শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

তাপাদহের আড়ালে রোমাঞ্চ ছড়ালো সুপার লিগ

| প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : তারকাশূন্যের সাথে এবার যোগ হয়েছে গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপাদহ। কিন্তু এর কোন কিছুই প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ঔজ্জ্বল্যতা কেড়ে নিতে পারেনি। সুপার লিগের পর্বের শুরুতেই জমে উঠেছে এবারের ঢাকা লিগ। উত্তেজনাকর ম্যাচে গাজী গ্রæপের হার এবং প্রাইম দোলেশ্বর ও আবাহনী জয়ে তিন দলেরই পয়েন্ট এখন সমান ১৮, প্রাইম ব্যাংকের ১৬।
সুপার লিগের প্রথম ম্যাচেই হারের স্বাদ পয়েছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল গাজী গ্রæপ ক্রিকেটার্স। ফতুল্লায় মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের দেয়া ৩২৪ রানের লক্ষ্যে নাদীফ চৌধুরির দল হেরেছে মাত্র ৭ রানে। বিকেএসপির দুটি ম্যাচই দুই দফায় পড়ে বৃষ্টির কবলে। ৪ নম্বর মাঠে বৃষ্টি আইনে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৬০ রানে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। একই আইনে পাশের মাঠে শেখ জামালের বিপক্ষে প্রাইম দোলেশ্বরের জয়টি ছিল ৪০ রানের।
এবারের লিগে দুটি শতক হাঁকানো লিটন দাশের ব্যাট হেসেছে আবারো। এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান এবার খেলেছেন ঝড়ো ৮৫ রানের ইনিংস। পাশাপাশি নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মাদ মিথুনের অর্ধশতকে নির্ধারিত ৪৭ ওভারে ৩২১ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় আবাহনী। বৃষ্টি আইনে প্রাইম ব্যাংকের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে ৩৩৪। কিন্তু আসিফ আহমেদের দল ৪৩.৩ ওভারে গুটিয়ে যায় ২৭৩ রানে।
দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মেহেদী মারুফ ও জাকির হাসানের ব্যাটে ঝড়ো শুরু করে প্রাইম ব্যাংক। ১৩ ওভারে ১ উইকেটে ১১৭ রানও তুলে ফেলে তারা। কিন্তু মিডিল ও লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ৩৮ বলে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন জাকির।
পাশের মাঠে ইমতিয়াজ হোসেনের ঝড়ো শতকে নির্ধারিত ৪৬ ওভারে ২৭৪ রান করে প্রাইম দোলেশ্বর। এক ম্যাচ আগেই সেঞ্চুরি করা ইমতিয়াজ এবার করেন ১০৯ বলে ১২৮ রান। এছাড়া জাতীয় দলের সাবেক ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফিস করেন ৬৭ রান। ৪৬ ওভারে শেখ জামালের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৯২। কিন্তু ৪২.২ ওভারে তারা সবকটি উইকেট হারিয়ে করে ২৫১ রান। তিনটি চল্লিশোর্ধে রানের ইনিংস থাকলেও দোলেশ্বরের বোলারদের দলীয় আক্রমণে কেউই তা টেনে লম্বা করতে পারেননি।
দিনের অপর ম্যাচে লড়াই করে হেরেছে গাজী গ্রæপ। টস হেরে ব্যাট করতে নামা মোহামেডান গাজীকে ছুড়ে দেয় ৩২৫ রানের লক্ষ্য। ৯৫ বলে সর্বোচ্চ ৯২ রান করেন রনি তালুকদার। এছাড়া সামসুর রহমান করেন ৭৪ রান। জবাবে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩১৭ রানে আটকে যায় গাজীর ইনিংস। সর্বোচ্চ ৮৮ রান করেন মুনিম শাহরিয়ার। সোহরাওয়ার্দি শুভ অপরাজিত থাকেন ৫৭ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
প্রাইম দোলেশ্বর-শেখ জামাল
প্রাইম দোলেশ্বর : ৪৬ ওভারে ২৭৪/৭ (ইমতিয়াজ ১২৮, মজিদ ৬, শাহরিয়ার ৬৭, মার্শাল ১৯, চতুরঙ্গা ০, শরিফউল্লাহ ৩৫, ফরহাদ ৯*, হাবিবুর ০, দেলোয়ার ২*; শাহাদাত ১/৩৪, জিয়াউর ০/১৪, গাজি ১/৩৯, ইলিয়াস সানি ১/৫৪, রাজিন ০/৩২, ফজলে রাব্বি ০/২৩, তানবির ২/৫৮, রাসেল ০/২০)।
শেখ জামাল : ৪২.২ ওভারে ২৫১ (লক্ষ্য ৪৬ ওভারে ২৯২) (ফজল রাব্বি ১৯, প্রশান্ত ৪৩, মাহবুবুল ৪৪, গাজি ১, জিয়াউর ৩৭, তানবির ৪৬, ইলিয়াস সানি ১৬, রাসেল ২৮*, রাজিন ৪, মাহমুদুল ০. শাহাদাত ০*; হাবিবুর ২/৫৫, ফরহাদ ২/৫৫, আরাফাত সানি ২/৪১, চতুরঙ্গা ২/৩৮, দেলোয়ার ০/১৬, শরিফউল্লাহ ১/৪৫)।
ফল : প্রাইম দোলেশ্বর ৪০ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : ইমতিয়াজ হোসেন।

আবাহনী- প্রাইম ব্যাংক
আবাহনী : ৪৭ ওভারে ৩২১/৬ (লিটন ৮৫, সাদমান ১৫, সাইফ ৪৬, শান্ত ৬৫, মিঠুন ৬০, শুভাগত ৯, আফিফ ১৭*, মনন ১৫*; অপু ১/৬০, আল আমিন ২/৪৩, আরিফুল ২/৭০, সালমান ০/৩৮, তাইবুর ১/৪৪, নাহিদুল ০/২২, আল আমিন ০/২২)।
প্রাইম ব্যাংক : ৪৩.৩ ওভারে ২৭৩ (লক্ষ্য: ৪৭ ওভারে ৩৩৪) (মারুফ ২৮, জাকির ৫৫, নাহিদুল ৪৩, ইশ্বরন ৪৩, তাইবুর ৭, সালমান ২৪, আল আমিন ১৯, আরিফুল ২, আসিফ ৩২, নাজমুল ৫, আল আমিন ৩*; সাইফুদ্দিন ২/৫৩, আরিফুল ০/৩০, শুভাগত ২/৩৩, সাকলাইন ১/৪৯, মনন ৩/৫৪, আফিফ ২/৪৮)।
ফল : আবাহনী ৬০ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : লিটন কুমার দাস।

মোহামেডান-গাজী গ্রæপ
মোহামেডান : ৫০ ওভারে ৩২৪/৮ (শামসুর ৭৪, সৌকত ২৭, রনি ৯২, রাকিবুল ১১, বিপুল ২৮, নাজমুল ৪৭, তাইজুল ৬, কামরুল ২, সাজেদুল ১০*, জাবিদ ১৬*; আবু হায়দার ২/৭৮, সাহজাদা ২/৫২, মেহেদী ১/৪৯, হালিম ১/৫৩, মুমিনুল ০/১১, পারভেজ ১/৫১, সোহরাওয়ার্দী ০/২৫)।
গাজী গ্রæপ : ৫০ ওভারে ৩১৭/৮ (আনামুল ৩৬, মুনিম ৮৮, মুমিনুল ৩, জহুরুল ৩১, পারভেজ ৪০, নাদীফ ১৭, সোহরাওয়ার্দী ৫৭*, মেহেদী ২৭, আবু হায়দার ১০, শাহজাদা ১*, তাইজুল ১/৬০, সাজেদুল ২/৬৮, শামসুর ০/২৮, বিপুল ২/৬০, কামরুল ২/৫৯, আজিম ১/৪২)।
ফল : মোহামেডান ৭ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : রনি তালুকদার।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন