রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহান মে দিবস

মানুষের মুক্তি ছাড়া শ্রমিকের মুক্তি অবাস্তব

| প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আবদুল আউয়াল ঠাকুর : রেনেসাঁ-উত্তর মানুষের মুক্তির সনদ হিসেবে বিবেচনা করা হয় গণতন্ত্রকে। গণতন্ত্রে নিরঙ্কুশ ব্যক্তি স্বাধীনতার বিষফলই হচ্ছে শ্রম দাস। নিয়ন্ত্রণহীন ব্যক্তি স্বাধীনতা চ‚ড়ান্তকরণেই সেদিন যে শিল্প বিপ্লব হয়েছিল তার ফলেই মানুষের মুক্তির পরিবর্তে একশ্রেণীর মানুষের গড়ে উঠেছিল অবাধ পুঁজি আর একশ্রেণী পরিণত হয়েছিল শ্রম দাসে। সে বিবেচনায় দেখলে বলতে হবে মানুষের মুক্তির যে ¯েøাগান রেনেসাঁয় দেয়া হয়েছিল ঠিক তেমনটা ঘটেনি বা ঘটতে পারেনি। শ্রম দাস থেকে বের করে শ্রমকে মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করা ও শ্রমিক তথা শ্রমজীবী মানুষের মর্যাদা অধিকার প্রতিষ্ঠার বর্তমান যুগের সূচনা দিবসকেই বলা হয় মে ডে। বাস্তবতা হচ্ছে ইসলামে শ্রমের মর্যাদা অনেক আগে থেকেই স্বীকৃত। অনেক নবী-রাসূল শ্রম দিয়ে নিজের পরিবারের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করেছেন। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তার মজুরি পরিশোধ করতে বলেছেন। শ্রমিক শ্রেণীর ইবাদত কবুলেরও বিশেষ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। মুসলমানদের জীবনে যারা তাওয়াক্কাল তুআলাল্লা করতে বলেন তার অর্থ হচ্ছে নামাজ শেষ করে রিজিকের সন্ধানে বেরিয়ে পড়া। পবিত্র কোরআনুল কারিমের সুরা জুমায় পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে তোমরা নামাজ আদায় করে ব্যবসা-বাণিজ্যে বেরিয়ে পরো। সুতরাং শ্রমের মর্যাদা নিয়ে কোন প্রশ্ন অতীতেও ছিল না। কথিক মানবাধিকার যুগের সূচনার অগে শ্রমক নির্যাতনের কোন বড় ধরনের বিবরণ পাওয়া যায় না। কারণ সে সময়ে মানুষকে শ্রমভিত্তিক বিভাজনে দেখা হতো না। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা ঠিক মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে সমাজে এমন এক শ্রেণীর জন্ম হয়েছে যারা মানুষকে বিচার করতে শুরু করেছেন ধনসম্পদ ও দুনিয়াবি আচরণের মাধ্যমে। কার্যত সে সূত্র ধরেই সমাজে সৃষ্টবৈষম্য নিরসনে মানুষকেই লড়াই করতে হয়েছে মানুষের গড়া বিভাজনের বিরুদ্ধে। এই বিভাজনে প্রকৃতি নানা জায়গায় নানারূপ। তবে শ্রমের বিভাজনের বিরুদ্ধে যে লড়াই তার জন্ম হয়েছিল ১৮৮৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হে মার্কেটে। মূলত নির্দিষ্ট শ্রম ঘণ্টার দাবিতে এ আন্দোলন হলেও এর মূলে ছিল শ্রমজীবী তথা মানুষের মুক্তির দাবি - প্রকৃতভাবে প্রমাণ করেছিল রেনেসাঁয় মানুষের মুক্তি নিশ্চিত করতে পারেনি। গণতন্ত্রের পেটেই তাই জন্ম নিয়েছিল নতুন মতবাদ।
আজ ১ মে। ঐতিহাসিক মহান মে দিবস। আজকের দিনে এটাই সত্য যে, দল-মত নির্বিশেষে ঐতিহাসিক মহান মে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে নানা কর্মসূচি পালিত হবে। সেই সাথে স্মরণ করা হবে নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টাসহ ন্যায়সঙ্গত দাবি ও অধিকার আদায়ের উদ্দেশ্যে ১৮৮৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর হে মার্কেটের ঐতিহাসিক সমাবেশ ও তাৎপর্যবাহী ঘটনা। বাস্তবতার নিরিখে নানা ঘটনা স্থান করে নিলেও মূলত মে দিবসের মূল করণীয়তে কোন পরিবর্তন আসেনি। যদিও এ কথা বলে রাখা দরকার যে বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এক সময় বিশ্বে মহা ধুমধামে মে দিবস পালিত হতো আজকের বিশ্বে আনুষ্ঠানিকতা, জাঁকজমক, ঠাটবাট ঠিক থাকলেও দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন এসেছে। সেদিন পুঁজিবাদ তথা সা¤্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে মেহনতি ও সাধারণ মানুষের রোষ ও ফুঁসে ওঠা সমভাবে কার্যকর রয়েছে। বিশ্বব্যাপী সামাজ্র্যবাদীচক্র এখন অর্থনৈতিক শোষণের জন্য অথবা প্রভাব বলয় বিস্তারের জন্য কেবলমাত্র শ্রমিকদের ওপর শোষণ করছে না বরং অর্থনৈতিকভাবে অনুন্নত অথচ সম্পদশালী এমন দেশ এবং মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর ওপর বর্বরোচিত হামলা চালাচ্ছে। সে কারণেই মে দিবসের মূলগত চেতনায় সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তের বিরুদ্ধে বিশ্ব মানবতার শক্তি সংহত হচ্ছে।
শিল্প বিপ্লব-উত্তর পাশ্চাত্য দুনিয়ায় যে ভোগবাদী শোষক চক্রের অভ্যুদয় হয়েছিল তারা মূলত কাÐজ্ঞানহীন অবস্থায় উপনীত হয়েছিল। তাত্তি¡কভাবে যাই বলা হোক না কেন, বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠিত উপনিবেশের কারণে পুঁজিবাদী দেশগুলো অবৈধভাবে হঠাৎকরেই ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক শোষণ তীব্রভাবে টিকে থাকায় মূলত পুুঁজিবাদ তখন দুর্দমনীয় হয়ে উঠেছিল। ১৮৮৬ সালের সেদিন ছিল শনিবার। এর আগেও আমেরিকার শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছিলেন। সমগ্র আমেরিকার যে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল তার প্রধান কেন্দ্রস্থল ছিল শিকাগো। ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে হাজার হাজার মানুষের সংহতি শোষক শ্রেণী সুনজরে দেখেনি। ধারাবাহিক সমাবেশে ৩ মে শ্রমিকদের ওপর গুলিবর্ষণ করেছিল। এতে ৬ জন নিহত এবং অনেকেই আহত হয়েছিলেন। ৪ মে গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে শিকাগোর হে মার্কেট স্কয়ারে লাখো মানুষের সমাবেশ হয়েছিল। বক্তৃতা শেষে সমাবেশের অদূরে রাতের আকাশ প্রকম্পিত করে বোমা বিস্ফোরিত হলে নিহত হয়েছিলেন জনৈক পুলিশ কর্মকর্তা। পুলিশের ওপর আক্রমণের অজুহাতে পুলিশ বাহিনী শ্রমিকদের ওপর শুরু করে বেপরোয়া গুলিবর্ষণ। শ্রমিকরা রুখে দাঁড়ালে সংঘর্ষে ৪ জন শ্রমিক এবং ৭ জন পুলিশ মারা যায়। শ্রমিকদের রক্তে ভেজা লাল শার্টকে সেদিন সেভাবে তারা পতাকা বানিয়েছিল সেটাই পরবর্তীকালে সর্বহারা শ্রেণীর প্রতীক লাল পতাকার সাথে একাকার হয়েছিল।
এই বাস্তবতাকে ঘিরে যে রাজনীতি অর্থাৎ শ্রমিক শ্রেণী বা সর্বহারা শ্রেণীর একনায়কত্বের যে ইতিহাস গড়ে উঠেছিল বোধ করি আজ আর নতুন করে তা স্মরণ করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন নেই। শ্রমিক শ্রেণীর রাজনীতিতে যে ধরনের পরিবর্তনই ঘটুক না কেন মহান মে দিবসের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী শ্রম ব্যবস্থায় যে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে, তা এখন শিল্প ব্যবস্থাপনায় নয়া দিগন্তের উন্মোচন করেছে। এ ঘটনার মধ্যদিয়েই শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করেছিল। এই সম্পর্কের যৌক্তিক দিক নিয়ে এখনও তেমন কোন প্রশ্ন নেই। বর্তমান সময়ে হোয়াইট কালার শ্রমিক শ্রেণীর জন্ম হয়েছে এবং তারা জেঁকে বসেছে এবং নতুন আঙ্গীকে তাদের বিকাশ হয়েছে এবং হচ্ছে। এখন শুধু সাধারণ শ্রমিকই নয় বরং অফিসার্স নামে যারা পরিচিত, তাদের মধ্যেও প্রকারান্তরে ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে উঠেছে। আত্মোন্নয়নের সিঁড়ি হিসেবে এসব ইউনিয়ন ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে যেমনি বর্তমানে শ্রমিকরাজের ধারণা নেই তেমনি বুর্জোয়া প্রেশার গ্রæপ হিসেবেও বর্তমানে এক ধরনের শ্রমিক শ্রেণীর অস্তিত্ব রয়েছে। পোল্যান্ডের লেস ওলেসার আন্দোলন শ্রমিকরাজ বিরোধী ছিল। বাংলাদেশে এখন যে ধরনের ট্রেড ইউনিয়ন চালু রয়েছে, এর মধ্যে কার্যত শ্রমিকরাজ ধারণার কোন প্রচলন নেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তীকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত পর্যালোচনা করলে এটা বলা যায় যে, কোন না কোনভাবে শ্রমিক সংগঠনগুলো সরকারি যন্ত্রের উইপেন হিসেবেই ব্যবহৃত হয়েছে বিধায় দেশের প্রকৃত শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ সাধিত হতে পারেনি। তবে বেতন বেড়েছে। ঠাট-বাট একেবারে কম হয়নি। অন্যদিকে শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের গাড়ি-বাড়ি এবং বিদেশে বড় বড় ব্যাংক ব্যালেন্সের খবরও প্রায়ই প্রকাশিত হচ্ছে।
মে দিবসের সফলতার জন্যই হোক আর প্রতিবিপ্লবী চেতনার জন্যই হোক বিশ্বজুড়ে শ্রমিকের যে সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে, তাতে মূলত পেশাদারিত্বের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের যারা কাজ করেন, তারাও এক ধরনের শ্রমিক। মে দিবসের সুফলে তাদেরও অধিক হারে বেতন-ভাতা নির্ধারিত হয়েছে। সা¤্রাজ্যবাদ নতুন থাবা বিস্তারে দেশে দেশে হামলা চালাচ্ছে। এক সময় যেমনি মনগড়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে শ্রকিদের ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছিল, এখনও মনগড়া তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে আক্রমণ পরিচালনা করা হচ্ছে। এভাবেই ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া। নজরদারিতে রাখা হয়েছে ইরান ও চীন। এর আগে দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ভিয়েতনামের উপর। এছাড়াও পৃথিবীর দেশে দেশে তাদের নানা অভিযান তো রয়েছে। শ্রমিক শোষণের যে তত্ত¡কে তারা গ্রহণ করেছিল, এখনও তা-ই প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ দখলদারিত্বে ব্যবহার করা হচ্ছে। দুনিয়াব্যাপী তেল-গ্যাস খনিজের লোভে সা¤্রাজ্যবাদী শক্তি আগ্রাসন পরিচালনা করছে। যেখানে যেমন খুশি তত্ত¡ তৈরি করছে।
শিল্পীয় শ্রমিক ছাড়াও গৃহ কাজে যারা নিয়োজিত, তাদের সম্পর্কেও আল্লাহর নবী (সা:) নির্দেশ দিয়েছেন, তোমরা যা খাবে তাদেরকেও তা খাওয়াবে। ইসলামী ব্যবস্থায় উৎপাদিত ফসলের ওপর কর আরোপের ফলে সেখানেও শ্রমের মর্যাদাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। ইসলাম মূলত মানুষে মানুষে ভেদ নীতির বিরোধী। এখানে মানুষকে বিবেচনা করা হয় আল্লাহর আনুগত্যকারী হিসেবে কে কতটা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে তার ভিত্তিতে। দুনিয়ায় জীবন ধারনের পেশাকে কেন্দ্র করে কোন বৈষম্য বা শ্রেণী বিনাস করা ইসলামের মূলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক। বাস্তবতা হচ্ছে, নানা চক্রান্তের কারণে সমাজে ইসলামী ব্যবস্থা কার্যকর না থাকায় ইসলামী বিধান থেকে বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ইসলামী সমাজে সততা, বিশ্বস্ততা, নৈতিকতা এবং আমানতদারীর যে প্রসঙ্গ রয়েছে ইসলাম বিদ্বেষী বিশেষ করে, ইহুদী চক্রের নানা চক্রান্তের ফলে এই প্রসঙ্গগুলো এখন নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে।
অর্থনীতিতে সুদ প্রবর্তনের মাধ্যমে শোষণের যে হাতিয়ার চালু করা হয়েছিল, কার্যত সা¤্রাজ্যবাদীদের শোষণের উইপেন হিসেবে তা ব্যবহৃত হয়েছে। মানুষে মানুষে সম্পর্ক যখন নানাভাবে বিশ্লেষিত হতে শুরু করেছে তখন থেকে শোষণ প্রক্রিয়া চলে আসছে। মানুষকে প্রভু, দাস, শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ, ব্রাহ্মণ, শূদ্র নানা বিভাজনে বিভাজিত করার ফলে মূলত সমাজ সা¤্রাজ্যবাদী ও পুঁজিবাদী শোষক শ্রেণীর নিগঢ়ে বন্দী হয়ে পড়েছিল। ধর্ম, গোত্র, জাত-পাতের নামে মানুষে মানুষে শোষণ চলছিল। কার্যত শ্রমিক শ্রেণীকে ‘মানুষ’ মনে না করার মধ্য দিয়ে চলমান শোষণ প্রক্রিয়ায় তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। সে কারণেই বলা হতো, শোষকের যেমনি কোন জাত নেই তেমনি শোষিতেরও কোন জাত নেই। অর্থাৎ পৃথিবীকে শোষক ও শোষিত এই দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছিল। বাস্তবতা হচ্ছে, পৃথিবী এখন নির্যাতক ও নির্যাতিত এই দুই শাখায় বিভক্ত। একদিকে সা¤্রাজ্যবাদ, ব্রাহ্মণ্যবাদ, বর্ণবাদ আর অন্যদিকে সাম্যবাদী মানুষের ঐক্যতান।
দুনিয়ায় শ্রমের জন্য নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের নিয়ম ও প্রকৃত মালিকের হুকুম যারা যথাযথভাবে পালন করেন তারা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয়। একশ্রেণীর কাছে তাদের ‘মানুষ’ স্বীকৃতি নেই। গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমন প্রক্রিয়া আর ঐতিহাসিক মে দিবসের প্রাথমিক পর্বের ঘটনায় সামাঞ্জস্য রয়েছে। আজ বাংলাদেশে মানুষের স্বীকৃতি পাওয়ার লড়াই গুরুতর হয়ে উঠেছে। মানুষের স্বীকৃতি না থাকলে শ্রমের স্বীকৃতিরও কোন প্রশ্ন ওঠে না। ভাতের সাথে প্রাণে বেঁচে থাকার অধিকারই হোক এবারের মে দিবসের ¯েøাগান। মানুষের মুক্তি কোন ¯েøাগান নয়। এর বাস্তবতা হচ্ছে মানুষকেই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে মনেকরা। দলমত নির্বিশেষে মানুষের আধকার প্রতিষ্ঠাকরা গেলে অর্থাৎ মানুষকে মুনুষ হিসেবে গ্রহণ করার মানসিকতা অর্জন করা গেলেই গড়ে উঠতে পারে চমৎকার কর্মোপযোগী বাস্তবতা এবং একটি বাসযোগ্য পৃথিবী। আজকের দিনে সেটাই হোক সকলের আন্তরিক শপথ।
লেখক: সাংবাদিক, কলামিস্ট

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন