে কক্ষ দখলে প্রতিপক্ষ গ্রুপের দলীয় দুই কর্মীর কক্ষে তালা দিয়েছে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। গত শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদারবখ্শ হলে দু’টি কক্ষ তালাবদ্ধ রাখা হয়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের অনুসারী ও সিট দখলে কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়া ছাত্রলীগ কর্মীদের দাবি- ‘ওই দুই জনের মাস্টার্স শেষ হওয়ার পরও হল না ছাড়ায় প্রাধ্যক্ষের অনুমতি নিয়ে কক্ষে তালা দেয়া হয়েছে।’ তবে হল প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন- ‘হলে কে থাকবে, আর কে থাকবে না; তা দেখভালের দায়িত্ব হল প্রশাসনের। ছাত্রলীগের এ বিষয়ে কোনো এখতিয়ার নেই। তারা আমার কাছ থেকে কোনো অনুমতিও নেয়নি।’ ভুক্তভোগী দুই ছাত্রলীগ কর্মী আল ইমরান ও আকতার হোসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য সাকিবুল হাসান বাকির অনুসারী। আর তালা ঝুলানোয় নেতৃত্ব দেয়া আসাদুল্লাহিল গালিব ও কুমার অর্ক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী। প্রত্যক্ষদর্শী আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানায়, মাদারবখ্শ হলের এক শয্যাবিশিষ্ট ১৩৪ ও ১৩৬ নম্বর কক্ষে থাকতেন আল ইমরান ও আকতার হোসেন। কিছুদিন আগে তাদের মাস্টার্স শেষ হওয়ায় তাদেরকে হল ছেড়ে দিতে বলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী গালিব ও অর্ক। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হল না ছাড়ায় শুক্রবার দুপুরে দু’টি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয় গালিব ও অর্ক। সন্ধ্যায় ১৩৬ নম্বর কক্ষ থেকে আকতারকে বের করে পছন্দের কর্মীকে উঠিয়ে দেয় তারা। বিষয়টি জানাজানি হলে হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে রাত ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে যায় রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু। মীমাংসা বৈঠকে ছাত্রলীগ কর্মী ইমরানকে গতকাল শনিবারের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদেরকে হল ছাড়ার সময় অবগত করার জন্য বললেও তারা কাউকে না জানিয়ে অন্য ছেলেকে উঠায়। ছাত্রলীগ কর্মীরা (জুনিয়র) বারবার দেখা করার জন্য বললেও তারা (মাস্টার্স শেষ করা সিনিয়র কর্মী) দেখাও করেনি। এজন্য কক্ষে তালা দেয়া হয়েছিল। বিষয়টি বসে মীমাংসা করা হয়েছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন